গল্প - আশিস ধর


যৌতুক       


মুসৌরির ওকগ্রোভ স্কুল। ক্লাস থ্রিতে ভর্তি করাতে নিয়ে গিয়েছিলাম সুমনকে। সে সময় আনন্দ নায়ারের সাথে আমার পরিচয়। উনিও এসেছিলেন কেরালা থেকে। ওনার ছেলে রবিকে ক্লাস থ্রিতে ভর্তি করাতে। সেই থেকে আমরা অকৃত্রিম বন্ধু। কো এড রেসিডেন্সিয়াল স্কুল। আমার রেলওয়ে কর্মস্থল ছিল অসমের শেষ প্রান্তে ডিব্রুগড়। রেলওয়ের কর্মচারীদের ওয়ার্ডদের জন্য এই ইংরেজী মাধ্যম স্কুল।


প্রথম প্রথম ছেলের সাথে সাথে আমারও বিচ্ছেদের যাতনা মনকে ছুয়ে যেত। নিজেকে কোনমতে সামলিয়ে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সুমনকে নিয়ে যেতাম মুসৌরি। ট্রেনে আমার ছেলেটা সারাটা রাস্তা জানলার কোনায় মুখ লুকিয়ে কাঁদতো। কোন কিছুই প্রায় খেতে চাইতোনা। নিজেকে খুবই অপরাধী মনে হোত। রিক্তার দিকেও তাকাতে পারতাম না। আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বলতো-সবসময় ভাবি ছেলেটা কি খাচ্ছে, কি করছে।


 

সুমন ক্লাস এইটে ওঠার পর আমি আর যেতাম না মুসৌরি। সুমন একাই যেত আসতো। অবশ্য এরমধ্যে অসমের বিভিন্ন যায়গার ছেলেমেয়েরা ভর্তি হয়েছিল ওকগ্রোভে। আনন্দ নায়ারের সাথে আমার দেখা সক্ষাৎ কমে গেলেও যোগাযোগটা ছিল। অবশ্য ওনাকে আসতে হোত ওকগ্রোভ স্কুলে। কেননা আনন্দ নায়ার ওনার ছোট মেয়ে কল্যাণীকে ভর্তি করিয়েছিলেন ক্লাস ফোরে। সুমনরা সেসময় ক্লাস এইটে।


সময়ের সাথে সাথে ওরা একসময় মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বেড়িয়ে আসলো। হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করবার পর সুমন জিদ ধরল এনডিএ ফর্ম ফিল আপ করবে। আমি না করিনি। শুনে খুবই মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছিল রিক্তা। সুমনকেও না করেছিল বারবার। আমি ছেলের পক্ষ নিয়ে আস্বাস দিয়েছিলাম রিক্তাকে- আরে তুমি এত চিন্তা করছ কেন! ফর্ম ফিল-আপ করলে হয়ে যায় নাকি? রিটেন, ফিজিক্যাল টেষ্ট, ভাইভা অনেক স্টেপ আছ। দেখনা কি হয়।


সুমনের সাথে সাথে রবি নায়ারও এনডিএতে করেছিল ফর্ম ফিলাপ। সুমনের ছোটবেলাকার ইচ্ছেটা যেন আমার মধ্যেও সংক্রমিত। চাইছিলাম ছেলের মনের ইচ্ছেটা পূর্ণ হোক। তাই হোল। সুমন রবি দুজনেই মনোনীত হয়ে চলে গেল এনডিএ পুণাতে তিন বছরের ট্রেনিং এর জন্য। পুরো ব্যাচের পূণাতেই ট্রেনিং একসাথে। মোট চার বছরের ট্রেনিং। শেষ এক বছরে, আর্মির জন্য যারা অপশন দেবে তাদের ট্রেনিং হবে আইএমএ দেহরাদুনে। এয়ার ফোর্সের জন্য এএফএ কাদাকওয়াসলা, হায়দ্রাবাদ এবং নেভির জন্য আইএনএ এজিমালা, কান্নুর, কেরালা। রিক্রটমেন্টের সময় অপশনের মাধ্যমে ঠিক হয়ে যায় কে কোন দিকে যাবে। সুমনের এয়ার ফোর্সে যাবার ইচ্ছে ছিলো। আই সাইটের জন্য হোল না। এয়ার ফোর্সের জন্য আই সাইটটা মুখ্য।   

  

ট্রেনিংএর সময় রিক্তাকে নিয়ে বার দুয়েক গিয়েছিলাম এনডিএ পুণাতে। ভালই লাগছিল ছেলের হাসিখুসি মুখটা দেখে। কিন্তু ছেলের মা চোখটা এড়লোনা। রিক্তা ফিসফিস করে বলল- দেখছ এই দুদিনে কি রোগা রোগা লাগছে। মাথার চুলগুলো কেটে দিয়েছে একেবারে মুড়িয়ে। বুঝতে পারছিলাম, কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে ওদের। বললাম- তুমি চিন্তা কোরনা। কাচা লোহাকে গড়েপিটে এখানে ইস্পাত বানাবে ওরা। তবেই তো শত্রুর সাথে লড়াই করতে পারবে।


