কবিতা - অমর চক্রবর্তী


এই জীবন


বৃহতের দিকে ছড়াতে চেয়েছি এই জীবন 
পারিনি!
মানুষের ভাবনাও বুঝি এইরকম!
ঠাকুর আছ তুমি, থাকবে কতক্ষণ!
এই তো বোধন,এই বিসর্জন!

মন বলেছে তমোনাশে নামতে হবে
মানুষের জন্য অমৃত উৎসব আনতে যে পাতাগুলি হলুদ হয়েছে অকালের শষ্যে,তাকে করতে হবে সহাস্য

বৃহৎ কাকে বলে?
সময় প্রশ্ন করে আমাকে
আমি বলি, মৌলবাদী মানচিত্র আমি মানিনা
বিশ্বাসে রচিত করি উপনিষদের সীমানা

আলোদের হাত ধরে বলি,ও আয়ুষ্মতী ও গোপন
 চলো শুভদের নিয়ে গড়ে তুলি চিরকালের রহস্য-সংসদ 
অরূপ কথায় পূর্ণ করি  এই জীবন

আমি বলেছি কিন্তু আমিই পারিনি চে গুয়েভারা পাবলো নেরুদা বোর্হেসের শব্দ বাক্য লড়াইয়ে নিয়ে  যেতে।দেখেছি বঞ্চিত মানুষ আছে তেতে

বৃহৎ তো বেদ উপনিষদ বাইবেল পুরাণ কোরাণ
ধ্রুবজ্যোতি যথায় বিদ্যমান

আমি  কি শোনাতে পেরেছি আলোর মর্মবাণী সুখদুঃখ ভাগ করে নেওয়া অন্নপূর্ণার কাহিনী

পারিনি!

তবে যাক চলে এই জীবন
বিসর্জনের পর
 আবার জন্মস্রোতে ফিরে এসে বলবো, আমি তোমাদের অমিতাভ জাতক
চিনতে পারো! চলো এবার আবার  করি আলোর বর্ণন।

Comments

  1. বাহঃ। দারুণ সৃজন!

    ReplyDelete
  2. বরাবরের মত পাঠশেষে এক মায়া অনুভবে ছেয়ে থাকে,অক্ষরের কায়ায় যাকে প্রকাশ করা যায় না।

    ReplyDelete

Post a Comment