দুটি কবিতা - মহুয়া



মোহ

শহরের বর্ষা বা বসন্ত

কবিতার খাতা উজাড় করা সবটা

ভোলা কি যায়

অপেক্ষায় আজও বসে আছে প্রতিটি লোমকূপ।

রাই শব্দের ভেতর এক যমুনা তোলপাড়

একলা বইঘর পরাস্ত সৈনিকের চোখ

খুব পুরাতন  শব্দ বানের এর আঘাত

হাঁটু মুড়ে বসে ঠোট অভিমান এর কাছে।

জ্ঞানের প্রাচুর্য না ঘাড় বেয়ে নেমে আসা বিন্দু বিন্দু মুগ্ধতা কোথায় ছিল ভালোলাগা।

নাকি সেই বুদ্ধ সন্ন্যাসীর গল্প হবে কিছু জানতাম সবটাই সাজানো গোছানো।

আগুনের কাছে হেঁটে যাওয়া কারো কারো হয় নির্বিরোধ এগিয়ে চলা।

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপাসনার প্রতি এক প্রাচীন মোহ।


শহর

কতটা বয়স হলে অঞ্চল শহর হয় জানিনা। আমার শহরের নিজস্ব কোন গল্প নেই গন্ধ আছে। তাকে দেখতে অনেকটা পুরনো ডাইরি মত কত কথা আছে। সব নিষিদ্ধতার ওপর থেকে পর্দা উঠে গেলে পচা গন্ধ বেরোয়। এই শহরের হাত ধরেই লুকোনো খাম তারপর অনেক বর্ষা ভিজিয়েছে পায়ের গোড়ালি তুমি সব জানো। তোমার শরীর ধরে ছুটে গেছে মন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। মিত্র সম্মেলনে দীনবন্ধু মঞ্চ হিলকার্ট রোড বা তিস্তা। দুই বেনী থেকে একদিন তারপর কাধ ছুঁয়েছে বারগেন্ডি চুল। কি করে পারো এমন করে সব সাজিয়ে রাখতে মাঝে মাঝে দাঁড় করিয়ে দাও কাঁচা আমের দুপুরের পাশে। ভিতু সংসারী মন ভয় পায়। ছাদের বেলি গাছটা এখনো গন্ধ ছড়ায়। প্রান্তিক কিশোর বয়স কেমন দাপুটে ধুলো উড়িয়ে হারিয়ে যায় দুটো শরীর। হিংসা তো হয়। ঝংকার মোড়ের রাস্তাটা অনেক উঁচু সেখান থেকে শপিং মল আর চাঁদ খুব সুন্দর দেখতে। কেউ জানুক আর না জানুক তুমি তো জানো ছাতা ব্যবহারের অভ্যাস আমার নেই তাই ভিজতে হয় প্রতি বর্ষায়। তারপরে না লেখা কবিতারা গলার কাছে দলা পাকায়। আর তো কটা কর বাকি  তাও সেবক পাহাড়ের গায়ে জোনাকি মন উড়ে বেড়ায়।


Comments