ভ্রমণ - মেঘ ভট্টাচার্য

 

এক একাকী পর্যটকের কলমে
বৌদ্ধ পীঠস্থান (নেপাল)

Tour Diary of a Solo Traveler
The Land of Buddha (Nepal)

(শেষ পর্ব)


লুম্বিনী থেকে পোখরা... উল্লেখ্য একটি রাত...

 

 

যাত্রা শুরু, গন্তব্য পোখরা..গাড়ি ছাড়লো পৌনে পাঁচটা, সেই নিয়ে বেশ ধন্দে আছি তখনো। লুম্বিনী থেকে বাস ছেড়ে প্রথমে যায় ভৈরবা, ভৈরবা থেকে বুটওয়াল। ভইরাবাতে দু'ঘণ্টা মত বাসটা দাঁড়ায়। সেখানেও বাস সাতটা বলে পৌনে সাতটায় ছাড়লো। আশ্চর্য! প্রায় দু'ঘন্টা পর বাস ঢুকলো বুটওয়াল। সেখানে দেখি, সার দিয়ে ছোট ছোট দোকান, সব মাংস পোড়াচ্ছে, আর খুব গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু লোক বাস ওঠা নামা করলো, খুব অল্প সময়ে বাস ছেড়ে দিলো বলে আর দেখা হলো না ব্যাপারটা কিরকম। 

 

 

এবার বাস ছুটলো। সব লোকাল নেপালি লোকজন চারপাশে, তাদের নানারকম কান্ড কারখানা দেখতে দেখতে চলেছি। কখন ঝিমুনি এসেছে জানিনা, হঠাৎ বাস টা দাঁড়িয়ে গেলো।  ঝিমুনি টাও কেটে গেল। কিছু বোঝার আগেই হঠাৎ খেয়াল করলাম একটা এম্বুলেন্স উল্টোদিক থেকে এসে নিজেদের ভাষায় কিছু বলে চলে গেল, তার মধ্যে একটাই আমার চেনা শব্দ, landslide

 

 

রাত তখন বারোটা…

 

 

সব ঘুমের ঘোর কেটে গেল। মনে পড়ে গেলো বেশ কয়েকবার চোখে পড়েছে land slide এর road sign. আমার সামনের সহযাত্রী কে জিগ্যেস করলাম, কি হবে এখন...! তিনি যা বললেন তা এইরকম কিছুটা, "landslide হয়েছে, clear করছে, হয়ে যাবে" বলে বেশ নিশ্চিন্ত হয়ে সামনে পা তুলে দিয়ে হঠাৎই ঘুমিয়ে পড়লেন, এতক্ষন কিন্তু জেগেই ছিলেন। আর গাড়ীর চালক ,সহকারী দুজন যুদ্ধকালীন তৎপরতায়  গাড়ির আলো টালো অফ করে কেউ কেবিন কেউ পেছনের সিট গিয়ে শুয়ে পড়লেন। বাকী যাত্রীদের বিশেষ কিছু মাথাব্যথা দেখলাম না। চারদিক দেখেশুনে আমিও একটু নিশ্চিন্ত থাকার চেষ্টা করলাম। কিন্তু হঠাৎ মনে হলো জল তেষ্টা পাচ্ছে, toilet পাচ্ছে। এদিকে বাস এর বাইরে টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। আর একটানা একটা চাপা গর্জন কানে আসছে। রাতের নিশ্ছিদ্র অন্ধকার আর এই সব মিলে মিশে এবার আমার মনে একটা আতঙ্ক তৈরি হতে শুরু করলো। তবু মনে মনে একটু সাহসী হবার চেষ্টা করলাম। সময় যচ্ছে যাচ্ছে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে একটা suffocating feel হচ্ছে, বাইরে বৃষ্টি উপায় নেই নামার। তবু একবার চেষ্টা করলাম যাবার, গিয়ে দেখি সার সার গাড়ি স্থবির হয়ে আছে। কোথাও কোনো নড়াচড়া নেই। দেখে একটা কিরকম লাগলো। আবার এসে বসলাম।

