গদ্য - মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস


স্তব্ধতার নির্জনে এখন


বহুদিন হয়ে গেল অক্ষর আর শব্দ বন্ধুত্ব।আরো বহুজনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি আমি। কথা হয়, হাসির তীব্রতা কখনো মৃদু কখনো স্থায়ী। ধারাভাষ‍্যে খুব কাছ থেকে দেখি কিছু মানুষ দেখেছি অনুসরণের ইচ্ছে হয়েছে, কখনো হয়নি, দূর থেকে ক্রমে দূরে চলে গেছি।আসলে এখন গ্রহণ বা অবজ্ঞার ধার খুব বেশি করে চোখে পড়ে। আমি কোন দশকে বিরাজ করেছি বা এখনো করছি সেসব হিসেব করিনা।জন্মে থেকে জ্ঞান হওয়া পর্যন্ত মনে পড়েনা রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্র, বিবেকানন্দ ছাড়া সময় কাটিয়েছি।ঘরের ধারার বেড়া জুড়ে যেমন এঁরা বিরাজ করতেন তেমনি শরিকি দেয়ালে রবীন্দ্রনাথের খুব মূল‍্যবান ছবি থাকত, যা তখন সচরাচর পাওয়া যেতনা।এখন যেমন ইউটিউবে গেলেই বিদেশ থেকে স্বদেশের ছবি মূল‍্যবান কি সুলভ সব পাওয়া যায়।আমরা সে ছবি দেখেছি রবীন্দ্র রচনাবলীর পৃষ্ঠা উলটে। বড়রা দেখালে।সময় গেছে বদলে গেছে, বদলে যাচ্ছে আক্ষরিক অর্থেই, ভাল মন্দে। বই নেইতো কি! ডাউনলোড আছে অনলাইন আছে।গুগ্ ল আছে আরকি! ওর ই মধ‍্যে কারো কারো ছাপার অক্ষরে বই হাতে না নিলে পড়া ঠিক হয়না। আমি তো ঐ পরের দলে।শান্তি পাই ওতেই। কথালহরীতে লেখার ডাক পেলে দুহাত খুলে যায় মন ও। এবার দেরি হল, ভাবছি সময় ফুরোলে  কবিতার কাছে এসে দাঁড়াই।বুকের ভিতর শব্দ মেঘ, বৃষ্টির আলপনা কাঁপন জাগায়। যুদ্ধ দামামা বাজে। অভাব দারিদ্র বেনিয়ম কতরকম পরিবার ঘিরে থাকে। শব্দ আর ধোঁয়া গুমরে উঠেছে পুড়িয়ে দিয়েছে আশপাশ। পাহাড়ে পাহাড়ে আগুন লেগেছে গাছের শুকনো পাতায় পাতায় আগুনের ফুলকি। নদীর পাহাড়ী জলস্রোত বেঁধে দেওয়া আর বিপুল চেষ্টায় থমকে আছে গভীর জল। উপচে উঠেছে। আকাশে ধোঁয়ার রঙ...মনখারাপের বিদ‍্যুৎ...


অববাহিকায় কিছুক্ষণ

---------------------

পাহাড়ে খন্ডহরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আকাশে যেটুকু দেখা যায় শ্রাবস্তীর
লেখা আঁকিবুকি স্তব্ধতার অমলতাসে
সবুজ পাতার ফুরফুরে বাতাস ধোঁয়া রঙে
প্রিয় মুখ লেগে থাকে অসীম ক্ষমায়
পাহাড়ের শরীর ভাঙছে বিস্ফোরণে
পাথরের খাঁজের বন‍্য বাড়ী ভাঙছে শুধু ভাঙছে
পায়ে পায়ে নেমে আসে ওরা মানুষের
দেশে, ভাল আছে! পথের কোণে কোন শরীর
রক্তমাখা কখনো ঘুম বন্দুক শরীরে
বন্দী অন‍্য এক অভয়ারণ‍্যের দিকে... ভাল থেক প্রিয় মুখ, প্রিয় স্বপ্নেরা

Comments

Post a Comment