গদ্য - মৃণালিনী


 "যেভাবে তুমি ভুলে গেলে সেপ্টেম্বর মাস"

   

... শহরের বুকে নেমে আসবে তোমার কল্পিত নিয়ন আলো, মনের পার্লামেন্টে প্রস্তাবিত এজেন্ডা। স্তন নাভি নীচে পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে ভরাট মেয়েটি তোমার ইলিশ চোখে চোখ রেখে বলবে, 'এসো দুজনে মিলে কল্পিত স্বর্গরাজ্যে হারিয়ে যাই।' তোমার চোখে আদমের কৌতূহল, অথচ তার শরীরে টিক ওক পাইনের ছায়া, ঝুলন্ত ডালে অর্ধ আবৃত স্তন, আপেলের চামড়ায় রাতের শব্দ ছায়া। আলেয়ায় তুমি কামড়ে নিচ্ছ বাস্তব। চোখে রোমান্টিক বাঘের ঘোর। অনাবৃত আপেলের খোসায় হঠাৎ বসন্ত নেমে আসবে শান্তিনিকেতনের বারান্দায়। আমার ইচ্ছেগুলোর ব্যঙ্গ ধ্বনির শরীরে ফু দিয়ে উড়িয়ে দেবে-গভীর খাদে আশ্রয় নেবে সরল ভালোবাসার গোপনীয়তা! তোমার শক্ত কাঁধে মাথা রেখে জয়ী হবে একবিংশ শতাব্দীর অহংকারী বারণ। অর্ধআবৃত্ত স্তনের স্বপ্নময় ব্যঙ্গ-রাত কড় গুনে কাটিয়ে দেবে অতৃপ্ত জীবন। অহংকারী ধারালো শব্দ-নখের আঁচড় কামড়ে নীল হতে হতে একদিন আলগোছে আমিও মিলিয়ে যাবো অন্ধকারে। নন্দনে নিয়ন আলো আর তোমার বইপাড়া ছাড়িয়ে অর্ধ আবৃত স্তনের লজ্জায় মিলিয়ে যাব হলুদ গ্রহে, যেখানে দিন শেষে সবাই একদিন মিলিয়ে যায়। 



             ডিসেম্বরের কুয়াশায় আমার ঠিকানায় ঝুলতে থাকবে বিজ্ঞাপন- যে তোমার শক্ত কাঁধে মাথা রাখতে চেয়েছিল একদিন, সে এখন অনাবৃতা শব্দের নামতা, তোমার না-পড়া সবুজ ইতিহাসের অধ্যায়। তবুও পুরোনো ঠিকানার ডাকবাক্স থেকে উঠে আসবে অবদমিত ইচ্ছে ভালোবাসার কুয়াশা, আর তোমার শরীর জড়িয়ে মজ্জায় মজ্জায়, আদিমতার নীল সমুদ্রে ডুবে শতাব্দীর শেষ অন্ধকার জরায়ুতে জন্ম নেবে তোমার অপ্রাপ্ত ভালোবাসা। তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে চুমুতে চুমুতে ভরে দেবে তোমার না বলা অস্পষ্ট ইচ্ছেলতার অরুণ। ডিসেম্বরে হাততালিতে অদৃশ্য দর্শকের সঙ্গে মেতে উঠব আমিও সেদিন...

Comments