পোড়াদহ মেলা
সাইকেলের টায়ার চালিয়ে স্বপ্ন
কুঁড়াতাম কৈশোরে
প্রতিদিন ভেবেছি ঘূর্ণনের ভিতর
সূর্য উদিত হয়
পিথাগোরাসের সূত্র মানিনি কখনো
আইলপথ আমার প্রিয় সাইকেলের রানওয়ে
আমি দৌড়াতাম একটা ভোরকে পাশে নিয়ে
গাবতলী পার হয়ে যেতাম পোড়াদহ মেলায়।
বাড়ি ফিরতাম সন্ধ্যার টিউবলাইটের
আলোয়
চেলোপাড়া ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে
আকাশ দেখা শিখেছি
যার নিচ দিয়ে বয়ে যায় কৈশোরের
করতোয়া নদী
দূরের আইলপথগুলো সন্ধ্যায় জোনাকপোকার
টর্চে
আকাশগঙ্গা হয়ে কুতকুত খেলে ঝোপঝাড়ে
মেলা থেকে কিনে আনতাম রাশি রাশি
আনন্দ
উঠোনে আম্মার পায়ের কাছে রেখে
দিতাম
ঘানিভাঙা সরিষার তেলের বোতল
যে তেল শীতকালে দিতো সুগন্ধি ঝাঁঝালো
ওম।
দেখেছি, মেলা মানেই নতুন জামাইয়ের
হাসিমুখ
কুপি জ্বালিয়ে যার অপেক্ষায় আলতা
রাঙা পা যুগল,
আমাদের কৈশোর দূরন্ত বাছুরের মতো
অবাক বিস্ময়ে
ঘুরে বেড়াতো করতোয়ার পাশে কচিঘাসের
জাজিমে
মহিষের পিঠে চেপে দিনমান ডুবে
যেতাম
কিশোর থ্রিলারের সেই সব বীর কাহিনির
গুহায়
আরব্য রজনী হেঁটে আসতো চানমারী ঘাটে।
পোড়াদহ মেলায় আমি একটা ওড়না উড়তে
দেখেছি।
Comments
Post a Comment