গল্প - আশিস ধর

 



কূচক্রের হাতছানি         

     

       টিফিন পিরিয়ড। আমরা টীচাররা সব বসে আছি টীচার রুমে। এমন সময়

ক্লাস নাইনের মকবুল ছুটতে ছুটতে টীচার রুমে এসে সুলতান আহমেদ কে বলল-

স্যার, খগেন বর্মন টিফিন পিরিয়ডে বাড়ি চলে গেছে। যাবার সময় বার বার

শাসিয়ে গেছে আপনাকে দেখে নেবে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি আটকানোর।

কিছুতেই শোনেনি।

       শাসিয়ে গেছে! স্কুলের শিক্ষককে স্কুলের ক্লাস নাইনের একটা ছেলে শাসিয়ে

গেছে! এই অকল্পনীয়, অশ্রুতপূর্ব কথাটা শুনে উৎসুক হয়ে তাকালাম সুলতানের

দিকে। ও আমার জুনিয়ার। পাশেই আছে বসে। খুবই শান্ত সজ্জ্বন। সাইন্সের

শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রীরা ওকে ভালোবাসে। শ্রদ্ধা করে। প্রত্যেক স্কুলে কিছু অকালপক্ক

ছেলে থাকে। এই হাই মাদ্রাসা স্কুলেও আছে। যারা এক ক্লাসে কয়েকবার থেকে

পরিশেষে স্কুল ছুটের তকমা নিয়ে বাবার সাথে কৃষিকাজে বা অন্য কাজে মন

দেয়। ক্লাসে এসব এঁচোড়ে পক্ক ছেলেরা নিজেরা পড়াশুনা তো করেইনা, উপরন্তু

ক্লাসে নিরীহ গোবেচারা ছেলেদের পিছে লেগে ত্যক্ত কোরে মারে।

       দেখে নেবার কথাটা শুনে আমরা অবাক হলেও হেসে উড়িয়ে দিলাম। কিন্তু

খানিক পরেই আতঙ্কিত ছেলে মেয়েরা ভীত হয়ে টীচারস রুমে এসে খবর দিল।

খগেন গ্রামের কিছু লোককে জড় করে আসছে স্কুলের দিকে। ওদের সাথে পঞ্চায়েত

প্রধান, খগেনের বাবাও আছে। গ্রামের লোকদের কারো কারো হাতে লাঠিও আছে।

ছাত্রদের মারধর করা চলবেনা চলবেনা শ্লোগানও শোনা যাচ্ছে।

বুঝতে পারছি, খুবই সাঙ্ঘাতিক পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে যাচ্ছি আমরা। শুধু

সুলতান আহমেদ নয়, আমরাও সবাই বিশ্রী ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়বো। ঠিক

কোরে নিলাম আমরা সবাই একজোট হয়ে এর প্রতিবাদ করবো। কোন মতে

আমাদের অসম্মান মুখ বুজে মেনে নেবনা। একবার মুখ বুজে সব মেনে নিলে


ভবিষ্যাতের জন্য খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ছাত্র ছাত্রীদের সামনে মাথা