 


আমার পাশের সীট অল্প বয়স্ক দুটি ছেলে  মেয়ে বাচ্চা নিয়ে। শুরু থেকেই ওদের খুব গল্প কথা চলছে। আর একে অপরকে সম্মোধন করছে  কানছা, কানছি বলে, খুব মিষ্টি সেই ডাক। আমি শুধু দেখছি। আর বাচ্চার বাবা খুব সুন্দর বউ বাচ্চাকে যত্ন করছে। এই করতে করতে উসখুস করতে করতে ঘন্টা তিন কেটে গেছে। তখনও কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। আর সেই চাপা গর্জন যেন কানে একটা গোঙানির মতো লাগছে এবার। দু একজন পুরুষ নিঃশব্দে গাড়ি থেকে নেমে ঘুরছে, কখনো উঠছে। সেই বাচ্চার বাবা তো এই তিন চার ঘণ্টা ঠায় বাইরের দাঁড়িয়ে। বাচ্চাকে ঘুম পাড়িয়ে বউ এর কাছে দিয়ে গেল, বাচ্চা এবং মা সীট ঘুমোচ্ছে, বাবা কিন্তু সেই বাইরেই, বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে। আশ্চর্য। ঘন্টা চারেক। অসহ্য গরম লাগছে। সব মিলে আর পারছি না। আমিও নেমে গেলাম বাস থেকে.... বাচ্চার বাবাকে বললাম আমার সীট বিশ্রাম নিতে। সে চোখে মুখে কৃতজ্ঞতা নিয়ে বসলো।

 

 

এর মধ্যে আবার কোনো একটা গাড়ি কি একটা উড়ো খবর এলো, তিনটে চারটে নাগাদ রাস্তা পরিস্কার হবে, তাই শুনে সবাই একটু নড়ে চড়ে বসলো। কিন্তু ঘড়ির দিকে কি কেউ তাকালো না? তখন অলরেডি চারটে বাজে, অর্থাৎ আমি বুঝলাম বিকেল চারটের আগে কিছু হবে না। আমার একটু মাথাটা ঘুরে উঠলো যেন। 

 

 

বাস এর দরজায় দাঁড়িয়ে সাত পাঁচ ভাবছি, এইসময় এক ভদ্রলোক গল্প জুড়লেন। বেশ সাদামাটা সরল মানুষ। কোথায় যাবো-টাবো  শুনে অনেক কিছু সাহায্যমূলক তথ্য দিতে চেষ্টা করলেন। ..এই দুর্যোগের রাতে মনে একরাশ আশঙ্কা নিয়ে এমন একটা ঘটনা ঘটলো যে হাসতে হাসতে মরি। কথা হচ্ছিল ফোন, ইন্টারনেট, wifi এইসব নিয়ে। নেপাল সব বাস, হোটেল, রেস্টুরেন্টে wifi সুবিধে থাকে। কিন্তু সেদিনের বাস টায় ছিল না। সেটাই বলাবলি করছিলাম। হঠাৎ উনি বলে উঠলেন, "পোখরা যান, ওখানে natural wifi, আপনি বেশি পয়সা দিয়ে wifi ওয়ালা ঘর নিতেই পারেন, কিন্তু আপনার লাগবে না। বেকার পয়সা নষ্ট হবে" ইত্যাদি। আমি কয়েক সেকেন্ড থমকে গেলাম,তারপর সে হেসে পেট ফেটে যায় কি। বলাই বাহুল্য আমি পোখরায় কোনো natural wifi paini., আসলে উনি Natural Ac কথা বলতে চেয়েছিলেন। সেই ভদ্রলোক পোখরা অব্দি সাথে ছিলেন, হেল্প করেছেন। ওনাকে কোনোদিন ভুলবো না।

 

 

