শীতের ঘন্টার মাথা
আজকের বিশেষ বিশেষ খবর হলো ঘন কুয়াশায় আপনার চোখ রেটিনার খোলসকে শাদা করে দেবে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে তড়িঘড়ি পশমশিল্পের মেলা বসিয়ে বিতরণ করতে লাগলো সজাগসুযোগ সংঘ। এদিকে রোদের তাপমানের কম্পাঙ্ক কম হতে দেখে হনুমানজী যে সূর্যকে মিষ্টি ফল ভেবে খেতে যাচ্ছিলেন সেই বজরঙবলি তাঁর লেজের আগুন পাঠিয়েছেন সূর্যের দুয়ারে। এখন রবির গায়ে হিট দেওয়া হচ্ছে কয়েকটাদিন। আবহাওয়ার দপ্তর তো সকালসকাল তাইই জানালেন।
সুতরাং
এই ফাঁকে কেউকেউ ঘরে হিটার চালিয়ে দিয়ে শরীরে উষ্ণতা আনার আপ্লান চেষ্টা চালাচ্ছেন কিন্তু ফল ঠিকঠাক পাচ্ছেন না। আসলে উষ্ণ স্রোতের কোষে রিঙ্কলের তেলরঙ পড়লে যতই
ফায়ারপ্লেস বানাও; সেখানে ডুব দেবার চেষ্টা করো ফলত বিসমিল্লাহ খাঁর বিরহ, ডালে বসে গাইছে, বিষয়টা ছোট হতে হতে এখন হাতের মুঠোর মধ্যে ঢোকানো যায়। বাইরে বেড়িয়ে আসবে না যতই ঘষাঘষি করো না কেন।
কেউকেউ গেলাসেগেলাসে টেবিল সাজাচ্ছেন। তা ভালো। শরীরে উষ্ণতার জন্য কাঁচা রসুন খেয়ে যারা আছেন ওনারা কাঁচের জানালা দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখুক। ব্লাঙ্কেটে মুড়ে পড়ে থাকুক। হিসিপিসিতে মোচড়
ভাঙুক। এটুকুই
যা কষ্ট। আর যারা চিয়ার্স ঠুকে ফায়ারপ্লেসে যাচ্ছেন তাদের জন্য শুভেচ্ছা রইলো। নব জীবনের জয় হোক। বরফের ঊলগুলি ঝরে পড়বার আগেই জলপাইতলায় যাওয়া উচিত। অলিভ ওয়েলে যৌবন ফিরিয়ে এনে জাপানীদের দেখিয়ে দেয়া দরকার তোমাদের
ইস্ট না খেয়েও আমরা কচি ধানের শিসে শিষ দিয়েদিয়ে বেঁচে আছি। জমির আল বেয়ে বৈঠা হাতে পেড়িয়ে যেতে পারি এই
নদী সেই নদী। বরফজলের ধারা যৌবনের
ছোঁয়ায় উষ্ণ প্রস্রবন হয় এ কথা মাথায় রেখো। শুধু ঘষলেই সবসময় লটারি
পাওয়া যায় না। যাদের টায়টায় ফিস উঠে আসে তাদের জন্য সূর্যদেব
জাগ্রত হবেন নিজের স্বমহিমায়; তাই কালের চক্রে তুমি আজ বোবা তো যুগের পরে তুমিই আবার খিলখিল হাসিতে হামাগুড়ি। অক্ষরেখা শুয়ে পড়লেও দ্রাঘিমাংশ লম্বা হচ্ছে বলা যায়। যত ধাক্কা তত ব্যথা। সব ধাক্কার অর্থ তো এক নয় ! সুতরাং
যতদিন ঠান্ডাঠান্ডা কুলকুল ততদিন ব্র্যান্ডি ঢালা যেতে পারে ফায়ারপ্লেসে। হাড়ের ভেতর দিয়ে পুরোনো মজ্জা ফেলে বিজ্ঞানের দানে নতুন মজ্জার রস সিরিঞ্জ দিয়ে প্রবেশ করতে অর্থের প্রয়োজন সেইদিকে উঁকি না দিয়ে বরং এসো
"আমরা নতুন যৌবনের দূত" গাইতে গাইতে পার করি জুবুথুবু ঠান্ডার ঘনত্ব আর বিল্বপত্রাঞ্জলিতে অর্পন করি শিমূল পলাশের লাল.....
বেশ জমাটি, উপভোগ্য গদ্য।
ReplyDelete