তুলে কথা বলতে পারবোনা। স্কুলের ডিসিপ্লিন নষ্ট হয়ে যাবে।

     আমরা হেড স্যারকে সব জানালাম। উনি ঘটনার আদ্যোপান্ত সব শুনে

আমাকে খগেনের বাবা ও পঞ্চায়েত প্রধানর সাথে বললেন কথা বলতে। কেননা

কুচবিহার থাকার দরুন প্রশাসনের ওপর মহলের সাথে আমার পরচিতি আছে।

ওনারা স্কুল পরিদর্শনে আসলে প্রথমে যোগাযোগ করেন আমার সাথে। এতে গ্রামের

মানুষের কাছে আমি শুধু শিক্ষক নয়, আরো কাছের লোক। প্রয়োজনে ওনাদের

জেলা সদরের অনেক কাজ করতে সাহার্য করে থাকি। ওরা আমার কথা শুনবে

হেড স্যারের আশা।

তবে আমার চিন্তা হচ্ছে কতখানি কি করতে পারি। সকলের সাথে পরিচয়

থাকলেও এ সময় উৎশৃঙ্খল মব কোন যুক্তির ধার ধারবেনা। হেড মাষ্টার মহাশয়

পুলিশে খবর দেবার কথা বলেছিলেন। আমরা সবাই না করেছি। এতে জটিলতা

বাড়বে। সুলতান আহমেদের সাথে সাথে আমাদেরকেও নিয়ে টানাটানি হবে। স্কুলের

ঝামেলা আমরাই মিটমাট কোরে নিতে পারবো বলে হেড স্যারকে আশ্বাস দিলাম।

     ভারত বাংলা দেশের বর্ডারের কাছাকাছি এই হাই মাদ্রাসা স্কুল। ওই তল্লাটের

মধ্যে বেশ বড় স্কুল। হাজার খানেকের মত ছাত্র ছাত্রী। মাদ্রাসা স্কুল হলেও

আশেপাশের গ্রামের ছেলে মেয়েরা এখানে পড়শুনা করে। সংখ্যালঘু শিক্ষকের

আধিক্ষ্য থাকলেও আমরা কয়েকজন হিন্দু শিক্ষকও আছি। আমরা মাষ্টার মশায়রা

প্রায় সবাই দিনহাটা বা কুচবিহার থেকে যাতায়াত করি।

    গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিজীবী আর শ্রমজীবী। ছেলে মেয়েরা পড়শুনা

বাদ দিয়ে চাষবাসে মনোযোগী থাকলেও, স্কুলের খাতায় তাদের নাম থাকে।

চাষবাস না থাকলে স্কুলে আসে। সকল অভিভাবক পড়াশুনাকে সেভাবে গুরুত্ব

দেয়না। ওরা মিড ডে মিলের আশায় ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠায়। অবশ্য

দারিদ্রতা এর বড় কারন। সবার মধ্যে একটা ধারনা চালু আছে, পড়াশুনা কোরে

কি হবে শেষমেষ সেই হাল ধরতে হবে। মেয়েদের অবস্থা আরো শোচনীয়।

বেশিরভাগ বাপ মায়েদের টার্গেট পনের ষোল বছর বয়সে মেয়েদের পাত্রস্থ

করে ঘাড়ের বোঝা নামানো। আইন অন্য কথা বললেও কেউ মানতে চায়না। তার

আগে পড়াশুনা যা হোল তাই যথেষ্ট। তবে কিছু পড়াশুনায় চৌখস ছেলেমেয়েও

আছে, যারা পড়শুনা করতে চায়। ওদেরকে আমরা সবরকম সাহার্য করি।


     আশেপাশের গ্রামগুলো এখনও শহুরে আদব কায়দায় কেতা দুরস্থ হয়ে ওঠেনি।

শিক্ষক ছাত্রদের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভালো। গ্রামের মানুষের কাছে শিক্ষকের স্থান

অনেক উচ্চ কোটিতে। সেই আবহে স্কুলের একটা ছেলে শিক্ষককে হুমকি দিয়ে

গেছে, সত্যি বিশ্বাসযোগ্য নয়। হাতের পাঁচটা আঙ্গুল যেমন সমান হয়না। তেমনি

বয়সোচিত কারনে স্কুলের ছাত্রদের চঞ্চলতা থাকবে সেটা খুবই স্বাভাবিক। বেশির

ভাগ সময়ে সেসব মাত্রাতিরিক্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে চলতে হয় আমাদের।

