গল্প - মানবেন্দ্র সাহা



বিসর্জন

                              

"হ্যালো হ্যালো....।"

"হ্যাঁ শুনতে পাচ্ছি বলুন।"

"আপনার বাড়ির সামনের সাইনবোর্ডে দেখলাম আপনি ফাইভ থেকে এইট পর্যন্ত সমস্ত সাবজেক্ট যত্ন নিয়ে পড়ান।"

"তা পড়াই বটে। যত্ন না নিয়ে পড়লে চলবে না। এ লাইনে এখন খুব কম্পিটিশন।"

"আচ্ছা আপনি -- না না তুমি বলছি। বয়সে তুমি আমার থেকে অনেক ছোট। আচ্ছা তুমি তো ইংরেজিও পড়াও?"

"ওটাতেই  তো আমার অনার্স। ক্রিয়েটিভ রাইটিংটা আমি খুব যত্ন সহকারে শেখাই। নিচু ক্লাস বলে সঙ্গে বাংলা বিজ্ঞান অংক সবই দেখাতে হয়।"

অভিরূপের গা'টা কেমন ঘিনঘিন করে উঠল। অবিশ্বাসের গলায় বললেন, "ইংরেজি পড়াও! সত্যি বলছ তো?"

অপরপ্রান্ত থেকে ভেসে এল, " আপনি আমাকে অবিশ্বাস করছেন বলে মনে হচ্ছে! আর আপনার কে পড়বে সেটাই তো বললেন না!"

অভিরূপ থতমত খেয়ে বললেন, " না না আমার কেউ পড়বে না, সেসব অনেকদিন চুকেবুকে গেছে। ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়েছি। তারা দূরে থাকে তাদের ছেলেমেয়েদের সেই সেই শহরের শিক্ষকরা পড়ান" 

"ভেরি ইন্টারেস্টিং-- কেউ পড়বে না, তবুও ফোন করেছেন।" দিদিমণির গলায় বিরক্তি।

"আচ্ছা যে কারণে ফোন করেছিলাম সেটা বলি। শোনো তোমার ওই ছাত্র পড়ানোর সাইনবোর্ডের বিজ্ঞাপনে দুটো মারাত্মক ভুল আছে। চোখে একেবারে কটকট করে লাগছে।  তাই ফোন না করে পারলাম না। একটা বানান ওই টিউশনি নিয়েই। তুমি লিখেছ টি ইউ টি আই ও এন।এখানে ইউয়ের পর আর একটা আই যুক্ত হবে। আর দ্বিতীয় ভুল বানানটা ওই কেরিয়ার।  যেটাকে তুমি ক্যারিয়ার লিখে মুটে বা বাহক বানিয়ে ফেলেছো। কিছু মনে করলে না তো?"

ও প্রান্ত থেকে একটা রিনরিনে হাসি ছড়িয়ে পড়ল, "এমা,  একেবারেই চোখে পড়েনি। আজকালকার পেন্টারগুলো যা হয়েছে না!-- একেবারে ভুলভাল লেখার ওস্তাদ।"

অভিরূপ হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। একটা কঠিন কাজ সহজেই করতে পেরেছেন। অন্যের ভুল ধরিয়ে দেওয়া যে কী কঠিন কাজ!  অভিরূপ মোলায়েম গলায় বললেন, "তাহলে মা রাখি?"

ও প্রান্ত থেকে হড়বড়ে গলায় বলে উঠল, " না না শুনুন আর একটা কথা আছে। আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই উপকারের জন্য।"

"ধন্যবাদের কিছুটি প্রয়োজন নেই। তুমি যে কিছু মনে করোনি এতেই আমি খুশি। আর হ্যাঁ  তোমার নামটা কিন্তু জানা হল না।"অভিরূপ হাসলেন ।

মেয়েটি বলল, "আমার নাম অজন্তা।"

"বাহ অজন্তা ইলোরা -- মনে থাকবে তোমার নাম।"হেসে বললেন অভিরূপ।

"না কাকু অজন্তা ইলোরা নয়--অজন্তা বিশ্বাস!" 

