গল্প- আশিস ধর


সোনার চুড়ি 


মাঝরাত্রে চিৎকার চেচামেচির আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেল সতীশবাবুর। ধড়ফর্ করে উঠে বসলেন বিছানায়। বুকটা কাঁপছে। বুকটা দুহাত চেপে সম্বরন করতে চাইলেন কাঁপুনিটা। কিন্তু কেন
ঘুমটা ভেঙ্গে গেল? হ্যা, মনে পড়ছে। চিৎকার চেচামেচির আওয়াজে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। কই এখন তো কোথাও কোন সাড়া শব্দ নেই। গভীর নিঝুম রাতে প্রকৃতির নিজস্ব একটা শব্দ আছে। সেটাই কান পেতে শুনতে পেলেন। তবে কি স্বপ্ন? বিশ্বাস হচ্ছেনা। পাশে হাত বাড়ালেন। স্ত্রী সাবিত্রী মানে সাবি বিছানায় নেই। বুঝতে পারলেন, রাত দুপুরে নিচে মায়েপোয়ে কিছু নিয়ে উচ্চস্বরে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এটা নিত্যনৈমিত্যিক স্বাভাবিক ঘটনা। হাসি পায় সতীশবাবুর। রাতে শোবার সময় ওনার পতিনিষ্ঠ স্ত্রী শুয়ে পড়ে ওনার পাশেই। কিন্তু কখন যে নিশব্দে উঠে পড়ে জানতেও পারেননা। আবার খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে গেলে আবছা আলোতে দেখতে পান সাবি পাশে শুয়ে আছে। ছেলের জন্য সাবির এসব আদখেলেপানা একদম সহ্য করতে পারেননা। উনি একজন মাষ্টার। ওনার একটা সম্মান আছে। ওর জন্য কারো কাছে মুখ দেখাতে পারেননা। নাম নিতেও লজ্জা হয়। ঘেন্না হয়।

রেগেমেগ কতবার বলেছেন- এই নচ্ছার বকে যাওয়া ছেলেটার জন্য, তুমি কেন ভাতের থালা নিয়ে রাতভোর বসে থাক?
একটা কথারও জবাব দেয়না সাবিত্রী। নিশ্চুপ। শুধু চোখের জল ফেলে। বিরক্ত হয়ে আজকাল কিছু বলাই ছেড়ে দিয়েছেন সতীশবাবু। পারতপক্ষে ছেলে বাবার মুখোমুখি হয়না। এড়িয়ে চলে। রাত বিরেতে মা-ছেলের ফিসফাস কথাবার্তা সবই কানে আসে। বুঝতে পারেন, মায়ের কোমলতার সুযোগ নিয়ে নানা বাহানায় টাকাপয়সা আদায়ের চেষ্টা। আজকাল টাকার হিসেবের গড়মিল হলেও চুপচাপ থাকেন। মাঝেমাঝে ক্রোধিত হয়ে সাবিকে গালাগালি দিতে ইচ্ছে করে। ও
বুঝতে চায়না, এতে হতচ্ছাড়া অকর্মণ্য ছেলেটা আরো পশ্রয় পাবে। মায়ের অন্ধ স্নেহের মূল্য ছেলের কাছে কানাকড়িও নেই।

পড়াশোনায় খুবই ভাল ছিল বাবন। সতীশবাবুও খেয়াল রাখতেন। ধারদেনা করে পড়িয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং। কত আশা, কত স্বপ্ন ছিল। সবই আজ শূন্যতায় ভরে গেছে। কোন চাকরি জুটলো না। গত তিন বছর চাকরির সন্ধানে চক্কর কাটতে কাটতে আজ হতাশাগ্রস্থ। মানসিক শান্তি খুঁজতে চেয়েছে মদ ড্রাগস জুয়ায়। সতীশবাবুর চোখে বাবন অকর্মণ্য হতচ্ছাড়া। অথচ উনি ভাল কোরে জানেন, ছেলের কোন দোষ নেই। আজ ছেলেটা পরিস্থিতির শিকার। 

একদিন সতীশবাবুর ওপর বিরক্ত হয়ে মুখের ওপর বাবন বলেছিল-আমাকে যা খুশি বল মেনে নেব। কিন্তু একথা বোলনা আমি চেষ্টা করিনি। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ কোরেও যে কোন চাকরী খুজেছি। পাইনি বাবা। আজকাল ঝাড়ুদারের চাকরীর জন্য দশ বারো লাখ টাকা ঘুস দিতে হয়। শুধু আমি নয়। আমার মত শয়ে শয়ে ছেলেমেয়ে মাথা কুটে মরছে একটা চাকরীর জন্য।