অবশ্য ধমকে কাজ না হ’লে অন্য ব্যবস্থা তো নিতেই হয়। নিচু ক্লাসে, এখানকার

কয়েকজন টীচার হাতে বেত নিয়ে ক্লাসে ঢুকলেও তার প্রয়োগ খুবই সামান্য।

বেতের আস্ফালনে কাজ হয়ে যায়।

     তবে উচু ক্লাসে বেতের প্রয়োজন হয়না। আজ ক্লাস নাইনে সুলতান আহমেদ

মহাকর্ষ, অভিকর্ষের সংজ্ঞা পেছন দিকের বেঞ্চের ফজলকে জিজ্ঞাসা কোরে কোন

সদুত্তর পেল না। বিরক্ত হয়ে ফজলকে বসতে বলে ফতিমাকে জিজ্ঞেস করতে

যাবে। অমনি ফজল মরলাম গো বলে, পশ্চাতদেশে হাত দিয়ে বেঞ্চ থেকে ছিটকে

বাইরে বেড়িয়ে আসে। সেসাথে প্রচণ্ড ব্যথায় কঁকিয়ে ওঠে। ক্লাসের সবাই চমকে

তাকিয়ে দেখলো ফজলের প্যান্টের পেছন দিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ঘটনার

আকস্মিকতায় সবাই হতবাক। ফজলের কথায় বুঝতে পারলো ওর পাশে বসা খগেন

বর্মন ইচ্ছাকৃতভাবে ওর পেছনে হাতের কলমটা খাড়া কোরে রেখেছিলো। ফজল না

দেখে বসে পড়াতে ডট পেনের ছুচলো মুখটা ওর পায়ুর ভেতর ঢুকে যায়।

    সুলতান আহমেদ সাধরনত সহজে রাগেনা, কিন্তু আজ ফজলের ওপর এমন

অমানবিক আচরনে প্রচন্ড রেগে গিয়ে খগেনের চুলের মুঠি ধরে জোড়া বেত দিয়ে

মারতে মারতে ক্লাসের বাইরে দাড় করিয়ে রাখলো টিফিন পর্ষন্ত। এত মারেও

খগেন একটা কথা বলেনি। সাফাই দেয়নি, দাড়িয়েছিলো মাথা গুজে। সেই ছেলে

গ্রামের মানুষদের ডেকে নিয়ে আসছে সুলতানকে দেখে নেবার জন্য? সত্যি অবাক

হওয়ার কথা। এত বড় একটা দুষ্কর্মের জন্য লজ্জা বলে কিছু নেই!

