মায়ের ডাক
সারাদিন এঘর ওঘর করে দিন কেটে যায়
এখনও রোদের গন্ধ রেখে যাওয়া পুরনো কাপড়ে।
পড়ে আছে বড়োমামার দেয়া শান্তিপুর পুজোর শাড়ি
খুলেও দেখা হয়নি এতদিনে। বাবাই তো চলে গেল
পুজো ফেলে রেখে। চুলপেড়ে শাড়িগুলো
রং উঠে নরম হয়েছে আরও বহুগুণ। সেসব শাড়ির দিকে
লক্ষ্মীমাসি আড়চোখে তাকায় আর হিসেব করে -
তাকেও বেরোতে হবে নতুনের খোঁজে ।
জীবন তো এভাবেই বয়ে যায় ঠিক। মনে ভাবি
আমরা কী খুব বেশি পেতে চাই জীবনের কাছে?
সামান্য শেষের দেখা চলে যাওয়া কালে, তাকেও কী
অন্যায্যই মনে হল জীবনের কাছে? অথচ অচেতন শুয়ে
মার চোখ থেকে নাকি অঝোরে জল পড়ছিল।
মা কী কিছু আশা করে অপেক্ষায় বসে ছিল তবে?
কী বলতে চেয়েছিল শেষবার অস্ফুট অক্ষরে?
শুয়ে আছি রেখে যাওয়া অন্ধকার বিছানা বালিশে।
নিঃশব্দ চাকায় এসে সিঁড়ির কাছে দাঁড়ায়
সাদাফুলে পরিশ্রান্ত ঘুমহীন বিদায়সাথী গাড়ি ,
সুস্পষ্ট কণ্ঠের ধ্বনি শুনি যেন কানে-
মঞ্জু মঞ্জু বলে ডাকছে আমার মা।
অসাধারণ...মন ছুঁয়ে গেল
ReplyDeleteখুব ভাল লাগল
ReplyDeleteভালো লাগলো l
ReplyDeleteখুব ভাল এবং ভাল লাগল দাদা।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগল
ReplyDelete