"আরে অজন্তার সঙ্গে বিশ্বাস যেমন যায় -- ইলোরাও যায়! কি বুঝতে পারলে?"

অজন্তা এবার রহস্য বুঝতে পেরে খিলখিল করে হেসে উঠল,"আপনি দেখছি খুব রসিক।  কাকু আপনার নামটা কি জানতে পারি?"

অভিরূপ রহস্যময় গলায় বললেন, "আমার নাম না হয় নাইবা জানলে-- ধর ওই মোবাইল নাম্বারটাই আমার নাম।"

অজন্তা চটজলদি বলল, "তাহলে ওই নম্বরটা মোবাইল কাকু নামে সেভ করলাম। আর একটা কথা আপনাকে বলছি, যদি ছাত্র পান তবে আমার কাছে পাঠাবেন। দুটো বানান ভুল ছিল ঠিকই, তবুও বলছি যত্নসহকারে পড়াই। আর একটা জিনিস বলে রাখি ছাত্র পাঠালে ছাত্র পিছু এক মাসের বেতন কমিশন বাবদ পাবেন।"

খিলখিল করে হেসে উঠে অজন্তা আবারও বলল, "আজকাল তো কোনো কিছুই বিনে পয়সায় হয়না। তাই রাখঢাক না করেই বলে দিই-- এক মাসের বেতন কমিশন হিসেব পাবেন। সবাইকে এ কথা বলি-- তাতে কিছু কাজও হচ্ছে।"

অভিরূপ থতমত খেলেন, " এখানেও কাট মানি?" তারপরে বললেন' " শিক্ষার মতো একটা ব্যবস্থায় আমিতো ভাই কমিশনের কাজ করিনা।"

অজন্তা অস্ফুটে বলল, " তাহলে? কমিশন ছাড়া আপনাকে আর কিবা দিতে পারি?"

অভিরূপ এবারে বেশ স্মার্ট হয়ে উঠলেন, "কমিশন ছাড়াও আরো অনেক কিছু দেওয়া যায় -- যেমন যেমন...।" বলে অভিরূপ ভাবতে থাকেন। 

অজন্তা হেসে বলল, "সেসব কিন্তু ন্যায়সঙ্গত হতে হবে -- উল্টোপাল্টা চাইলে আমি দিতে পারব না।"

এবার অভিরূপ হেসে বললেন, " আরে বয়স হয়েছে না-- উল্টোপাল্টা কি চাইবো? একটু ভাবতে তো দেবে?" একটু সময় নিয়ে  বললেন,  "পেয়েছি পেয়েছি --বয়স হয়েছে  তো -- একটু ভাবতে সময় লাগবে না! ঠিক আছে যদি টিউশনি ঠিক করে দিতে পারি তবে তোমার বাড়িতে গিয়ে একদিন তোমার হাতে করা এক কাপ চা খেয়ে আসব। তাহলেই হয়ে যাবে আমার কমিশন।"

অজন্ত আবারও খিল খিল করে হেসে উঠে বলল, "তাই ভালো। তাহলে আপনি কিন্তু কথা দিচ্ছেন চা খেতে আসবেন।"

অভিরূপ বললেন, "ভালো থেকো। আজ রাখছি।" মোবাইল অফ করে অভিরূপ ভাবলেন কত কিছু যে জানার আছে! তাই কী কবি বলেছেন -- বিপুলা এ বিশ্বে কতটুকু জানি? আজ সাতসকালে একটা সুন্দর  অভিজ্ঞতা হল। এটা যে তিক্ততায় মোড় নেয়নি -- এটাই বাঁচোয়া।

