তোমাকে পাঠ করা গেলো না ঠিক
রাত্রির আগমনী সানাই বাজাচ্ছিলো
প্রাণোচ্ছ্বল পাখিরা
আকাশের আঁচল বুকে জড়িয়ে
সূর্যদেবতার আশীর্বাদে
জোছনা হয়ে উঠেছিল ষোড়শী যৌবনা।
একে একে কবিতা পড়া শেষ করে
কবিগণ অপেক্ষা করছিলেন
আলোকচিত্রবন্দী হয়ে
যে যার মতো বাড়িতে ফিরে যাবেন...
এমন সময় সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মতো
মৃদু বাতাসের মতো
নিঃশব্দে হেঁটে এলে তুমি
তোমার শরীরে পেঁচানো বারো হাত শাড়ির ছয় কুচি
হাত ভর্তি বাহারি কাচের চুড়ি
তারার সোনালি রঙের ঝিলিক জমেছে গলায়
খোঁপা থেকে ছড়িয়েছে বেলি ফুলের সুবাস
রাঙা ঠোঁট জমিয়ে রেখেছে গোলাপের তাবৎ শুভ্রতা
ততক্ষণে বুঝে গেছি
বুকের ভেতর হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে
তুমি যেনো সমুদ্র সৈকত থেকে
রাত্রির বাতাসে ভেসে আসা শিরশিরে শিহরণ
চোখে চোখ রেখে বললে
কবি এবার তোমার পালা
আমাকে পাঠ করো তুমি...
পাঠ করলাম-
কামিনি গাছের গোড়ায় মাথা নত করে
সেজদা করে সূর্য
তুমি সেজদা করো শিবের উপস্থে
তারপর জানালা দিয়ে ঘরে আলো ঢোকে না বলে
ভেজা চুল শুকোতে শুকোতে
উঠোনের দেয়ালে পেরেক পুঁতে
আঁচল শুকোতে দাও রোদে
তখনও তোমাকে পাঠকরা গেলো না ঠিক-
রুসেলিয়া,
ব্রাউন কালারের দেয়াল ভেবে
যেখানে লোহার পেরেক পুঁতে দাও
সেটা একটা মোষের মতো মানুষের
হৃৎপিণ্ডবাহী বুক...
Comments
Post a Comment