এরপর আর কিছু বলেননি ছেলেকে। সতীশবাবুর কাছে দশ বারো লাখ টাকা দূরের কথা দশ হাজার টাকাও নেই। আর থাকলেও দিতেননা। ঘুস দিয়ে চাকরি? সারা জীবন সৎভাবে মাষ্টারি কোরে আজ তিনি এত নীচে নামতে পারবেন না। জানেন ওনার অনেক ছাত্র আজ অনেক কোম্পানীর বড় বড় পোষ্টে আছে। সামনে গিয়ে দাড়ালে একটা ব্যবস্থা নিশ্চয়ই হোত। অনেক ভেবেছেন। বলেছে সাবিও। কিন্তু পাটা ভারী হয়ে আসে। এক পাও এগোতে পারছেন না। কারো কাছে মাথা নীচু করতে বাধা দিচ্ছে বিবেক।

সেদিন সকাল দশটা নাগাদ বাজারে যাচ্ছিলেন সতীশবাবু। পথে হঠাৎ কে একজন উপুড় হয়ে দুপায়ে নমস্কার করে বলল-স্যার কেমন আছেন? আমাকে চিনতে পারছেন? ঘোলা চোখদুটো তুলে ভাল কোরে তাকিয়ে বললেন- সুমিত! অবসরের পর বয়সের
সাথে সাথে চোখে ছানি পড়েছে। স্মরনশক্তিও কমে এসেছে। তাই চিনতে সময় লাগলো বুঝলি।

কথাগুলো বোলে স্মিত হেসে প্রিয় ছাত্রের গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে বললেন-ভাল আছিস সুমিত?
শুনেছি অনেক বড় চাকরি করছিস তুই। তোদের কয়েকজনের কথা মনে হোলে গর্বে বুক ফুলে ওঠে।
-হ্যা স্যার ভাল আছি। অনেকদিন বাইরে ছিলাম। আবার ফিরে এসে জয়েন করেছি একটা সফট্ ওয়্যার কোম্প্যানিতে। স্যার, বাবনের খবর কি? শুনেছিলাম ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। এখন নিশ্চয়ই পাশ করে চাকরি করছে। কোথায় আছে?

খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে সতীশবাবু বললেন- বাবন সফট্ ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংএ ফার্স্ট ক্লাস পেয়েও কোন চাকরি জোটাতে পারেনি। সবই আমার কপাল সুমিত! তোমাদের সময় একরকম ছিল। আজ পরিস্থিতি অন্যরকম। বলতে দ্বিধা নেই। সবারই সন্তানের ওপর থাকে অনেক আশা প্রত্যাশা। আমারও ছিল। পড়িয়েছি অনেক ধার দেনা করে। কিন্তু আজ সত্যি আর কিছু ভাবতে পারছিনা।

-স্যার। আমি বুঝতে পারছি আপনার পরিস্থিতি। এখনও বন্ধ হয়ে যায়নি সব রাস্তা। ভরসা রাখুন নিশ্চয়ই কিছু হবে। এই আমার কার্ড। কালকে বাবনকে দেখা করতে বলবেন রাজারহাটে আমার অফিসে। দেখি কতদূর কি করতে পারি। কৃতজ্ঞতায় সুমিতের দুহাত জড়িয়ে ধরলেন সতীশবাবু। যে মানুষটা এতদিন কারো কাছে মাথা নোয়াননি। তিনি আজ একমাত্র অধঃপতিত ছেলেকে বাচাতে বষ্পরুদ্ধ কন্ঠে আস্তে আস্তে বললেন- দেখ, কিছু করতে পার কিনা। আমাদের জন্য চিন্তা করিনা। আজ না কাল চলে যাব। কিন্তু ছেলেটার কিছু না হ’লে মরেও শান্তি পাবোনা। সুমিতের গমন পথের দিকে তাকিয়ে কয়েক মিনিট স্থানুবৎ দাড়িয়ে থাকলেন সতীশবাবু। পরে প্রসন্ন চিত্তে ধীরে ধীরে ধরলেন বাড়ির পথ। এখনই সাবিত্রীকে সব কথা না বলে
ছেলের সামনেই সব বলবেন। আগেভাগে জানতে পারলে বাবন গাইগুঁই করতে পারে। তবে হারামজাদা ছেলেটা কখন বাড়িতে আসে যায় টেরও পাননা। সাবিত্রীর প্রশ্রয়ে ছেলেটার এই হাল! নিষ্ফল ক্রোধে মনটা খিচে গেল। কত ছেলেই তো পাশ করে বসে আছে। তাবলে ওরা সবাই বাউন্ডুলে হয়ে গেছে?

