গুচ্ছ কবিতা - তাপসী লাহা


শবসম্ভব


  ক   

যেখানে  চরে বেড়ায় ঝিঁঝিঁপোকার তান
ডুকরে ওঠে দু এক পশলা গরুর মত কিছু সমীহ সুর
নোনাডোবায় ধুঁয়ে ফেলে সব সম্পর্কস্মৃতি।
শীতল শরীর নিয়ে  পাশ কাটিয়ে যাওয়া সাপের কৌতুহলগুলো...
বেশ কিছুকাল..তারপর... চুপ থাকার মত  সৌন্দর্যবোধ ,রেশ থেকে যায়। 
মাঝে মাঝে ঝড় আসে, উল্টে দেয় ডালি
মরা শরীর, গোপণাঙ্গ দৃশ্যত, পিঁপড়ের ভীড় সৎকার সারে।




  খ   

কতদুর থেকে বুঝতে পারি এবার পথ ঘুরে যাবে, 
অন্য রুট,
বদলে যাবে নাম ঠিকানা 
রক্তের রঙ, চোখের বর্ণ।
আস্তাবল ছেড়ে ছুঁটছে ঘোড়া,
আকাশের পার জুড়ে ধুলোর শ্রাবণ, 
বিবর্ণ চাঁদের জ্যোৎস্নায় ছায়া পড়ে মাটির বুকে
পুরানো খোলস খসিয়ে আমি  পাড়ি দিয়েছি এরোপ্লেনে।
চাঁদের আলো মাখি,জানালায় ভাসে নতুন প্রতিশ্রুতি।




  গ  

খুঁটে যদি খাও, তবু খেয়ে নাও
ধারণ করো , থাকুক প্রতিশ্রুতি 
থালা জুড়ে শায়িত শরীর
বিবিধ সৃজনে নিবেদিত ...
সেভাবেই
সমস্ত খাদকধর্ম মেনে ওষ্ঠ খুলে যায়।
তাপ ঝরা, ধোঁয়া ওঠা এক মৃত্যুত্তোর  বৈদিক কর্মে।




  ঘ  

কোন শব্দ তোমায় ছোঁবেনা। 
সম্মতি পেলে শীতের শেষ গন্ধে ওড়না মেলে ঝাঁঝফুলের  অন্তিম সুবাসমাখা এক বিকাল ও তার অনুগামী সূর্য.... 
এসব নিয়েই কত্ত বার কবিতা লিখে ফেলা যায়।
পাতাকে পাতা আনকোরা এবং উর্বর ছন্দে ও সুগন্ধী ব্যাখায় তোমার ভালোমানুষ মনটা  কখনও মৃৎশিল্প, বা হরবোলা চন্দনা, তার ভিনদেশী রুপকথা।




  ঙ  

তাকে বলেছি আজ
জ্বরের ঘোরে
মুছে ফেলা যেসব পৃথিবীর  গন্ধ নাকে পাইনি সেরকম কিছু.......
স্বরের আভাসে  তারা হয়ে ফুটে ওঠা আকাশের   
ভাসমান জানালায়  হাত নাড়ে আকর্ষের  টান।

Comments

Post a Comment