গল্প - সুব্রত ভট্টাচার্য


ছবির মানুষজন 

                          

এই যে ছবিটা দেখছেন এটা আমাদের ছোট পারিবারিক ছবি।  পুরো পরিবারের একসাথে  ছবির  সংখ্যা আমাদের খুব কম। আসলে তখন ডিজিটাল ছবি আসেনি। নিজেদের ক্যামেরায় ঘরের ভেতর ছবি তোলা যেত কিন্তু সে ছবি আদৌ ভালো হতো না। নিজেদেরই পছন্দ হতো না।  কোনও একটা অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফার ডেকে পারিবারিক ছবি তোলা হতো। অনুষ্ঠানের দিন মানুষ গুলোকে একসাথে জড়ো করে তারপর তোলা হতো। পারিবারিক মুখের সাথে দু একটা অন্য  মুখও ঢুকে যেত। 

 

এই ছবিতে আমরা হলাম, আমি, আমার স্ত্রী, বাবা মা এবং আমাদের ছেলে। ছবির একদম ডানদিকে আমার বাবা, তারপর মা, মায়ের পেছনে কাঁধে ভর দিয়ে আমার স্ত্রী স্বাতী, মায়ের পাশে আমাদের ছেলে টুটুল আর একদম বা দিকে আমি। 

 

এই ছবিটা কিন্তু আমারই তোলা। পুরীর হোটেলে, আমরা সেবার সপরিবারে পুরী ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমার একটা ইয়াসিকা এমএফ টু ক্যামেরা ছিলো। তাতে একটা ব্যাবস্থা আছে। সব কিছু ঠিক করে, ক্যামেরা জায়গা মতো রেখে তারপর একটা টাইমার সেট করতে হয়। তারপর শাটার টিপে এসে দাঁড়িয়ে যেতে হয়। প্রায় তিরিশ সেকেন্ড সময় পাওয়া যায়। এরপরেই ক্যামেরায় ছবি উঠে আসে। আমি তেমনি ভাবেই ছবিটাতে আছি সবার সাথে। এমন ছবি দুটো তোলা হয়েছিলো , যেটা ভালো হয়েছিলো এই ছবিটা সেটাই।  

 

ছেলেবেলা থেকেই  বাবা আর মাকে খুব বেশী বাইরে যেতে দেখিনি। বাবা বাইরে গেলে খুব  সকালে বেরিয়ে আবার সন্ধ্যায় ফিরে আসতেন। অফিসের কাজেও দূরে খুব বেশী যেতে দেখিনি। মা সারাদিন ঘরের কাজকর্ম নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের চেয়ে পরিবারের সবার ব্যাপারে চিন্তা করতেই ভালোবাসতেন।  আমাদের আত্মীয় স্বজনরা থাকেন খুব কাছেপিঠেই। সেখানে যেতে বিশেষ পরিকল্পনার প্রয়োজন হতো না।  

 

বাবা তখন কয়েক বছর হল অবসর নিয়েছেন। বাড়ীতেই বেশী সময় কাটে।  একদিন জিজ্ঞাসা করলাম --- চলো কয়েকদিনের জন্য পুরী ঘুরে আসি। মা কাছে ছিলেন , তাঁর চোখে মুখে খুশীর ছোঁয়া। বাবা সরাসরি কোনও মত দিলেন না। বললেনদাঁড়া একটু ভেবে দেখি। একটু দূরে যেতে হলে বাবা অনেক কিছু চিন্তা করতেন। ছোট ভাইয়েরা উৎসাহ দেবার পর বাবা রাজী হয়ে গেলেন। 

 

টিকিট কেটে ফেলা হলো আমাদের সবার। তারপর হৃদয়পুর ষ্টেশন থেকে রওনা।  প্রস্তুতি চলল বেশ কিছুদিন ধরে ছোট খাটো জিনিসপত্র, শুকনো খাবার কেনা হলো। প্রত্যেকের জামা কাপড়, ওষুধ পত্র, প্রয়োজনীয় জিনিষ  নেওয়া হলো।  মা এবং স্বাতী মিলে ব্যাগ সুটকেস গুছিয়ে ফেললেন। 

 

সময়মতো আমরা স্টেশনে পৌঁছে গেলাম।  ট্রেন আসতেই আমরা রিজার্ভেশন দেখে উঠে পড়লাম। তার আগে স্টেশন থেকে কেনা হলো শুকনো খাবার, ছোটো আর বড়োদের ম্যাগাজিন।  জিনিসপত্র সব ওপরে নীচে রাখা হলো, নিজেদের আসন দেখে বসে পড়লাম। 

 