এই করতে করতে ভোর। বুঝলাম কথা বার্তা বলে যে আসলে এই ধরণের ঘটনায় ওরা অভ্যস্ত এবং দিনের আলো না ফুটলে কিছুই হবে না। অতএব সকলে নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমিয়ে নিলো। এবং আমার সামনের সিট এর সেই ভদ্রলোক এবং তার পাশের জন যা ঘুমলেন, মনে হলো দুনিয়া রসাতলে গেলেও ওনাদের ঘুম এর ব্যাঘাত হবে না।এবার আমিও অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে ঝিমোতে শুরু করলাম, শেষে ঘুমিয়েও পড়লাম দিনের আলো ফুটেছে ততক্ষনে। কারণ সেই সকাল থেকে ঘোরাঘুরি চলছিল। খুব গরম আর উদ্বেগ আরো ক্লান্ত করে দিয়েছিল।

 

ঘুম ভাঙল বাস এর horn এর আওয়াজ এ। রাস্তা পরিষ্কার হয়েছে, গাড়ি গুলো সব গোঙাচ্ছে...যেন রেডি হয়ে আছে জোর ছুট লাগাবে বলে। 

 

 

তখন  বেলা দশটা…

 

 

অর্থাৎ ঠিক দশ ঘন্টা ছিল সেই উদ্বেগের রাত। ভোর তিনটার জায়গায় পোখরা পৌঁছলাম বিকেল তিনটে। গরমে বিধ্বস্ত, তার মধ্যে ওই landslide, সত্যিই অবিস্মরণীয়। একটা কথা মানতেই হবে, যা হয় ভালোর জন্যই। পোখরার পথে এরকম একটা ঘটনা না হলে এত memorable হতো না, আবার দিনের আলোয় সারা রাস্তার সৌন্দর্য মিস করে যেতাম। দিনের আলোয় দুচোখ ভরে সব গিলতে গিলতে পোখরা পৌছেছিলাম।

 

 

পোখরায় আটটা অনবদ্য লেক রয়েছে। ফেওয়া লেক, বেগনাস লেক তার মধ্যে অন্যতম। রয়েছে তিনটি মিউজিয়াম আর অনন্যসাধারণ কয়েকটি প্রাচীন গুহা।



ফেওয়া নেপালের দ্বিতীয় এবং পোখার উপত্যকার সবচেয়ে বৃহত্তম লেক। পোখরার দক্ষিণে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৪২ মিটার উচ্চতায় এই লেক অবস্থিত। এটি প্রায় .২৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। বিদেশী পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ এই ফেওয়া লেক। রঙিন ডুঙ্গা বা নৌকায় চড়ে লেকের দু'প্রান্তের প্রাকৃতিক দৃশ্য বেশ উপভোগ্য।

 

ফেওয়া লেক, পোখরা


লেকের জলে অন্নপূর্ণা, ফিশ টেইলের প্রতিবিম্বকে সঙ্গী করে লেকের মাঝে অবস্থিত বরাহ মন্দির থেকে ঘুরে আসা যায়। অষ্টাদশ শতকে তৈরি মন্দিরের আরাধ্য দেবতা হলেন বরাহরূপী ভগবান বিষ্ণু। নৌকা করে ফেওয়া লেক দিয়ে উত্তরের সারংকোট এবং কাস্কিকোট পাহাড়গুলোর চারপাশ হয়ে ছেপাং লেকের ধারে পৌঁছে যাওয়া যায়। লেকের জলে হিমালয়ের ছটি শৃঙ্গরাজের উপস্থিতির প্রতিবিম্ব যেন কোনো পিকচার পোস্টকার্ড। লেকের পাড়ে বসে, পাহাড়ের আড়ালে সূর্যাস্ত দেখা প্রতিটি ভ্রমণার্থীদের কাছে সারাজীবনের অসাধারণ স্মৃতি হয়ে থাকবে।

 

 

