দহন
প্রশ্ন ছিল দাহ্য বস্তু কাকে বলে?
কেউ বললো কাঠ কেউ বললো খর আরো কত কী
আমি বললাম যে দহন হয় সেই দাহ্য বস্তু
তুমি বলেছিলে যাকে দহন করা যায় সেই।
বস্তুই বটে!
দহনের তীব্র জ্বালায় এক গভীর সুখ আছে
কোথাও শোধন হচ্ছে কিছু, হয়তোবা প্রায়শ্চিত্তের তৃপ্তি।
বুকের ভেতর কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠছে যে যন্ত্রনা কালো ধোঁয়ায় বিলীন হয় না তা
পোড়া গন্ধ ঘুরপাক খায় নিজের ভেতরেই
বোবাকান্নারা অট্টহাসি হাসে।
দহন শরীরে হোক বা মনে আমি অসহায় হয়ে দেখি
বহ্নি যে ছিল আমারই আত্মজ
ঝলসে যাওয়া মাংসপিণ্ডে নিজের ভুল খুজি
দহনের তীব্র তাপে শীতল হচ্ছি আমি
অন্তর্দহনের ভস্ম স্মৃতি আজও লুকিয়ে আছে আমার হাসিতে।
Comments
Post a Comment