এখন  আমাদের নিয়ে ছুটছে ট্রেন। মানুষজন, স্টেশন, সিগনাল পোস্ট সব পিছিয়ে যেতে থাকে। কিছুক্ষনের মধ্যে আমরা লোকালয় ছেড়ে ফাঁকা মাঠের মধ্যে দিয়ে চলতে শুরু করি। পার হয়ে যায় নদী, ছোট ছোট স্টেশন। বাবা আর টুটুল কাঁচের জানালা দিয়ে দেখতে থাকে মাঠ, বাড়ীঘর। সব জিনিষপত্র সাজিয়ে নিয়ে আমরা বেশ হালকা মেজাজে বসি। প্রতিদিনের অভ্যস্ত ছন্দ একটু পালটে যায়। একটু পরে  মাও যোগ দেন বাবা আর টুটুলের সাথে। 

 

যাত্রার শুরুতেই সহযাত্রীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। আমাদেরও তেমন হলো। ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষন পর খানিকটা বোঝাপড়া তৈরী হলো। টুটুল জানালা দিয়ে তাকিয়ে একমনে বাইরের ছবি দেখছে। মাঝে মাঝেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে বড়দের দিকে। কিছু জবাব পাচ্ছে, কিছু পাচ্ছে না।    

 

ঠিক দুপুরের পরই ট্রেন ছেড়েছে হৃদয়পুর  থেকে। ঘন্টাখানেক পরে মা বললেন --- আমাদের শুকনো খাবারগুলো কোথায়? স্বাতী সেগুলো বের করে ভাগ করে দিলো। আমরা খেয়েদেয়ে নিজেদের বার্থে একটু বিশ্রাম করে নিলাম। সন্ধ্যায় গল্পগুজব, চা পর্বের পর রাতের খাওয়া সারা হলো। মেল ট্রেন অনেক ছোট ছোট স্টেশন ফেলে রেখে ছুটে চলেছে। রাতের খাবার খেয়ে আমরা সটান ঘুম। 

 

পরদিন সকালে একটু দেরী করে উঠলাম। রাতের ঘুমটা খুব গাঢ় হয়নি। একে একে হাত মুখ ধুয়ে চা খাওয়া হলো। তারপর সকালের খাবার। টুটুলের সাথে আছে ম্যাগাজিন। কিছুক্ষন তাস খেলাও চলল আমাদের। দুপুরের খাওয়া দাওয়া সারা হলো। বিকেল চারটা নাগাদ আমরা পুরী স্টেশনে এসে পৌঁছালাম।

 

সমুদ্রের কাছাকাছিই একটি হোটেলে  রুম বুক করা  হয়েছিলো। স্টেশনে নেমে বাইরে এসে আমরা হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। অধিকাংশই পর্যটক, অনেকেই   সপরিবারে এসেছেন। গাড়ী স্বর্গদ্বারের কাছাকাছি আসতেই সমুদ্রের গর্জন শোনা গেলো। কাছে আসতেই দেখা গেলো সমুদ্রের উচ্ছ্বাস। 

 

হোটেলে গিয়ে দুখানা ভালো ঘর পাওয়া গেলো। আমরা ঘরে ঢুকে স্নান ইত্যাদি সেরে বিশ্রাম করে নিলাম। তারপর চা পর্ব শেষ করে আমরা বাইরে যাবার জন্য তৈরী হয়ে নিলাম।

 

সন্ধ্যায় আমরা সবাই মিলে বেরিয়ে পড়ি সমুদ্রতটে।  মাঝে মাঝেই পায়ের কাছে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ঢেউ। আমরা ভিজিয়ে নিচ্ছি পা। আবার ফিরে যাচ্ছে ঢেউগুলি। বাবা আর মার এই প্রথম পুরী এবং সমুদ্র দর্শন।  অনেক মানুষ সমুদ্রের পারে। অনেকে নিরাপদ দূরত্বে বালির ওপর বসে আছেন বয়স্ক মানুষেরা আর অল্প বয়সীরা ছুটোছুটি করছে সমুদ্রের পারে। হাল্কা আলো সমুদ্রের গর্জন সাথে বাতাস। পর্যটকদের কাছে বিক্রীর জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে বাদাম ভাজা, ঝালমুড়ি, বেলুন, বিভিন্ন রকমের খেলনা। কয়েকজন আবার কেটলিতে চা সাথে পেপার কাপ। ঢেউগুলি এসে ভেঙ্গে পড়ছে আমাদের কাছাকাছি। বাতাস আর ঢেউয়ের গর্জন।  আমরা সমুদ্র পারে অনেকক্ষন  হেঁটে, বসে সন্ধ্যাটা উপভোগ করলাম। তারপর ফিরে আসলাম হোটেলে। রাতের খাবার সারা হলো। তারপর বিছানায়।

