আগামীর ঈশ্বর
গত রাতে যে বৃষ্টি এঁকেছিল শব্দহীন চুম্বন তা অনেকটা নির্ভেজাল জলস্রোত
স্রোতের ভেতর ছিল অন্তরীক্ষ আহবান
আচমকা ভীষণ লজ্জায় চমকে গিয়েছিল আকাশ তারাগুলো সরলরেখায় দাঁড় করিয়ে
আনত মুখ নববধূর চিবুকে আঁকে ঘোমটার স্থিরচিত্র
এখন বসন্ত-বাসন্তী হাওয়ায় ভেসে যায় সুদূরে মুকুলের ঘ্রাণ
পাতা ঝড়ে বসন্তে-কোকিলের কুহুতান অলক্ষ্যে সেই বৃষ্টির কোমলতায় আছড়ে পড়ে পাতায়
চুম্বন গাঢ় হয় গহীন অন্ধকার সাক্ষী রেখে
বৃষ্টির চমক কত রমনীয় বুঝলাম গত রাতে যেন মালা গেঁথে সমস্ত শরীর জ্যোৎস্নায় ভরিয়ে দিয়েছিল
ভাবলেশহীন বিন্যাসে খুবই জরুরি ছিল এমন বৃষ্টি
ঈশ্বরের দিকে মুখ রেখে তখন ভেবেছিলাম আর কোনো রাত বেহিসেবী হলে তাকে দেবো নির্বাসন- কথা না শুনলে মৃত্যুদণ্ড
তুমি ভাবতেই পারো এটা ছিল স্বপ্নের বাইরে
তবুও বলতে পারি সব বৃষ্টি দুকূল ছাপিয়ে ভাসিয়ে দেয়না চারদিক-চুম্বনও দেয়
যেখান থেকে হাত তুলে স্বাগত জানায় আগামীর ঈশ্বর।
Comments
Post a Comment