স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করে বুঝতে পারেন বাবনের গতিবিধি ওরও অজানা। চরম হতাশায় চিৎকার করে সাবিত্রীকে বকাবকি করেন। বলেন- বসে থাক। খাবারের থালা নিয়ে বসে থাক। তোমার লাডলা ছেলে আসলে কোলে বসিয়ে খাইয়ে দিও। এটা তো হোটেল! যখন খুশি আসবে
যাবে। তুমি ওকে ঘরে ঢুকতে দেবেনা। বলে দিলাম। রাগে গজগজ্ করতে থাকেন সতীশবাবু। সাবিত্রী আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে থাকেন। চাপা স্বরে বলেন-ছোটবেলায় বাবনকে নিয়ে কত গর্ব ছিল তোমার। আজ এই অবস্থার জন্য ওকে দায়ী করছ কেন? ওতো খুব ভালভাবে
ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিল। চেষ্টা করেও চাকরি পাচ্ছেনা, এতে ওর দোষটা কোথায়? আমাদের পোড়া কপাল! একবার ভেবে দেখ, শিক্ষিত বেকার ছেলেরটার মানসিক অবস্থাটা। ওতো এখন যে
কোন চকরি করতে রাজি। তাও পাচ্ছেনা। সতীশবাবু একদম চুপ। এভাবে তিনি ভাবেননি। ছেলের অধঃপতন বাউন্ডুলে হাবভাব
নিয়ে তিনি সোচ্চার। স্ত্রীকে যা নয় তাই বলেছেন। কিন্তু একবারও ভাবেননি বাবনের মানসিক অবস্থাটা। সত্যি তো। শান্ত ধীর স্থির ছেলেটা কেন এভাবে বদলে গিয়ে এত বেপরোয়া হয়ে গেল।
ছেলেটার প্রত্যাশা স্বপ্নের আজ অপমৃত্যু। তা দেখেও নি্শ্চুপ ছিলেন তিনি। কাছে ডেকে এতটুকু সহানুভূতি দেখাননি। চিরদিনই কঠিন কঠোর খোলসের মধ্যে ঢাকা তার মুখ। ভেতরে ভেতরে আবেগ অনুভূতিগুলো অন্তসলিলা ফল্গু নদীর মত প্রবাহিত হলেও বুঝতে দেননি কাউকে। ছেলেকে কাছে টানতে চাইলেও, পারেননি। ছেলেও যথা সম্ভব এড়িয়ে চলত বাবাকে। ওর কাছে মায়ি সব। আজ অনুতপ্ত সতীশবাবু। খোলসের বাইরে এসে তিনি যদি ছেলেকে টানতে পারতেন কাছে! এই অবস্থা হয়ত দেখতে হোতনা। পরিস্থিতির চাপে হতাশ, বিদ্ধস্ত বাবন। একটু আশ্বাস ভরসা বাবার কাছ থেকে প্রাপ্য ছিল না কি? এই কথাগুলো কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে ওনাকে। মাঝে মাঝে
সাবিত্রী সংসারের এটা ওটা খরচ দেখিয়ে টাকা চেয়ে নেয়। সতীশবাবু বুঝতে পারেন স্ত্রী সত্যি কথা বলছে না। সংসারের জন্য নয়। রূঢ় হতে চাইলেও কোথায় যেন বাধে। মনটা নরম হয়ে আসে। বেশিরভাগ দিনে বাবন ফেরে অনেক রাত করে। যত রাতই হোক সুমিতের কথা
বাবনকে বলবেন নিজের মুখে। ও নিশ্চয় খুশি হবে। সুমিতের ওপর ভরসা আছে। এতদিনে কিছু একটা হবে। ওনার বিশ্বাস। তবু যেন ভেতরটা খচখচ্ করে। ছেলে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেলে
যেন বেশি খুশি হতেন। রাতে শোবার পর সাবিকেও বলে রেখেছিলেন কথাটা। বাবনের সাথে কথা বলতে চান। কথাটা শুনে খানিকটা অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন সাবিত্রী। কিছু বলেননি। সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে আজও ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সতীশবাবু। হঠাৎই চেচামেচি আর আর্ত কান্নার আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেল সতীশবাবুর। মনে হচ্ছে সাবির কান্নার আওয়াজ! কিছু একটা আশঙ্কায় কেঁপে উঠলো শরীর বুক। অন্ধকারে কোনমতে বেডসুইচটা জ্বালিয়ে হুড়পাড় করে সিড়ি দিয়ে নেমে আসলেন নীচে। তাকিয়ে দেখলেন বিস্ফারিত চোখে। সাবিত্রী উপুড় হয়ে পড়ে আছে ডাইনিং টেবিলের পাশে। এক নদী রক্তে মাখামাখি শরীরটা কাঁপছে মৃদুমৃদু। মর্মান্তিক ঘটনা। হতচকিত দিশেহারা সতীশবাবু কম্পিত হাতে স্ত্রীর ভারী শরীরটা শোয়ালেন চিৎ করে।কপালের মাঝখানটায় গভীর ক্ষত। ক্ষত থেকে রক্তের ধারা গড়িয়ে পড়ছে চোখেমুখে। একটু আগে শরীরটা কাঁপলেও এখন একদম স্থির। নাকে হাত দিয়ে বুঝতে চাইলেন শ্বাস প্রশ্বাস চলছে কিনা। কি্ন্তু কিছুই বুঝতে পারলেন না। পাশেই পড়েছিল দরজার ভারী ডাশাটা। হয়ত আততয়ী দরজার
ডাশাটাকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।