অভিরূপ মাসখানেক হল চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। ক'দিন শুয়ে বসে কাটিয়ে দেওয়ার পর, একটা বাই উঠেছে কিছু একটা করি। মনে মনে ভাবলেন,  মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মানুষের উপকার করা যায়। ফোন ব্যবহারের কারণে কিছু খরচা হবে। তাহোক, সারা জীবন হিসেব করে চলেছেন। এখন এই বাড়তি খরচটুকু আর গায়ে মাখবেন না। যেমন ভাবা তেমন একটা কাজ করে ফেলে খুব খুশি হলেন।


দুই


ক'দিন বাদেই আবারও অযাচিতভাবে সমাজসেবা করার আর একটা সুযোগ এসে গেল। বিকেলে বাড়ির ব্যালকনিতে বসে অভিরূপ আর তার স্ত্রী সন্ধ্যা দুজনে চা খাচ্ছিলেন। এদিকে রাস্তাটা বেশ নির্জন। সদ্য প্রেমে পড়া ছেলেমেয়েরা এখানে দাঁড়িয়ে দু'দণ্ড কথা বলে। কেউ কেউ পরস্পরের হাত ধরে রাস্তা পেরিয়ে বড় রাস্তায় ওঠে। সেদিন বিকেলে দুটি ছেলে মেয়ে ঠিক ব্যালকনির নিচে দাঁড়িয়ে ঝগড়া করছিল। মেয়েটির বয়স কত হবে উনিশ বা কুড়ি, ছেলেটার বয়স একটু বেশি হবে। মেয়েটির চেহারায় যেন দুর্গা প্রতিমার মুখ বসানো। কৃষ্ণচূড়ার ছায়া  ছায়া জায়গাটাকে আলোকিত করেছে। ছেলেটির চোখেমুখে কোনও বংশ কৌলিন্যর ছাপ নেই। খুবই বেমানান আর খাপছাড়া।

বৈশাখের প্রথম বৃষ্টির জল কৃষ্ণচূড়া গাছের ডালপালা সতেজ হয়ে উঠেছে।  নতুন পাতা ছড়িয়েছে। ব্যালকনির কাছে কৃষ্ণচূড়ার ডালপালায় একটা আড়াল তৈরি হয়েছে। কিন্তু ব্যালকনিতে বসে অভিরূপ দিব্যি দেখছিল ওদের মান-অভিমান। একটু সময় গড়াতেই বুঝতে পারল এটা মান অভিমান নয়। পরস্পরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করছে। উঠে যাবে কিনা বুঝতে পারছিল না। অভিরূপ আর সন্ধ্যা তবুও একটা উৎকন্ঠা নিয়ে বসে থাকলেন দুজনে। শেষে মেয়েটি একটা কালো ব্যাগ ছেলেটির দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বলল," খবরদার তুমি আর আমার পিছু নেবে না। তোমার মুখ আমি আর  দেখতে চাই না। একটা বদমাশ কোথাকার।"

ছেলেটার দাঁত বের করে হি হি করে হেসে বলল, "তোমার টিঁকি আমার কাছে বাধা। কোথায় যাও দেখে নেব। বেশি ঝামেলা করলে মুখে এসিড ছুঁড়ে জ্বালিয়ে দেব। বেরিয়ে যাবে তোমার সুন্দরের বড়াই।"

অভিরূপ আর সন্ধ্যার  বুক কেঁপে ওঠে। যেমন ডাকাতে ছেলে-- সব করতে পারে।

ছেলেটি একটা বিশাল বড় বাইকে চেপে অসভ্যের মতো বিশ্রী আওয়াজ  তুলে চলে গেল। যেন কোনও এক রাজ কার্যে চলেছেন। মেয়েটি উদ্ভ্রান্তের মত টলতে টলতে এগিয়ে চলল বড় রাস্তার দিকে। আগোছাল পোশাক-আশাক। বিভ্রান্তি মেয়েটির সারা শরীরে আর চোখে মুখে ছড়িয়ে আছে।