সুমনদের পুণাতে কেটে গেল তিনটে বছর। একবছরের জন্য ওদের ইন্ডিয়ান মিলিটারি এ্যাকাডেমি দেহেরাদুনে ট্রেনিং। ফাইনাল ইয়ার। এরমধ্যে ওরা জেএনইউ থেকে বিএ পাশ করে নিয়েছে। ওদের সবাইকে গ্রেজুয়েট হতেই হবে। আইএমএ দেহেরাদুনে এক বছর আর্মিতে ট্রেনিং পাওয়ার পর ওদের পাস আউট প্যারেড হয়। ওই পাস আউট প্যারেডে সবাইকে কমিশনড দেওয়া হয়। এই পাস আউট প্যারেডে আমরা গার্ডিয়ানরাও আমন্ত্রিত হয়ে ছিলাম উপস্থিত। সেসব স্মরনীয় দিনের কথা মনে পড়লে এখনও গায়ে কাঁটা দেয়। পাস আউট প্যারেডের পর সুমন ওর একজন ভুটানী বন্ধুর সাথে আমাদের  করিয়েছিল পরিচয়। জানতে পারলাম। আশেপাশের ছোট ছোট মিত্র দেশ থেকে প্রতিবছর বেশ কিছু ক্যাডেট সেই দেশের সুপারিশে এনডিএ তে ট্রেনিং নিতে আসে।


দেহারাদুনে সুমন আমাদের দুজনকে একসাথে জড়িয়ে ধরে বলেছিল- তোমাদের সুমন আজ পূরণ করতে পেরেছে তার স্বপ্ন। এটা সম্ভব হয়েছে কেবলমাত্র তোমাদের জন্য। অনেক কৃচ্ছ্রসাধন করতে হয়েছে তোমাদের। আর নয়, তোমার ছেলে তোমাদের পাশে দাড়িয়ে গেছে।


ভারতের নানা প্রান্তে বিশেষ করে বর্ডার এরিয়ায় তে লাগলো সুমনদের পোষ্টিং। এরমধ্যে প্রমোশন পেয়ে সেকেন্ড ল্যাফটেনান্ট থেকে ল্যাফটেনান্ট। বছরে একবার দুমাসের জন্য বাড়িতে আসে। মাঝে একবার ছুটির সময় রবির সাথে ওদের বাড়ি কান্নুর থেকে এসেছে ঘুরে। বাড়িতে এসে মার কাছে রবিদের বাড়ির কথা শতমুখে বলতে লাগলো সুমন- জান মা, কল্যাণী ছোট বেলায় কি রোগা পটকা ছিল।


রিক্তা অবাক হয়ে বলল- কল্যাণী! সে আবার কোন মেয়ে?

-মা তুমি দেখছি সব ভুলে যাও। আরে রবির বোন। ওকগ্রোভে আমি যখন এইটে, কল্যাণী সেইসময় ভর্তি হয়েছিল ক্লাস ফোরে। লিকলিকে রোগা চেহারা দেখে ওর পেছনে খুব লাগতাম। এবার ওদের বাড়িতে গিয়ে ওকে দেখে আমি তো থ। রোগা মেয়েটা কি যে সুন্দর হয়ছে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেনা।


মৃদু মৃদু হাস্যে মুখে আঁচল দিয়ে রিক্তা উপভোগ করছিল সুমনের কথাগুলো। ওকে উসকে আবার বলল- কেরলার মেয়েরা কালো হলেও বাঙ্গালী মেয়েদের মত লাবণ্যময়ী। সুমন নিজেকে আর চেপে রাখতে পারলোনা। উচ্ছসিত হয়ে বলল- ঠিক বলছ মা। আর একটা কথা। কেরালার সব মেয়ে কালো নয়। তুমি ভাবছ কল্যাণী কালো। তা নয়। খুবই ফর্সা।                       

রিক্তা আকর্ণবিস্তৃত হাসিতে মুখ ভরিয়ে, সুমনের গালে হাত বুলিয়ে ফিসফিস্ করে বলল- তোর কল্যাণীকে খুব পছন্দ তাই নারে? তোর বাবাকে বলবো? সুমন মাকে জড়িয়ে মুখ লুকালো।       

      