    কয়েকজন দাড়িয়ে দাড়িয়ে বাইরে স্লোগান দিচ্ছিলো। খগেন, খগেনের বাবা

নরেন বর্মন, পঞ্চায়েত প্রধান সহ আরো দুজন হেড মাষ্টারের রুমে ঢুকে

উত্তজিতভাব আসার উদ্দেশ্য জানিয়ে জানতে চাইলো সাইন্স টীচার সুলতান আহমেদ

কোথায় আছেন। ওনার সঙ্গে ওরা দেখা করতে চায়। এমন নির্মমভাবে মারার

জন্য জবাবদেহি করতে হবে। আমিও ছিলাম, হেড স্যার সফিকুল রহমান বললেন-

দেখুন আমি ক্লাসে ছিলাম, এ ঘটনা আমি পরে শুনছি। এই স্কুলের শিক্ষকরা

ছাত্রদের শিক্ষার ব্যাপারে খুবই যত্নবান। সেটা আপনরাও জানেন। ওঁরা ছাত্রদের

ভালোবাসবে, প্রয়োজনে শাসন করবে। এরমধ্যে আপনারা না আসলে ভালো


করতেন। এতে ছাত্ররা প্রশ্রয় পাবে। ইনডিসিপ্লিনড হবে। এটা নিশ্চয় আপনারা

চাননা। তারপর আমাকে ইঙ্গিত করে ওঁদেরকে টীচার রুমে নিয়ে যেতে বললেন।

     খগেনকে নিয়ে ওনারা টীচার রুমে এসে দাড়ালে, আশেপাশের ছাত্র ছাত্রীদের

উকিঝুকিতে বুঝতে পারছি ওরাও শঙ্কিত। আমি আস্তে আস্তে ঘটনা সবিস্তারে

বললাম খগেনের বাবা আর প্রধানকে। পরে আরো বললাম- আমরা জানিনা খগেন

আপনাদের কি বলেছে। তবে মনে হচ্ছে ও বানিয়ে বানিয়ে বলেছে অনেক কিছু।

তা না হলে, আপনারা এমন ভাবে আসতেন না। দেখুন আপনারা এমন কিছু

করবেননা যাতে আমাদের সম্মানহানি হয়।

      সুলতান আহমেদ সামনে এসে দাড়ালো। আমরা টীচাররাও আছি আশেপাশে।

খগেন নির্লিপ্ত। হয়তো ভাবছে এখন দেখবে মজা। চারিদিকে স্তব্ধতা। সকলকে

অবাক কোরে দিয়ে হাত জোড় করে নরেন বর্মন বলল- আমি প্রথমে ছেলের

কথায় উত্তজিত হলেও এখন বুঝেছি ও ঘোর অন্যায় করেছে। এরকম নীচুস্তরের

ইয়র্কির ক্ষমা হয়না। ফজলের বাবার কাছে আমি কি কোরে মুখ দেখাবো?

খগেনকে আপনি সাজা দিয়েছেন, বেশ করেছেন। ও আমাদের সবাইকে মিথ্যে বলে

এখানে এনেছে। স্যার, আপনি আমার সামনে ওকে দু’ঘা দিন। বিশ্বাস করুন,

আমার শান্তি হবে। পড়াশুনা যা হোক। আমরা স্কুলে ছেলে মেয়েদের পাঠাচ্ছি মানুষ

হবার জন্য। অন্যায় কোরলে নিশ্চয় আপনারা শাস্তি দেবেন, এতে আমাদের কোন

আপত্তি নেই। উপস্থিত সবাই মাথা নাড়ালো।

      পঞ্চায়েত প্রধান রফিক মহম্মদ এতক্ষন চুপচাপ ছিল। বলল- নরেন ঠিক

বলেছে। আপনারা হয়তো ভাবছেন, আমরা হেনেস্থা করতে স্কুলে এসেছি। তা নয়,

আমরা চাই সুস্থ পরিবেশে পড়শোনা হোক। সবসময় আমরা আপনাদের পাশে

আছি। কিছু মনে করবেননা। আমরা খুবই লজ্জিত। ভবিষ্যতে এরকম হবেনা।

      নরেন বর্মন ছেলে খগেনকে বলল- স্যারের পায়ে ধরে ক্ষমা চা। সুলতান

আহমেদ থাক থাক বলা সত্বেও নরেন বর্মন বলল- না মাষ্টারমশাই আপনি আপত্তি

করবেননা। যাতে আর কেউ এরকম মিথ্যে সাহস দেখাতে না পারে। ও বানিয়ে

বানিয়ে বলেছে অনেক কথা। এখন দেখছি, ছেলে হয়ে বাপের মুখে চুন কালি

লাগালো। অনেক আশা কোরে স্কুলে পাঠিয়েছিলাম! একটু থেমে আবার বলল-

আমি কথা দিচ্ছি, এরপর আর কিছু হবেনা। 

       আমরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম। এই ঘটনার পর এরকম হলে ভালো হোত।

খগেন একদম নিজেকে পাল্টিয়ে ফেলে পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ছে। না তা হয়নি।