অভিরূপ নিচে নেমে এসে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে নেয় কালো ব্যাগ। বাড়িতে এসে  ব্যাগ খুলে  চক্ষু চড়কগাছে! চব্বিশটা প্রেমপত্র, পাঁচটা নেলপালিশ, তিনটে লিপস্টিক, একটা সুদৃশ্য বাক্সে লেডিস রিস্ট ওয়াচ। বোঝাই যাচ্ছে এগুলো সব ছেলেটার দেওয়া উপহার। দু'জনে মিলে প্রেমপত্রগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করল। এসব পড়া ঠিক হবে কিনা সেসব নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে ভাবল। শেষে ঠিক করল এর মধ্যে যদি ওদের কোন ঠিকানা বা ফোন নম্বর পাওয়া যায় সেজন্য পড়াই ঠিক বলে মনে করল। ফোন নম্বর বা ঠিকানা সেসব কিছুই পেল না। বরং প্রেমপত্রে অজস্র বানান ভুল আর উল্টোপাল্টা ভুল-ভালে ভরা। প্রেমপত্রগুলো মোটেই সুখপাঠ্য নয়। আর হবেই বা কেমন করে, এমন একটা ডাকাতে ছেলে এর থেকে বেশি কী লিখবে? একটা ফুলের মত মেয়ে কোন বানরের পাল্লায় পড়েছে। মেয়েটার নাম জেনেছে চিঠি থেকে। অদ্রিজা। ছেলেটার নাম অর্কদীপ। কিন্তু ফোন নম্বরটা না পেলে এসব পৌঁছে দেবে কীভাবে? আর এরকম একটা আনরোমান্টিক ছেলের সঙ্গে এমন একটা ফুলের মতন মেয়ের ভালোবাসা হয় কীভাবে? রুচির বলিহারি যাই। রাজনীতি, শিক্ষানীতি, সমাজনীতি সবই যখন নিম্নগামী  তখন প্রণয়ইবা কীভাবে ঊর্ধ্বমুখী হবে?

অভিরূপ আবারও কালো ব্যাগটাকে ভালো করে পরীক্ষা করল। উল্টে দিলে কিছু ছোটখাটো কাগজের টুকরো বের হল। সেসব বিভিন্ন দোকানের ক্যাশ মেমো। দুটো ভিজিটিং কার্ড পেল কোনও এক মিস্টার প্রশান্ত সেনের নামে। নিচে লেখা গভরনমেন্ট কন্টাকটার এন্ড জেনারেল অর্ডার সাপ্লায়ার,  হাকিম পাড়া, শিলিগুড়ি। দুটো মোবাইল নম্বরও রয়েছে। অভিরূপ  নিশ্চিন্ত হলেন যে যোগাযোগের একটা সূত্র পাওয়া গেছে। সম্ভবত ভিজিটিং কার্ডটা অদ্রিজার বাবার হবে হয়তো। অভিরূপ ভাবলেন কীভাবে প্রশান্তবাবুকে এই বিষয়টা তুলে ধরবেন? হাজার হলেও কোনও মেয়ের সম্বন্ধে তার বাবাকে কিছু বলতে গেলে ইতস্তত হয়। না বলেও উপায় নেই। ওরকম একটা মেয়েকে রক্ষা করা তার কর্তব্য। তিনি মৃত্যুর আগে কিছু ভালো কাজ করে যাওয়ার বিষয়ে এখন বদ্ধপরিকর।

অভিরূপ প্রশান্ত বাবুকে ফোন করলেন।  রিং হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে  কারও গলা পাওয়া গেল,  "হাঁ বলছি-- বলুন।"

অভিরূপ নরম গলায় বললেন, " হ্যালো -- আমি কি প্রশান্ত সেনের সঙ্গে কথা বলছি?"

"হ্যাঁ বলুন, বলছি।"

"আপনার মেয়ের নাম কি অদ্রিজা?"

"হ্যাঁ, কেন বলুন তো?"