পরে রিক্তা আমার কাছে সব খুলে বলেছে। আমি ছেলের ইচ্ছেকেই সমর্থন করেছি। তবে রিক্তাকে বলেছি, খোলাখুলি জিজ্ঞেস করতে ছেলেকে। কল্যাণী কেরালার মেয়ে। হিন্দু হলেও ভাষা খাওয়া দাওয়া বসন ভূষণ সংস্কৃতির অনেক তফাত। তদুপরি ওরা ব্রাহ্মন, আমরা কায়স্থ। আনন্দ নায়ার আমার বন্ধুস্থানীয় হলেও এই রিস্তায় রাজী না হতেও পারে। সেটা মাথায় রাখতে হবে। তাছাড়া রিক্তা, ওদের আর্থিক সামাজিক অবস্থান তুমি কল্পনা করতেও পারবেনা। শুনেছি ওদের নিজস্ব অনেক বড় রাবার কলা বাগান আছে।


রিক্তা সুমনকে সাথে নিয়ে এসে আমার সামনে দাড়ালো। ফর্সা লম্বা যৌবনদীপ্ত বলিষ্ঠ চেহারা। মেয়েরা আকর্ষিত হবে এটাই স্বাভাবিক। বসতে বলাতে সহজাত নম্রতায় মাথা নীচু করে বসলো। মৃদু হাসতে হাসতে বললাম- বাঙালী মেয়ে হলে সবাই খুশি হোত। তবু তোর যাকে ভাল লাগবে তাকে বিয়ে করবি, এটাই আমাদের মত।


পরে ধীরে ধীরে বললাম-দেখ, বিয়েটা একটা সামাজিক অনুষ্ঠান। শুধু একপক্ষের মতামতের ওপর নির্ভর করেনা। আর দুপরিবারের মধ্যে আর্থিক সামাজিক পারিবারিক সামঞ্জস্য থাকা বাঞ্ছনীয়। সুমন, তুই নিশ্চয় আমার কথা বুঝতে পারছিস। আর দুই পরিবার যদি এই অসামঞ্জস্যতা সত্বেও ছেলে মেয়ের ভালবসাকে মর্যাদা দিতে এগিয়ে আসে। তবেই একটা সর্বাঙ্গসুন্দর বিবাহ তে পারে। কল্যাণীর সাথে বিয়ের কি কোন কথাবার্তা হয়েছে?


-হ্যা, হয়েছে। কল্যানী বলেছে, ওর বাবা দাদার আমাকে খুব পছন্দ। মনে হয় ওঁরা আপত্তি করবেনা। এও জানতে চেয়েছে তোমাদের মত আছে কিনা। আমি বলতে পারিনি।                        

-বলেছি,আমি অপেক্ষা করতে রাজী আছি। তবু দুই বাড়ির অমতে কল্যাণীকে বিয়ে করবোনা। ওকে বলেছি বাড়িতে বলতে।   

    

সুমনের ছুটী শেষ হয়ে আসছিল। কয়েক দিন আগেই চলে গেল অরুনাচলে জয়েন করতে। যাবার দিন পনের পর চিঠি পেয়েছি। মায়ের কাছে লেখা চিঠিতে পৌছখবর, আর অরুনাচলের আবেগ মেশানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা ছাড়া আর বিশেষ কিছু নেই। কেবল লিখেছে কল্যাণীর কলেজের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। অন্য কোন কথা হয়নি।


এরপর মাস ছয়েক সব সুমন চুপচাপ। ঠিক তার কয়েকদিন পর। আনন্দ নায়ারের ফোন পেলাম। কুশল সমাচারের পর। বারবার করে বললেন, রিক্তাকে নিয়ে একবার কান্নুর ঘুরে যেতে। অনেক কথা নাকি আছে। এও বললেন, ছেলে রবিও ছুটীতে আসছে।


ঠিক করলাম যাব কান্নুরে। সব সামলিয়ে যেতে যেতে আমাদের প্রায় মাসখানেক লেগে গেল। এরমধ্যে আনন্দ নায়ারের আর একবার এসে গিয়েছিল ফোন। আমরা যেদিন পৌছালাম কান্নুর। তার আগের দিন ভারী বর্ষণ হলেও সেদিনটা ছিল রৌদ্র করোজ্জ্বল একটা দিন। চারিদিকে গাছ গাছালি। খুব সুন্দর মনলোভা প্রাকৃতিক পরিবেশ। বিকেল বেলা আমরা গিয়েছিলাম ওদের রাবার বাগান, কলা বাগান দেখতে। সঙ্গে গনেশ বলে মাঝবয়সী একজন কাজের লোক ছিল। ভাঙ্গাভাঙ্গা ইংরাজিতে সব কিছু ওর সধ্যমত আমাদের বোঝানোর চেষ্ট করছিলো। গনেশের সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম নায়ার যৌথ পরিবারের বড় ব্যবসা। বছর বছর কয়েক লাখো কোটিতে আমদানি।