নির্বিরোধী সাবিত্রীকে এমন নৃশংস ভাবে আঘাত করলো কে? কেন? ভেতরটা উঠলো হুহু করে। সুখদুঃখের একান্ত আপন জীবনসাথীর এমন অসহায় জীবন্মৃত অবস্থা! অসহ্য। বিমূঢ় বিহ্ববল সতীশবাবু সহ্য করতে না পেরে বসে পড়লেন মাটিতে। হা ঈশ্বর! জীবন সায়াহ্নে এসে একি পরীক্ষা নিচ্ছ আমার! আর পারছেননা ভাবতে।
সে কয়েক মুহূর্ত। হতাশা ঝেড়ে উঠে দাড়ালেন ভাগ্যহত মানুষটা। সাবিত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। একটা ক্ষীন আশা! দরজাটা হাট করে খোলা। নিশ্চিত, পালিয়েছে আততায়ী এ পথেই। কয়েক পা এগিয়ে থমকে গেলেন সতীশবাবু, কি যেন চকচক্ করছে। হাতে তুলে নিলেন। সাবিত্রীর একগাছা সোনার চুড়ি! কিছুই বুঝতে পারছেন না। হাতের একগাছা সোনার চুড়ি, আর গলার লিকলিকে সোনার হার সেটাও হয়তো গেছে। এরজন্য সাবিত্রীর এ অবস্থা হোল?
সবকিছু কেমন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। চিন্তা করার শক্তিও যেন হারিয়ে ফেলছেন তিনি। ঠিক সেসময় হাট করে খোলা দরজা দিয়ে একরকম ছুটে ঘরে ঢুকলো বাবন। বাবাকে দেখে দাড়িয়ে পড়ল থতমত খেয়ে। বিস্মিত হলেও স্বস্তি পেলেন সতীশবাবু। বললেন- তুই এসেছিস। চাক্ষুস দেখ, তোর মার কি অবস্থা। অনেক দেরি হয়ে গেছে। একটা কিছু ব্যবস্থা কর। তোর মাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এরমধ্যে প্রচুর রক্তপাত হয়ে গেছে। মিথ্যে আশা! তবু- গলাটা ভারী হয়ে আসলো সতীশবাবুর।

-আমি খানিকক্ষণ আগেই এসেছিলাম বাবা। ঢুকতেই দেখি ওই বদমাস ঘাতক লোকটা। আচমকা আমাকে দেখে চাইলো পালাতে। আমিও ধরলাম জাপটে। পরলাম না। ধাক্কা মেরে পালিয়ে গেল। আমিও ছুটলাম পিছুপিছু। ওকে ধরতে। কিন্তু অন্ধকারে কোথায় যে মিলিয়ে গেল। কথা  বলতে বলতে এদিক ওদিক ঘুরছিলো বাবনের অনুসন্ধিৎসু চোখ। বাবার হাতে চোখ পড়তেই চমকে উঠলো বাবন। এই তো মা’র চুড়িটা। একরকম হাত থেকে চুড়িটা ছিনিয়ে নিয়ে বলল- তুমি কোথায় পেলে বাবা মার চুড়িটা? কত খুঁজলাম- অবাক বিস্ময়ে সতীশবাবু বাবনের মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন- মানে! তুই কি জানতিস চুড়িটা কোথাও পড়ে গেছে?  বাবন আমতা আমতা করে বলল- না তা নয়। ওই লোকটার সাথে ধস্তাধস্তি করার সময় একটা শব্দ এসেছিল কানে। চুড়িটা দাও আমাকে। চুড়িটা হাতে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে বলল- যাই, একটা গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। মাকে তো ইমিডিয়েট নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে। 

হতবুদ্ধিকর অবস্থায় বাবনের গমন পথের দিকে তাকিয়ে অনেক প্রশ্নের জবাব পেতে চাইলেন সতীশবাবু।

Comments