কবিতা - জ্যোতি পোদ্দার


লাস্যময়ী ঝর্ণাতলা

       

গুটি গুটি ঘামবিন্দু আর ফোটা ফোটা এই রঙ

সেই রঙে সাজিয়েছি ববিন কেইস

তুমি পা চালাও বা না চালাও

সেলাই মেশিন ঠিকঠিক হাস্যমুখী

লাস্যময়ী ঝর্নাতলা আঁকবে।

 

 

সেখানেই আমি স্নান সেরে

খাঁচা খেকে একে একে মুক্ত করে দেবো

 মাপাখির আর্তনাদ

বাবা পাখির ক্রন্দন

 

 

পাখি তুই তোর পালকের পরতে পরতে নিয়ে

যা আমার অবসাদ 

আমার বিভ্রম।

 

 

আমার ভারি শরীর নিয়ে আমি কোথাও 

যেতে  পারি না।

স্থানু শরীরের গুটি গুটি ঘামবিন্দু আর ফোটা ফোটা

এই রঙ সেই রঙে ভরা ববিন কেইস

                              আমার পিতামহের।

                              পূর্ব পূর্ব প্রপিতামহের।

 

 

স্মৃতি বিভ্রাটের কুহকে ভুলেছি ইতিকথা 

সপ্রাণ পালাগানের  কৌম সমাচার।

ভুলেছি শরীরে চাষাবাদের কায়দাকানুন

আর ভুমা ভুমিতে সমর্পণ

 

 

তুমি পা চালাও বা না চালাও

সেলাই মেশিন আমার কালের যাত্রার রথ

                               ঝর্ণাতলা আমার আদি শৈশব

স্নান সেরে জলকে দেবো জলের আচমন

 

 

মাপাখি তুই

বাবাপাখি তুই

তুই আমি অনাদি কালের প্রাণসখা

তুই আমি অনাদি কালের প্রাণসখা

 

 

পালকের পরতে পরতে নিয়ে যা 

      আমার অবসাদ

                আমার বিভ্রম

পালকের পরতে পরতে নিয়ে যা 

আমার অবসাদ 

আমার বিভ্রম


Comments

  1. অসাধারণ বক্তব্য
    শুভ কামনা প্রিয় কবি।

    ReplyDelete

Post a Comment