হাওয়াদের
ফিরে গেছে ফেরার পাখিরা।
আমি থাকি বসে।
হাওয়াদের আশেপাশে
জমে ওঠে গাঢ় হাততালি।
ধারক
কিছুই রাখোনি ধরে, না জল--- না জলের ধর্মগুলো।
কেবল একটি হুলো বেড়াল ঘুরে বেড়ায় বারান্দায়,
রোদ্দুরে, সিলিং আর সিঁড়িতে সিঁড়িতে।
আমাকে তেমন করে ধরছ না বলে মাঝরাতে
ভাঙা স্বপ্নে জেগে ওঠো এবং দ্যাখো জানালার
ফিনফিনে পর্দা ছিঁড়ে উড়ে যাচ্ছে চোখ ছেনালি রাতের দিকে।
সমগ্র
আমাকে সমগ্র ভাবো। কোনও এক খণ্ডচিত্রে
নির্মিত নই যে লাল-নীল-সবুজ আলোয়
ভেসে যাব মঞ্চ থেকে দূরে। রোদ্দুরে যে চোখ
বেড়ে ওঠে তাকে যতই মেঘের বজ্র
দেখাও---যতই তীব্র নিনাদ---পথ সরে যাবে না
কোথাও। সে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেছে প্রিয়
এক সমর্থিত নামে যেখানে কেউ প্রতিদিন
মেঘের বৃষ্টি ধরে মননে-মগজে মাখে নম্র স্বভাব।
কোনও এক------
কোনও এক নদীর কাছে,
কোনও এক নারীর কাছে
বাতাসের ঝরনা ছিল,
আগুনের ওড়না ছিল।
সে কী আর আসবে নাকি
প্রিয়া বলে যতই ডাকি!
হলুদবরণ বাঁশির শিস
ওই, আমাকে ডেকে নিস
কবি জানতেন , হুলো আসবে ।
ReplyDeleteসমগ্রতা ভরা কবিতা ।
বাহ্ দারুন লেখনী ,স্যার
ReplyDelete