মুগ্ধ
থাক ঐ সব ঘরকন্নার নিত্যকার ঐ গল্পগুলো
বাসনের কথা
আসনের কথা
হাঁড়ি হাতার প্রতিদিনের অভ্যাসগত লড়াই ঝঞ্ঝাট
জল তোলার গল্প
ফুল তোলার গল্প
দিনের শুরু থেকে শুরু হয়ে কে জানে কবে থামবে
হাটবাজারের কাহিনী
জ্বালাযন্ত্রণার কাহিনী
থাক না ঐ সব ঘরকন্নার নিত্যকার ঐ গল্পগুলো
পাশে একটুখানি নাহয় বসতে বলি
হাতে হাত নিঃশব্দে লম্বা পথ চলি
কিছু সময় মুগ্ধ তুমি দেখবে কিছুটা আমি দেখবো!
অনিবার
প্রবল উচ্ছ্বাস বাঁধ ভেঙ্গেছে, ভেঙ্গেছে আল
পুরনো ঘর ভেঙ্গেছে,
দীর্ঘদিনের ভিটে খেয়েছে
যখন ফিরে গেছে খাতে,
রেখে গেছে দো-ফসলী পলল
এবারে তার তলে তলে ভূমিক্ষয়ের কাল,
প্রবল উচ্ছ্বাস যেমন ভূগোলের ক্ষয় করে,
ঠিক তার পাশাপাশি
প্রবল ভূমিক্ষয় বিপরীতমুখী উচ্ছ্বাসেরও ইতিহাস
অনিবার্য ভাবেই।
বৃষ্টি
এখন উঠোন জুড়ে বৃষ্টি
আঁধার নেমেছে চোখে
ঝমঝম ধারা নয় গো
উপত্যকা অধিত্যকা বেয়ে
ভিজিয়ে ভিজিয়ে নামলে
তোমাকে আপন মনে হয়
তোমাকে বুঝতেই পারি না কখনো
মাথার চুল ছিঁড়তে ছিঁড়তে আসো যে বেলা
যে বেলা দাঁত কড়মড়িয়ে ওঠে
বিদ্ধ করে যখন অজস্র তীরের ছোবল
আমার চক্ষু জুড়ে বৃষ্টি নামে
তবু তোমাকেই অদম্য ভালোবাসি
তুমি যে মন জুড়ে নেমেছো আমার!
সন্তরণ
কত দিন পর দেখা হল। অমন মুখ ভার কেন!
আটপৌরে আঁচলে ঢেকে রেখেছো শরীর। তোমার
ঢেউগুলি কোথায়, কোথায় তোমার ছুপছুপে ঠোট।
চেয়েছিলাম নদী ভরা থাকবে, চরা দেখতে চাই না।
পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে সূর্যের ছায়া দেখবো আশা ছিল।
যখন ঢেউ খেলে যাবে , ভেবেছিলাম সুরে দুলে উঠবে
নিতম্ব। তখনি গান গেয়ে উঠবে চোখ, মন, আমার
শরীরী প্লাবন।
কত দিন পর দেখা হল। অমন মুখ ভার কেন! অমন
স্থির জলে যেখানে আর কোন যুবতী ঢেউ নেই,
এমন পৌষালি নদীতে কেমন করে দেবো সন্তরণ!
বুদ্বুদ
ডুবে গেছে শরীর বুদ্বুদ
ধানী জমিতে শুয়ে আছে অঘ্রানের এলিজি
ক্যানভ্যাসের বর্ডার লাইন ধরে
এক নিরন্ন বাতাস ফিসফিসিয়ে ওঠে
আমলকি গাছে ওরা দুলে দুলে উঠছে
পেন্ডুলাম।
ধুইয়ে দিই
ঐ যে অশোক দেবদারু দাঁড়িয়ে
ওর নাকের ফুটোয় আঙ্গুল চালিয়ে দেখো
কত গাদ জমেছে
বড় বড় হস্তিকর্ণ যে সেগুনবৃক্ষ -
তার কানে কাঠি করে দেখো
কত ধুলো বালি কাদা জমে অধঃক্ষেপ,
দিন যায় যুগ যায়
ঢলে পড়ে হলুদ আমলকি
খোলের দুর্গন্ধে ঘরময় এই পরিসর
ইচ্ছে করে
নদীতে লাশের মত শুইয়ে দিই
নাঙ্গা করে নিজেকে আচ্ছা করে ধুইয়ে দিই
আপাদমস্তক!
Darun hoyeche, sob cheye valo laglo mugdho r brishti, 👌👌👌
ReplyDelete