অনুবাদ কবিতা - শ্যামলী সেনগুপ্ত



তাঁর পরিচয় শুধু  কবি হিসেবে নয়। ওডিশার অত্যন্ত জনপ্রিয় নাট্যকর্মী। এ ছাড়াও ওডিআ চলচ্চিত্র জগতের একজন সফল অভিনেত্রী। অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার  সহ বহু সম্মান ও পুরস্কার। ওডিআ সাহিত্যেও তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে গদ্য এবং কবিতার অনলস ও অনন্য নির্মাণে। ওড়িষার বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব তথা বিশিষ্ট  চিত্রশিল্পী অসীম বসুর কন্যা ভাস্বতী।


ମାଆ ସହିତ କିଛି ମୁହୂର୍ତ୍ତ 

ଭାସ୍ବତୀ ବସୁ 


ତୁମକୁ ନେଇ ସତରେ କଣ

କବିତା ଲେଖିହୁଏ?

ଗଢ଼ୁଥିବା ଲୋକକୁ ଗଢ଼ିବି କେମିତି?




ତା ଛଡ଼ା

ତୁମ ଭିତରେ କବିତା କାହିଁ?

ତୁମେ

ଯାବତୀୟ ଜଟିଳତାକୁ ଜୀଉଁଥିବା

ସରଳ ଗଦ୍ୟର ଗୋଟେ ଖଣ୍ଡ।

 


ତୁମର ସେ ଗଦ୍ୟମୟତାର

ସବୁଠାରୁ ବଡ଼ ସାକ୍ଷୀ ମୁଁ।

 


ସାକ୍ଷୀ ତୁମ ପଣତରେ ଲାଗିଥିବା

ହଳଦୀ

ଆଉ ଗାଲରେ ଲାଗିଥିବା

ଲୁହର।

ମୋ ଛଡ଼ା ଆଉ କିଏ ବେଶୀ ଜାଣେ ଯେ

ମଣିଷ ଭଳି ଦିଶୁଥିଲେ ବି

ଅସଲରେ ତୁମେ ବାଘୁଣୀଟିଏ

ଯାହା ପାଇଁ

ସମସ୍ତେ ତା ଛୁଆଙ୍କ ଶତ୍ରୁ।

 


ଏକା ବଞ୍ଚିଛ ନା?

ସେବେବି ଆଉ ଏବେବି

ମତେ କାହିଁ ତୁମ ଏକାକିତ୍ୱ ଦିଶିନି ?

ତୁମ ଚାପା ଓଠ

ଆଉ ଚିବୁକର ତିଳ

ଆଜିବି ସମାନ ଅନମନୀୟ।



କି ରୂପସୀ ଥିଲ ତୁମେ!

ଆମେ କେହି ତୁମ ରୂପରୁ ଟିକେ ବି ପାଇନୁ।

ସେ ସୌନ୍ଦର୍ଯ୍ୟ ଆଖିର 

ନା ମନର?

 


ମୋ ଝିଅର ଦୁଷ୍ଟାମୀରେ ଅତିଷ୍ଠ ହେଲେ

ମନେ ପଡ଼େ

ତମେ ମତେ କେବେ ବାଡ଼େଇନ।

ପ୍ରବଳ ଦୁଷ୍ଟ ଥିଲି

କେମିତି ସମ୍ଭାଳୁଥିଲ?

ଏଡ଼େଟିକି ଦେହରେ ମହଣେ ଧୈର୍ଯ୍ୟ

କୋଉଠି ଲୁଚେଇଛ?



ଶୀତ ଦିନ ରତ ରତ ଖରାରେ

ଓଦା ବାଳକୁ ପିଠିରେ ବିଛେଇ

ତୁମେ ହିଁ ଧରେଇଥିଲ ମତେ ଗପ ବହିର ନିଶା।

ଆଉ ଏବେ ମନା କଲେ, ଯେ

-"ଘର ଭର୍ତ୍ତି ହେଇଗଲାଣି।

ଆଉ ବହି କିଣ ନା"

ମୁଁ ଆଉ ଶୁଣିବି କି?

 


ନିଜେ ଘରର ଏରୁଣ୍ଡି ଡେଇଁଲନି

ହେଲେ ମତେ କେମିତି ଉଡ଼ିବା ଶିଖେଇଲ ଯେ?

 


ମୋଟ କଥା

ତୁମେ ମୋ ପାଇଁ ସବୁ କବିତା ଲେଖିସାରିଲଣି।

ତୁମକୁ ନେଇ କବିତା..

ନାଁ ଥାଉ କେବେ ଲେଖା ନଯାଉ ।।

 

***************************************


মা কে নিয়ে কিছুটা সময় 

ভাস্বতী বসু

অনুবাদ : শ্যামলী সেনগুপ্ত 


তোমাকে নিয়ে সত্যিই কি 

কবিতা লেখা যায়?

সৃষ্টি যে করে তাকে নতুন করে

কীভাবে গড়তে পারি!

 


তোমার মধ্যে কবিতা কোথায়?



তুমি  

যাবতীয় জটিলতায় বেঁচে থাকা

সরল গদ্যের একটি খণ্ড, যার

সবচেয়ে বড়ো সাক্ষী আমি।

 


সাক্ষী  তোমার আঁচলের হলুদের দাগ

আর গালে কান্নার

মানুষ মানুষ দেখতে হলেও

আসলে তুমি বাঘিনী 

যার জন্য সকলেই 

তোমার বাচ্চাদের শত্রু। 

 


একাই তো বেঁচে আছ

তখনও আর এই এখনও ...

আমি তো কই দেখিনি 

তোমার একলাজীবন

তোমার চাপা ঠোঁট 

আর চিবুকের তিল

আজও তেমনই 

অনমনীয়। 

 


কী রূপসীই না ছিলে তুমি!

আমরা তার তিল মাত্র  পাইনি

ওই সৌন্দর্য চোখের

না মনের?

 


মেয়ের দুষ্টুমিতে বিরক্ত হলেই

মনে পড়ে 

কক্ষণো গায়ে হাত 

তোলোনি তুমি

খুব দুরন্ত ছিলাম

কী করে সামলাতে

এই ছোট্ট শরীরে

এক মণ ধৈর্য

কোথায় লুকিয়েছ?



শীতকালে মিঠে রোদে

ভেজা চুল এলিয়ে

তুমিই তো আমাকে

ধরিয়েছিলে বইয়ের নেশা

আর এখন যদি বল,

'অনেক হয়েছে , আর কিনো না বই'

আমি শুনবই বা কেন?

 


নিজে তো ডিঙোওইনি চৌকাঠ

অথচ ওড়া শিখিয়ে দিলে !

 


মোটের ওপর 

আমার জন্য সব কবিতা  লিখে ফেলেছো

আর তোমাকে নিয়ে

কবিতা ...

নাহ্! থাক

 


বরং কোনোদিনও

লেখা না হোক ...




Comments

  1. ଚମତ୍କାର 🌹ଅଭିନନ୍ଦନ କବି 🙏ଅନୁସୃଜନକୁ ନମନ

    ReplyDelete

Post a Comment