"ওর ব্যাপারে একটু বলার ছিল-- যদি কিছু মনে না করেন, তাহলে বলি।"

"না না মনে করার কিছু নেই। যা বলার সংক্ষেপে বলুন আমাকে আবার এক্ষুনি বেরুতে হবে।"

অভিরূপ আদ্যোপান্ত যা যা দেখেছিলেন তা বলে ফেলেন। তাতে প্রশান্তবাবুর কোনও হেলদোল বোঝা গেল না।

অপরপ্রান্ত থেকে একটা বিরক্তি মাখা গলা, "আপনারা বড্ড বেশি অন্যের ব্যাপারে নাক গলান। আর শুনে রাখুন আমার মেয়েকে বিয়ে করবে ওই অর্কদীপ। যত্তসব নীতি পুলিশগিরি। আপনাদের কি কোন কাজ কর্ম নেই?"

রীতিমত ধমক খেলেন অভিরূপ। এক্ষেত্রে কী আর করা? মোবাইলটা বন্ধ করতে যাবেন, তখনই শুনতে পেলেন, "জানেন অর্কের বাবা এ শহরের মস্ত ধনী মানুষ। পঞ্চাশটা গাড়ি, দুটো হোটেল, একটা ফাইভ স্টার হোটেলের প্রজেক্ট চলছে, জানেন যে বাইকটা চেপে অর্ক ঘুরে বেড়ায়  -- শুধু শুধু আপনাকে এ কথা বলছি কেন? আমারও কি মাথা খারাপ হয়ে গেল?"

অভিরূপ আর কিছু শুনতে পারছেন না। শুধু চোখের সামনে একটা ফুলের মত মুখ ভেসে উঠল। ব্যাগটা  ফেরত দেবার কথাও বেমালুম  ভুলে গেলেন।


তিন


সাতদিন বাদে রাত দশটা নাগাদ একটা ফোন এল অচেনা নম্বর থেকে।

অভিরূপ ফোন ধরে বললেন, "হ্যালো, হ্যালো।"

ও প্রান্তে কোনও সাড়াশব্দ নেই। তিনি আবারও," হ্যালো, হ্যালো" বললেন। কোনও সাড়াশব্দ নেই। এই রাতে আবার কে  মশকরা করে!

অভিরূপ একটু পরেই শুনতে পেলেন, "আমি প্রশান্ত বলছি।"একটা কান্নাভেজা কণ্ঠ। কথা শেষ করতে পারে না।

"হ্যাঁ হ্যাঁ বলুন।" অভিরূপ শশব্যস্ত হয়ে বলে উঠলেন।

"সেদিন যদি আপনার কথাটা শুনতাম তাহলে হয়তো আজকের দিনটা দেখতে হত না...।" প্রশান্তবাবু ধরা গলায়  আবারও বললেন, "একটু আগে শ্মশান থেকে ফিরলাম।"

অভিরূপ হতভম্ব হয়ে গেল। বোবা কান্নায় চোখটা ভিজে উঠল। দু-প্রান্তই নির্বাক। বোবা কান্নারা ঝুরোঝুরো হয়ে অভিরূপের কানে ভেঙে পড়ছে। রাস্তার ওপর ঝুপসি মতন অন্ধকারের  দিকে তাকিয়ে থাকলেন। ঠিক ঐখানটায় মেয়েটি দাঁড়িয়ে ছিল সেদিন। আর কোনও দিন এসে দাঁড়াবে না মেয়েটা ওই ঝুপসি অন্ধকারকে আলো করতে।

Comments

  1. ভালো লাগলো পড়ে। এ এক মূল্যবোধের লড়াই।

    ReplyDelete
  2. বিষয় নতুন ধরণের l শেষ পর্যন্ত আকর্ষণ বজায় থাকে l গল্পের নায়কের সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে l বেশ ভালো লাগলো l

    ReplyDelete
  3. খুব সুন্দর গতিশীল একটা লেখা

    ReplyDelete

Post a Comment