খগেন আর স্কুলে আসেনি। শুনেছি, বাড়ি ছেড়ে, গ্রাম ছেড়ে কোথায় চলে


গেছে।  বর্ডার এরিয়া। উচু তাড়কাটার বেড়া বাংলাদেশ ভারতকে বিভাজিত কোরে

রেখেছে। দু’পাশের কিছু দুষ্কৃতির মদতে, অতন্দ্র পাহাড়া সত্বেও নানারকম ফাঁক

ফোঁকর তৈরী কোরে নিয়মিত চোরা চালান হচ্ছে। বর্ডার এরিয়া মুখ্যত দরিদ্র

কৃষিজীবী মানুষের বাস। তথপি বেশ কিছু মানুষের অবস্থার চাকচিক্য চোখ

এড়ায়না।

     এখানকার বেশির ভাগ স্কুলছুট ছেলেগুলো অল্প সময়ে কাড়ি কাড়ি টাকা

কামানোর নেশায় জড়িয়ে পরে নানা রকম চোরা চালানের কূচক্রে। মাঝে মাঝে

হারিয়ে যায় কেউ কেউ লোক চক্ষুর অন্তরালে চিরতরে। কেউ কেউ গুলি খেয়ে

কুকুর বেড়ালের মত মারা গেলেও বাপ-মা টু শব্দটি করেনা। পুলিশের ঝামেলা

এড়াতে। নামমাত্র কিছু টাকা হাতে পেয়ে ছেলের শোক ভুলতে ডুকরে ডুকরে কাঁদে

নীরবে নিভৃতে।

     এর কয়েকমাস পরের কথা। সকালে স্কুলে গিয়ে আশেপাশে ছাত্র ছাত্রীদের

জটলা, ফিসফিস কোরে কথাবার্তা মনকে সন্দিগ্ধ কোরে তুলল। টীচার রুমে আমি

একা, ভাবছি কাউকে ডেকে জিজ্ঞেস করবো। তার আগেই পিয়ন এসে খবর দিল

হেড স্যার ডাকছেন। উঠতে উঠতে সুলতান আহমেদ এসে পৌছালে ওকে সাথ

কোরে গেলাম হেড স্যারের রুমে। গিয়ে দেখি থানার দারোগা বাবু বসে আছেন।

একটু অবাক হয়ে হেড স্যারের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতে উনি বললেন-

দারোগা বাবু আপনি বলুন।  - গত গভীর রাতে জনা তিনেক মিসক্রিয়েন্টস

কয়েকশ ফেন্সিডিল সিরাপের বোতল ব্যাগে কোরে কাঁটা তারের বেড়া টপকিয়ে

ওপাড় করার চেষ্টা করছিল। আপনারা তো জানেন ফেন্সিডিল কাশির সিরাপ

হলেও নেশার জন্য ব্যবহার করা হয়। যাহোক, সিক্যুরিটী গার্ড থামতে বললেও

ওরা থামেনা, উল্টো বোমা ছুড়ে মারে। তখন বাধ্য হয়ে ওরা গুলি চালায়।

গুলিতে একজন বছর পনের ষোল বছরের ছেলে নিহত হয়। বাকি দুজন পালিয়ে

যায়। একটু থেমে আবার বললেন- আইডেন্টিফিকেশনের জন্য থানার সামনে রাখা

আছে ডেড বডি। ভাবছি, আপনাদের স্কুলের ছাত্র হলেও হতে পারে।

     থানায় দারোগা বাবুর সাথে গেলাম আমি ও সুলতান। লাশ চিত কোরে

শুইয়ে রাখা হয়েছে। গুলি লেগেছে থুতনির নিচে। ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে মুখের নিচের

অংশ। তবু চিনতে কষ্ট হোলনা। মনটা ভারাক্রন্ত হয়ে উঠলো খগেনের অপমৃত্যুতে!

      দারোগা বাবু মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন। খগেনের বাপ মায়ের ওপর

পুলিশের জুলুমের কথা ভেবে আমরা মাথা নাড়ালাম উদগত অশ্রু সংবরণ কোরে।

 


 বর্ডার এরিয়ায় এভাবে কত ছেলে মায়ের কোল খালি করে হারিয়ে যাচ্ছে তার

হিসেব কে রাখে!                            

Comments