ফেরার পথে রবি আর কল্যাণী অনেকটা পথ এগিয়ে এসেছিল আমাদের নিতে। আমরা এসে ওদের দেখিনি। খুব দরকারে কোথায় যেন গিয়েছিল ওরা। রবি পরিচিত। কল্যাণী হাসিমুখে মাথা নীচু করে দুহাত জুড়ে নমস্কার করে সরে দাড়ালো। শেষ বিকেলের পশ্মিম আকাশে সাত রঙের লালিমায় কল্যাণীকে অপূর্ব সুন্দর লাগছিলো। চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। অনেক কথাই হোল ওদের সাথে।


ওরা যৌথ পরিবার। পরদিন অপরাহ্নে আমরা সবাই বসে আছি। নায়ার পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরাও আছেন। খানিকক্ষণ পরে সালঙ্করা কল্যাণী স্মিত হাস্যে জোড় হস্তে অপরূপ ভঙ্গিমায় আমাদের সম্মুখে এসে দাড়ালো। ওকে বললাম বসতে। ওকগ্রোভ পড়া মেয়েকে এত সুন্দর শাড়ি পরে গুছিয়ে বসতে দেখে আমরা দুজনেই অবাক।


একথা সেকথা বলার পর আনন্দ নায়ারের স্ত্রী সুলক্ষ্মণা বললেন- আমার মেয়ে রন্ধন এবং নৃত্য পটিয়সী। আপনারা কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেন।


রিক্তা মিষ্টি হাসতে হাসতে বলল- আমাদের আর কিছু জিজ্ঞেস করার নেই। ওর সাথে আমাদের আগেই কথা হয়ে গেছে। তুমি যেতে পার কল্যাণী।


সুলক্ষ্মণা রিক্তার দিকে তাকিয়ে বলল- ভাল কথা। দিদি, বিয়ের ডেটটা পরে ঠিক করা যাবে। ছেলে মেয়ের পছন্দের বিয়ে লেও আমরা কুষ্ঠি বিচার করে দেখবো। একটা কথা কোন দ্বিধা না করে বলছি। এবার খোলাখুলি যৌতুকের কথা হোক। আমি সকলের সামনেই বলছি। আমি আমার একমাত্র মেয়েকে আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য মেনে হীরে, সোনার গয়না দিয়ে সাজিয়ে দেব। সেসাথে যৌতুক। তাছাড়া আরো কিছু পণ, যৌতুক লাগলে নির্দ্বিধায় বলুন।


আমি জানতাম সাউথে পণ, যৌতুকের ভালোরকম চল আছ। সেটা অবশ্য পাত্রের শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরির পজিশনের ওপর নির্ভর করে। কিছুদিনের মধ্যে পদোন্নতি হয়ে সুমন কর্ণেল হবে। এরকম সবদিক দিয়ে মনোমত পাত্রের এত কদর হবে আমার জানা ছিলনা। পুত্রের গর্বে গৌরবান্বিত হয়েও কোন রকম অকল্পনীয় প্রাপ্তিতে মনটা সায় দিচ্ছিল না। বিয়েতে প্রত্যক বাবা-মা ভালবেসে তার মেয়েকে সাজিয়ে দেবে। এটাই তো আমাদের চলতি প্রথা। আবার পণ, আরো যৌতুক!     


তাকিয়ে দেখলাম রিক্তা আড়ষ্ট হয়ে বসে আছে। বিষ্ফারিত দুটো চোখ। কি জবাব দেব! দুজনেই চুপ করে বসে থাকি। আমাদের মৌনতায় সন্দিগ্ধ সুলক্ষ্মণা আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে আবার বলল- কম হোল? আপনারা তো কিছু বলছেন না। আমাদের পরিবারের ওই একমাত্র কন্যা কল্যাণী। আমাদের ওর বিয়েতে অদেও কিছু নেই।


ইঙ্গিতটা বুঝতে অসুবিধা হোলনা। হাতজোড় কোরে বিনীতভাবে হাসি মুখে বললাম- আমরা জানি, আপনাদের  মেয়ের জন্য অদেয় কিছু নেই। কল্যাণী আমাদেরও মেয়ে। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত আভরণে কোনরকম পণে আমাদের রুচি নেই। আসুন, আমরা দুবাড়ি মিলে সৌভাগ্যবতী কল্যাণীকে হালকা গহনায় সুন্দর করে সাজিয়ে সুমনের সাথে বিবাহ সুসম্পন্ন করি। ওদের বিবাহত্তোর জীবন সুখের হোক আপনাদের আমাদের এই প্রার্থনা।

Comments

  1. একটি সুন্দর নিটোল গল্প এবং সুখপাঠ্য।

    ReplyDelete

Post a Comment