 

(২)


পরদিন প্রাতঃরাশ শেষ করে সকাল দশটা নাগাদ চলে আসলাম  সমুদ্রস্নানের জন্য তৈরী হয়ে। সাথে নিয়ে আসা হয়েছে ব্যাগের ভেতর সকলের জন্য গামছা, খাবার জল, কাঁধে ক্যামেরা। একটা নুলিয়া ঠিক করা হলো।  প্রথমে গোড়ালি, তারপর হাঁটু ভিজিয়ে তারপর আর একটু বেশী জলে  যাওয়া গেলো। নিজে কিছু ছবি তুলে ফেললাম, আর কিছু ছবি তোলা হলো দু জন পর্যটককে অনুরোধ করে। কয়েকটা বড় ঢেউ আমাদের বার বার ফেলে দিচ্ছিল। সকলে হাতে হাত ধরে সমুদ্রস্নান উপভোগ করছি। বড় ঢেউ এর ধাক্কায় বেশ কবার নোনা জলের স্বাদ উপভোগ করতে হলো। ঢেউ গুলো সরে যেতেই পায়ের নীচের বালি সরে যাচ্ছিল, আর পরে যাবার উপক্রম হচ্ছিলো। অনেক মানুষ আশেপাশে।  মাঝে মাঝেই আনন্দের চিৎকার শোনা যাচ্ছে। নুলিয়া ছেলেটি মাঝে মাঝেই পরামর্শ  দিচ্ছে।  বাবা, মা, টুটুল আমি , স্বাতী সকলেই সমুদ্রস্নান উপভোগ করলাম। কাছাকাছি আরোও কিছু মানুষ সমুদ্রস্নানে ব্যাস্ত। স্নান সেরে আমরা হোটেলে ফিরলাম, সেখানে আবার ভালো করে স্নান করা হলো। তারপরে দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম। 

 

বিকেলে আমরা বের হলাম স্থানীয় দর্শনীয় স্থান গুলি দেখে নিতে। একখানা গাড়ী ভাড়া করে বিভিন্ন মন্দির আর বাজার দেখা হলো, কেনাও হলো অল্প কিছু জিনিসপত্র  

 

তৃতীয় দিন আমাদের গন্তব্য জাগন্নাথ দেবের মন্দির। সকালে স্নান ইত্যাদি সেরে মন্দিরে পুজো দেওয়া হলো। অনেক দর্শনার্থী, পান্ডার সহায়তায় পুজোর কাজ শেষ হলো। পান্ডা গাইড এর কাজ করলেন। মন্দিরের বিভিন্ন অংশ ঘুরিয়ে দেখালেন। বাবা আর মা ভীষন খুশী হলেন, খুশী হলাম আমরাও। মন্দিরের বাইরে এসে ছবি তোলা হলো। পান্ডাকে বিদায় জানিয়ে আমরা হোটেলে ফিরলাম।

  

দুপুরে আমরা খেতে বসেছি হোটেলের নীচতলায় ডাইনিং হলে। সুন্দর ডাইনিং হল। ভীড় এখন একটু কম, আসলে আমরাই একটু দেরী করে ফেলেছি। একখানা ছজনের বসার টেবিলে আমরা পাঁচ জন। নিজেদের ভেতর কথাবার্তা বলে অর্ডার দেওয়া হলো। সাথে দু বোতল জল। হোটেলের কর্মীরা প্রথমে প্লেট আর গ্লাস দিয়ে গেলো। তারপর গরম ভাত, ডাল, ভাজা , সবজি ইত্যাদি। আমাদের বাড়ীতে পুরুষ মানুষ এবং ছোটরা প্রথম খেতে বসে। তাদের খাওয়া শেষ হলে মহিলারা খেতে বসেন। মহিলাদের কোনও  কিছু কম পরলে সেটা জানার বা  জানানোর সূযোগ নেই। 


আজ পুরুষ এবং মহিলারা একসাথে খেতে বসেছে। বাবা রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু সেটা প্রকাশের  সূযোগ পান না। তৈরী হওয়া খাবার খেতে মা এবং স্বাতীকে  খুব কম দেখা যায়। টুটুল হোটেলের খাবার খুব মজা করে খাচ্ছে। আজ ওকে বারবার বলতে হচ্ছে না। ব্যাপারটা সকলেই উপভোগ করছি আমরা। দুপুরে খাবার পর্ব শেষ করে আমরা আমাদের ঘরে ফিরলাম। 

     

সন্ধ্যায় আবার সবাই মিলে সমুদ্রের পারে বসে থাকা আর সমুদ্রকে উপভোগ করা। হাটতে হাটতে অনেকটা দূর গিয়ে আবার ফিরে আসলাম।   