ফেওয়া লেকের পর পোখরার আরেকটি জনপ্রিয় লেক হচ্ছে বেগনাস লোক। পোখড়া উপত্যকার আটটি হ্রদের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম। এটি .২৮ বর্গ কি.মি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। লেকের গভীরতা প্রায় ১০ মিটার। হ্রদটি পর্যটকদের প্রিয় জায়গাগুলোর একটি। এখানে অনেক দেশী-বিদেশী পর্যটকের দেখা মেলে। লেকের স্বচ্ছ জল, সবুজের সমারোহ আর চারপাশের শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশ অনেককেই মোহিত করে রাখে। প্রিয়জনকে নিয়ে নৌবিহার করা কিংবা যাদের মাছ ধরার নেশা আছে তারা টিকিট কেটে মাছ ধরতেও বসে যেতে পারেন লেকের ধারে।  

 

বেগনাস লেক, পোখরা

 

মহেন্দ্র কেভ থেকে ফিশ টেইল অন্নপূর্ণার গ্লেসিয়ার থেকে সৃষ্ট হওয়া দুধ সাদা, সফেন খরস্রোতা শ্বেতি নদীর দেখা পাওয়া যায়। মহেন্দ্র কেভের পাশেই আরেকটি গুহা ব্যাট কেভ বা বাদুর গুহা। এর প্রবেশদ্বার সংকীর্ণ হলেও গুহার ভেতরের অংশ যথেষ্ট প্রশস্ত। এই গুহা বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার বাদুরের আবাসভূমি। 

 

 

পোখারা শহরটির জলপ্রপাতের জন্য বিখ্যাত। এখানে বেশ কয়েকটি জলপ্রপাত রয়েছে। তার মধ্যে ডেভিড ফলস অন্যতম। এই অনিন্দ্যসুন্দর জলপ্রপাতের জল ফেওয়া লেকে এসে মিশেছে। জলপ্রপাতের কাছে যেতেই আবার দেখা মিলবে দুরন্ত শ্বেতি নদীর। স্থানীয়দের কাছে ডেভিস ফলস পাতালদাঙ্গে নামেই বেশি পরিচিত।  চারধারে রেলিং দিয়ে ঘেরা ডেভিস ফলস দেখে চলে আসা যায় প্রায় ৫০০ বছরের এক পুরনো গুপ্তেশ্বর মহাদেব গুহায়। ঘোরানো সিঁড়ি নেমে গেছে প্রায় ১০০ মিটার গভীরে। 

 

 

পোখরার আরেক আকর্ষণ ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেইন মিউজিয়াম। তথ্যবহুল অসাধারণ এক মিউজিয়াম। এখানে এলে নেপাল, জাপান, স্লোভাকিয়া এবং অন্যান্য দেশের পর্বতারোহণের অতীত-বর্তমানের অন্বেষণ করতে পারেন। জানতে পারবেন নানা পর্বতারোহীর গল্প। এখানে মাউন্ট এভারেস্টের একটি থ্রিডি মডেলের ছবিও রয়েছে।

 

 

পোখরা শেষ করে বাস করে এবার সোজা কাঠমান্ডু। কাঠমান্ডু একটি বিরাট উপত্যকা অঞ্চল, কিংবদন্তি তে ভরপুর, প্রতিটা গলিতে একটি বা দুটি মন্দির দেখতে পাওয়া যাবে। কাঠমান্ডু একটি অবিশ্বাস্যরূপে বৈচিত্র্যময় ঐতিহাসিক শহর। এখানে সূক্ষ্ম কাঠের খোদাই এবং ধাতব নৈপুণ্য সহ বহু শতাব্দী আগের নেওয়ার কারিগরদের দক্ষতা দেখতে পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল থেকেই কাঠমান্ডু উপত্যকায় হিন্দুও বৌদ্ধধর্মের সহাবস্থান রয়েছে এবং উপত্যকার বাসিন্দারা হিন্দু বৌদ্ধ উভয় মন্দিরে পূজা করে। পশুপতিনাথ, বুধানীলকণ্ঠ, এবং স্বয়ম্ভুনাথ, বিশিষ্ট ধর্মীয় তীর্থস্থানগুলির মধ্যে তিনটি ' ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এবং অবশ্যই দেখতে হবে। 

 

 

