ছেড়ে যাওয়ার আগে
এভাবেই সূর্যাস্ত ফিকে হয়
কালজানির অলঙ্ঘ্য শরীরে।
নদী ফেলে আসে
জমকালো পাথুরে বৈশাখ।
এখানে তারাদের হাঁসফাঁস নেই,
তুখোড় সন্ন্যাস নেই,
নেই কোনও সাহস ভিজিয়ে রাখা
ভীষণ বিবাদ।
আছে শুধু আদরের বেওয়ারিশ দাগ।
প্রাণপণ চাষারে বিশ্বাস।
যতটা যত্ন করে কুড়িয়েছি
শিমূলের পাতার মতো এলোমেলো যতিচিহ্ন, গালভরা ভিক্ষুকের ঝুলি,
ততখানি যে বৃষ্টি রাখিনি নিজের ভিতর!
বেয়ে যেতে,বয়ে যেতেও বৃষ্টি লাগে কিছু।
সে কথা কেউ কখনও বলেনি আমায়।
সবুজ গাছের নীচে নামিয়ে রাখলাম
বুকে-হাঁটা অবশিষ্ট অভ্যাস যত।
মায়াহীন কুয়াশার কাছে থেকে যাক
টুকে রাখা মেঘলা বিকেল।
অবুঝের বীজ ধান।
টাটকা আঁধার।
এবার ঝাঁপ দিতে হবে একাগ্র পাতালে।
নিভে আসা নদীটার কাছে।
একরোখা নবীন চরায়।
জানি,
নিজের ছবির কাছেও ঋণ রাখতে নেই।
Comments
Post a Comment