                             

()


পরদিন গাড়ী ভাড়া করে পুরীর আশেপাশের  মন্দির আর দ্রষ্টব্য স্থান গুলো  দেখে আসা ঠিক করলাম। কোনারক সূর্য মন্দিরে অনেক সময় কাটলো। ঘুরে ঘুরে মন্দিরের বিভিন্ন অংশ দেখলাম। কোনারকের চাকার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা হলো। গাইড বেশ ভালো করে ঘুরিয়ে দেখালেন এবং বুঝিয়ে দিলেন। বাইরে অনেক দোকান, কোনারকের রথের চাকা এবং আরও কিছু সামগ্রী কেনা হলো। আরও কিছু মন্দির আর দ্রষ্টব্য স্থান দেখা হলো।  সন্ধ্যা নাগাদ আমরা আবার হোটেলে ফিরে আসলাম। 

 

রাতের ট্রেনেই আমরা ফিরব। মনে হচ্ছে আরও দুদিন থেকে গেলেও মন্দ হতো না। সন্ধ্যায় নতুন কিছু জিনিষ কেনা হলো, সাথে কয়েকটা প্যাকেটে পুরীর বিখ্যাত খাজা। একটু বিশ্রাম করে, রাতের খাবার সাথে নিয়ে আমরা স্টেশনে পৌঁছালাম। পেছনে পরে রইলো সমুদ্রের গর্জন আর মানুষজন। 

 

রিজার্ভেশন মিলিয়ে ট্রেনের কামরায় উঠে বসেছি আমরা সবাই ব্যাগ দুখানা বেড়ে গেছে। সব কিছু ঠিক করে রাতের খাওয়া দাওয়া সারা হলো। সারা দিন আনন্দের সাথে যোগ হয়েছিলো এক রাস ক্লান্তি খাবার খেয়ে আমরা শুয়ে পড়লাম। 

 

সকালে ঘুম ভেঙ্গে গেছে। হকারদের আসা যাওয়া শুরু হয়েছে। ট্রেন ছুটে চলেছে লোকালয়, মাঠ, নদী, শহর পার হয়ে। কিছুক্ষন পরে নেমে এসেছি নীচের আসনে আবারো সেই কাঁচের জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে পিছিয়ে যাওয়া মানুষজন লোকালয়। আজ সন্ধ্যায় আমরা পৌঁছুব হৃদয়পুর।

 

আমরা আমাদের স্টেশনের খুব কাছাকাছি। জিনিষপত্র নিয়ে সবাই তৈরী। টুটুল ওর ব্যাগ আর জলের বোতলও পিঠে নিয়ে নিয়েছে। স্টেশন আসতেই আমরা নেমে পরলাম একে একে। চেনা শহর আবার আমাদের বুকে টেনে নিলো। এখন  বাড়ীতে ফেরা।  

  

আমরা সাথে নিয়ে ফিরলাম একরাশ আনন্দ আর সতেজতা। আবার জীবন চলবে প্রতিদিনের নিয়মে। বাবার সেই অবসর জীবন, মা আর স্বাতীর সংসারে ঢুকে পরা, টুটুলের স্কুল আর হোম ওয়ার্ক, আমার অফিস।  সকলের সাথে মিলে হোটেলের ছবিখানা বাঁধানো আছে আমার টেবিলে। ছবির দিকে তাকালেই ফিরে আসে সোনালী দিনগুলি।

Comments

  1. ভালো হয়েছে লেখাটা। অভিনন্দন জানাই। 👍👍

    ReplyDelete
  2. ভারী মনোগ্রাহী লেখা। লেখকের অনুভবী মন তার লেখাটির মধ্যে সর্বত্র অস্তিত্বমান। 'সপরিবার' শব্দটির ব্যপকতাই ভুলে গিয়েছিলাম- এই স্মৃতি উজার করা লেখাটি মনে করিয়ে দিল নিউক্লিয়াস পরিবার নয়- পরিবার বলতে আরো অনেক অনেক কিছুই বোঝাতো। লেখককে ধন্যবাদ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ দাদা ( দেবাশিস ধর ) l ভালো থাকবেন l

      Delete
  3. পারিবারিক ভ্রমণের সুন্দর চিত্র। এই ছবি তো হারিয়েই যাচ্ছে। এখন চখাচখির নিভৃত ভ্রমণের ট্রেন্ডস চলছে। ভাল লাগল গল্প।

    ReplyDelete
  4. ধন্যবাদ সুকান্ত ( সুকান্ত নাহা) l ভালো থেকো l

    ReplyDelete

Post a Comment