কাঠমান্ডু থেকে দশ কিলোমিটার দূরে শিবপুরী পর্বতমালার পাদদেশে 'বুধানীলকণ্ঠ' পৃথিবীর বৃহত্তম শায়িত বিষ্ণুমূর্তি। চতুষ্কোণ জলাশয়ের মধ্যে অনন্তশয়নে রয়েছে বিষ্ণুর আঠার ফুটের একটি মূর্তি। একখন্ড বিশালাকার কালো পাথর কেটে তৈরি। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল ধরনের কালো পাথর কিন্তু নেপালের এই উপত্যকায় পাওয়া যায় না।পুরাতত্ত্ববিদদের মতে রাজমহল পাহাড়ে প্রাপ্ত এই কালো পাথর 'Rajmahal schist' নামে পরিচিত। এখন প্রশ্ন, এই বিরাটাকার পাথর এখানে এল কোথা থেকে? আর এই একটিমাত্র পাথরকে খোদাই করে মূর্তিই বা বানালেন কারা? বৃদ্ধ পূজারী জানালেন এক কিংবদন্তীর কথা। একাদশ শতাব্দী। এক চাষি চাষ করতে এসে দেখল মাটি ফেটে রক্ত বের হচ্ছে। কৌতূহলবশত সে ডাকল গ্রামবাসীদের। শুরু হল খোঁড়াখুঁড়ি। আর মাটি খুঁড়তেই বের হল আজকের এই বিষ্ণুমূর্তি। ঐতিহাসিকদের মতে, দশম শতাব্দীতে রাজা বিজয়কামদেব নেপালে নাগ বাসুকি পূজা শুরু করেন। তাঁর আমলে বেশ কিছু বিষ্ণুমূর্তি তৈরি হয়েছিল। এটি তার মধ্যে একটি। অনন্তশয্যায় শায়িত বিষ্ণুর নাম 'বুধানীলকণ্ঠ' কেন? 'নীলকণ্ঠ' মানে তো শিব! এখানে বিষ্ণু কেন? উত্তর পাওয়া যায়নি।

 

বুধানীলকন্ঠ, শায়িত বিষ্ণু 

 

বুধানীলকন্ঠ

শতাব্দী প্রাচীন এই উপাসনালয়গুলি কাঠমান্ডুকে একট জীবন্ত যাদুঘরে পরিণত করেছে। এছাড়া অবশ্যই দেখতে হবে দরবার স্কয়ার। কাঠের কাজ করা প্রচুর মন্দির আছেএই চত্বরে। এছাড়া প্রধান দরবারে বাস করেন স্বয়ং দেবী (একজন কুমারী নাবালিকা কন্যা), তিনি নিয়মিত পূজিত হন।

 

কাঠের তৈরি দরবার, যেখানে এখন দেবী থাকেন 

  

নেপাল ভ্রমণ শেষ করে এবার ফেরার পালা….

 

 

বিদায় নেপাল। ভারাক্রান্ত মন। আবার আসবো সেই প্রতিশ্রুতি নিজেকেই দিয়ে বীরগঞ্জ এর উদ্যেশ্যে রওনা। পাগলী নদীটা অনেকক্ষণ এগিয়ে দিয়েছে। ছেড়ে আসতে বড্ড কষ্ট হচ্ছিল। 

 

ত্রিশুলী নদী


আবার দেখা হবে। ভালো থেকো।

 

থাকালী খালি, নেপালি ট্র্যাডিশনাল ফুড


ওপেন মোমো




বি.দ্র, এক সুন্দর পারিবারিক আবহে, মনের আনন্দে ভ্রমণের জন্যে ভ্রমণপিপাসুদের ভরসাস্থল  Sparrow D' Tur You Pack We Plan এর সঙ্গে যোগাযোগ করে ভ্রমণে অংশগ্রহণ করতে পারেন।  Contact Number : +91 94332 34395


ব্যবসায়িক মানসিকতা নয়, আন্তরিক পরিষেবা এঁদের বিশেষত্ব। সনাতন ভারতীয় ঐতিহ্য  "বসুধৈব কুটুম্বকম" এরা পরম বিশ্বাসী।


Comments