কবিতা - বিটু দাস

 



তোমাকে ভূগোল বলেছি বলেই


আমি যা কিছু ভাবি সবই যখন গোলমাল মনে হয়,
তখন তীব্রভাবে ছুটি 
আর রক্তের প্রবাহের কাছে প্রার্থনা করে 
কাটিয়ে দিই একটা সকাল


এরপর আমি আমার চেতনার পদশব্দের কাছে দাঁড়াই...
ভাবি এবং ক্রমশ পাগল হয়ে যাই এই ভেবে যে,
আমি কেন অনেক আগে ক্রীতদাস হইনি?


আমি বুঝি অথবা বুঝতে পারিনা... সেটাই বুঝি যে,
আমার এই পৃথিবী কেউ নই
কারণ
আমি যাকে চিনি, জানি, মানি এবং তবু ভুলে যাই
সে আমার কাছে পাওনাদারের পৃথিবী যেন,
আমি যার থেকে কড়াল মৃত্যুভয় পাই
হাতের নরম রেখায়।


আমি তবু পথের মাঝে করুণ ফুল হলেও ভালো হতাম,
আমাকে নেবে না ভাবার আগেই
আমার বৃন্ত দিয়ে উঠে আসতো রাক্ষুসে মরণ!


আমি ঘরের গোপন হয়ে জন্মালে ভালো হতাম,
তুমি অতি যত্নে নিজেকে গোপন করতে আমার বুকে!
আমি সজ্জন আশ্রয় হয়ে তোমাকে অভয় দিতাম
আর তুমি ভাবতে, সব তোমারই কৌশল


এদানীং মাঝে মাঝে মনে হয়
আমি হয়তো বিপ্লবী ছিলাম,
হয়তো পথের দুঃখকে কোলে করে চাঁদ দেখিয়েছি কতদিন,
হয়তো মাঠ ভর্তি ফসলে স্নান সেরেছি,
হয়তো শিশুর হাসি মেখেছি সূর্যস্নানের সাথে!


তোমাকে ভূগোল বলেছি বলেই,
পাখিরা আমার শব্দব্রহ্ম ছেড়ে বৃক্ষপ্রেমী হয়েছে।


তুমি যেদিন সিন্ধু-মা হলে,
আমি তীব্র মৌলিক হলাম
 কেমন যেন একটা শিশু-গুল্মের মতো
তীব্র রোদ থেকে ছুটে পালাতে চেয়ে,
ছটফট করতে করতে, ক্রমশ কাঁপতে কাঁপতে
তোমার উন্মাদ, থৈ থৈ ঋতুবৃষ্টির কাছে
আমার তারুণ্য রেখেছিলাম।

Comments

Post a Comment