দীর্ঘকবিতা- সুবীর সরকার

 

ব্যাল্যাড


হয়তো সারারাত এভাবেই লাটিম ঘুরবে।

বিচ্ছেদী গানের মধ্যে ঢুকে পড়বে আমাদের

                                              জীবন

আষাঢ় মাসের অনেক আগেই নুতন হয়ে

উঠছে আলকাতরা মাখা নৌকো।

প্রাচীন পায়ে নুতন জুতো।কবরের পাশে ঘুড়ি

                                                  উড়াই 

বল্লমের গা থেকে মরচে খসে পড়তে থাকলে

মাথা থেকে টুপি খুলি।

সব নদীর জল তো আর আঞ্চলিক নয়!

মহাভারত শুনতে শুনতে দেখি

মাঝরাস্তায় আটকে থাকা মিছিল।

জীবনে কত কত রূপকথার গল্প!

কাগজের এরোপ্লেন উড়ে এলে

পিড়িতে উঠে বসে পানের বাটা

আরামের দিকে কেদারা টেনে আনলো যারা

তারা কি কখনো স্বাভাবিক হাসি হাসতে

                                                 পারবে!

বরং বাজপাখি মরে গেলে আবার

লিখিত হতে থাকবে নুতন ব্যাল্যাড।

দুঃখকষ্ট ও কান্নার জীবনে চিরদিনের সাপের

                                                       ফণা

এক লাফে পেরিয়ে যাবার মত কোন খাল নেই।

অকারণ হাসির কোন সুযোগই নেই!

ঝাঁকড়া চুল নিয়ে পান খেতে আসছে সিনেমার

                                                    ব্ল্যাকার

শিস নেই। শো শো শব্দ আছে।

তবে কি ঝড় এসে গেল!

বরফের সাদায় ছায়া ফেললো আকাশ!

কুকুরের তাড়া খাওয়া মানুষের কিন্তু

আগুনে ঝলসে মরে যাবার ভয় 

                                          থাকে।

রুমালে বৃষ্টির জল,হাতপাখায় পশু ও পাখির

                                                              ছবি

যে মাঠে যাত্রা হত,শীত শুয়ে থাকতো

সে মাঠে দেখি অজস্র ঘর দুয়ার!

ইতিহাস কেঁপে ওঠে সামান্য আড়বাঁশির শব্দে

হয়তো কাউকে খুঁজছো তুমি!

দু চোখের বন্দরে বুঝি শস্যভরা গাড়িগুলি ফিরে

                                                        আসছে!

বড়ই গাছের নিচে চিরুনির দোকান।

অথচ আমরা কেউ কোনোদিন বাঘ 

                                             দেখিনি।

Comments

  1. অসম্ভব সুন্দর একটা গানের কথা মন খারাপ করে কাঁদছে... তালে তাল মিলিয়ে চটকে উটছে পায়ের কাদা....

    ReplyDelete

Post a Comment