আর্তলিপি না আর্তনাদ!
(এক)
রাত্রিকালীন নিস্তব্ধতার সুর
দিগন্তে বেজে ওঠে ,
শোনা যায় বেহাগ-
অসময়ের মনখারাপ যেন
ছুঁয়ে যায় বারবার;
ফিরে যাই রোদেলা বারান্দায়
কাঙাল শৈশবের খোঁজে-
দিনরাত সব পারাপার।
(দুই)
দুটি কথা ছিল বলার
নীরবতা ভেঙে ভেসে যাবার,
বিশ্বাসের সাঁকো ধরে-
ওই দূরে চলে যাবার।
চেনা পথ, অচেনা বাঁক
সেজে উঠতো যে ঋতুতে-
তোমার উপেক্ষাভরা ছোঁয়ায়।
তবু রাতশেষে দিন আসত আবার।
(তিন)
পরিযায়ী মনের গোচরে-
নীল ছোপছোপ সমাহার,
শুধু দুঃখ বা জরা নয়
নয় শুধু রুক্ষ্ম হাহাকার।
সবুজ গালিচায় মেশানো-
প্রাণের গুলাল অপার।
দ্বিধা ছেড়ে হও আগুয়ান
সম্মুখে এক তীব্র নদী বহমান।
(চার)
মাটি থেকে আগুন পাই-
সেঁকে নিই তাতে আয়ুকাল,
বাতাসে অশ্রু মিশে আছে
দু'চোখে ছাপিয়ে ইহকাল।
নিজস্ব গুহার সুড়ঙ্গপথে
আলোর অপূর্ব রোশনাই,
ধুয়ে যায় সব অন্ধকার
সাদাকালো পৃথিবীতে-
সুরের বাহার।
ভালো লাগলো ।
ReplyDeleteধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
ReplyDelete