বাঁশের মাচায় শুয়ে
কবিতাপাগল ছিল মানুষটা
খাওয়া ঘুমটাও করতে পারত না শান্তিমতো
বাঁধানো বেদিতে গিয়ে বসত বিকেলের পর
আর ডেকে ডেকে কবিতা শোনাত সবাইকে
বলত – শোন সবাই, একদিন কবিতা ছাড়া
আর কিছুই থাকবে না এই পৃথিবীতে।
বড়োরা বলত ওর সঙ্গে মিশলে জীবন উচ্ছন্নে যাবে
ওর স্পর্শ থেকে আমাদের বাঁচাতে
পাকুড়বেদির রাস্তাটাকে তাঁরা ঘুরিয়ে দিল
শ্মশানবাজারের দিকে। সেই থেকে বিকেল দুপুর
বেদির কাছে বড়ো একটা যায়না কেউ।
আজ দেখি বাঁশের মাচা কাঁধে নতুন রাস্তার দিকে
হেঁটে যাচ্ছে আমাদেরই গ্রামীণ কজন। মাচা থেকে
উড়ে পড়ছে কবিতার পঙক্তিগুলো যত।
Comments
Post a Comment