জেল থেকে লেখা চিঠি
গত তিনদিন খবরের কাগজ আসেনি।
ওয়ার্ডেন উত্তর দেয়নি।
প্রশ্ন করলে নিরেট,মহান
দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকে ও।
চোয়াল শক্ত হয়।
ঘনঘন শ্বাস পড়ে।
মুখ ফোটে না।
আমিও ফিরে যাই
আবশ্যিক মেনে নেওয়ার দিকে।
ওঁর দাবিটা ওঁকে বোঝাতে পারিনি।
আমার দোষ।
শেখাতে পারিনি কেড়ে নিতে হয়
শ্রমের দাম। ফসলের ভাগ।
আমার দোষ।
সংবিধান মেনে নিতে শিখিয়েছি।
বুঝে নিতে নয়।
আমার দোষ।
কাটাকুটি খেলায়
অজান্তেই ভিজিয়ে ফেলেছি অর্ধেক শরীর।
তাই ওর পলাশের রঙ জানা নেই।
প্রথম বৃষ্টির স্বাদ চেনা নেই।
শিউলি কুড়ানো নেই ছটফটে শরতে।
এমনকি যাতায়াত নেই
হফ্তাহীন কোনও ফেরিঘাটের দিকেও।
অথচ ও জানে ঠিক কীভাবে
স্যালুট থেকে উন্নয়ন ছুঁয়ে
নিঃশব্দে চলে যেতে হয় সাষ্টাঙ্গ প্রণামে।
Comments
Post a Comment