মহামারী ও অনন্ত ছাদজীবন
(৯)
দাঁতের ফাঁকেও ছাদ ঢুকে পড়ছে
চোখের কোণে অল্প ছাদের ছায়া
আমি ওকে যতই অনিশ্চয়তার শব্দ বলি
ও ততই হাসপাতালের চোরাগোপ্তা রোদ হয়ে ওঠে
হয়ে ওঠে স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া সবুজপাতা
আমি ওকে রোগের ট্র্যাম্পোলিন দেখাই
ও আমার চুলের ভেতর সভ্যতার গান বেঁধে দেয়
আমি যতই ওকে সিঙ্গল ডাইমেনশনের খেলা বোঝাই
আমার ছাদ খোলা শূন্যকে ফুলদানীতে সাজায়
এইসব টানাপোড়েনের স্বাধীন মিউজিক
ঘরের আনাচে কানাচে পাঠায় জ্যোৎস্নার গন্ধ
চামড়ার নীচে ক্রমশ চাঁদ জ্বলে ওঠে
(১০)
ছাদ আর আমি আজকাল নৌকো ভাসাই
ও আমাকে বলেছে সূর্যের ওপিঠ না দেখতে
ওর গা থেকে তখন কালো নুনিয়া চালের গন্ধ
আমি পুরনো শস্যদানা খুঁটে খুঁটে তুলি
দুপুরের মজলিসি গল্পমাখা সেসব
গাছের নদী... পাখিদের ছায়া পেরিয়ে
আমরা সমুদ্রে যাই
সূর্যের এপিঠ ভাঁজ করে নোনা জলে মিশিয়ে দিই
ওপিঠ আমি দেখি না কখনো
মহামারী আর মৃত্যুর শব্দ যত অজানা থাকে
এপিঠের আলো ততই সামুদ্রিক হয়
ততই অচেনা হাসির মাঝি হয়ে ওঠে।
" সূর্যের এপিঠ ভাঁজ করে নোনা জলে মিশিয়ে দিই ".......দুর্দান্ত উচ্চারণ!
ReplyDeleteদুটোই চমৎকার।