আন-প্রেডিক্টেবল
সমস্ত প্রেডিকশনকে একে একে সামনে সাজিয়ে রাখে সৌম্য। সে জানে, সময় যত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায় ওদের একেকটি ডিস-ডিস্যাপিয়ার হতে থাকে। এবং শেষপর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছয় কেবলমাত্র একটি। তার নাম ঘটনা। তার অভিজ্ঞতা বলে ---- যে কোন বড়ো কাজে লামলে ম্যানেজারের জন্য প্রথম কাজ প্রেডিকশন । যার প্রেডিকশন যত নির্ভুল হয়, সে তত এফিসিয়েন্ট ক্রাইসিস ম্যানেজার। সৌম্য কোন একটা অ্যাকশন করার আগে সব সময় কন্সিকোয়েন্স কী কী হতে পারে, সেগুলো প্রেডিক্ট করে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে রাখে। এভাবে অভিজ্ঞতা দিয়ে অর্জন করা গুড প্রেডিক্টর হিসেবে বেশ ভারী সুনামটাই কাজের জগতে ওর ক্রেডিবিলিটি। অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়ে দিয়েছে ---- উত্তরবঙ্গের ফ্যাক্টরীর দক্ষিণের পাঁচশ একর ফ্যাক্টরির দখলিকৃত জমিতে ফ্যাক্টরি এক্সটেন্ড করতে হবে। ম্যানেজমেন্ট দায়িত্ব দিয়েছে হেড অফিসের ইয়ং অ্যান্ড এফিশিয়েন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সৌম্যব্রত দত্তকে। কলকাতার হেড অফিস থেকে সৌম্যকে চলে যেতে হবে উত্তরবঙ্গের তরাইয়ের ফ্যাক্টরিতে। সৌম্য জানে এসব কাজে ঝুঁকি বিস্তর। প্রাণ চলে যাওয়াও অসম্ভব নয়। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের ওর উপর যে বিশ্বাস, তার মর্যাদা সে রাখবেই । সে জানে ---- ব্রাইট ক্যারিয়ারের জন্য এসব ওপরচুনিটি বার বার আসে না। সাকসেস পেলে ক্যারিয়ারে গ্রেট জাম্প পাক্কা।
সৌম্য যেদিন সে একটু বেশি রাত করে বাড়ী ফেরে। পার্টিতে
একটু বেশি পান করে ফেলায় মাথাটা হালকা হয়ে পালকের মতো ভাসছে।
গাড়ীর পেছনের সীটে বসে বসে সে বাড়ীর
অবস্থাটা প্রেডিক্ট করতে থাকে । মামের
জন্য দুটো অলটারনেটিভ ---- জেগে আছে নয়তো ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছে । ঘুমিয়ে পড়লে চিন্তা নেই, ওর যা
ডিপ ঘুম, জাগবে না মৌমিতার হাজার গর্জনেও । কিন্তু
যদি জেগে থাকে, যদি বুঝতে পারে বাবা ড্রাংক, সে আর
কিছুতেই কাছে আসবে না। মুখ গোমড়া করে শুতে চলে যাবে না খেয়েই। আর বুঝতে না পারলে কাছে আসবে, তার পর
বুঝে গিয়ে মৌমিতার সাথে সাথে সেও রিয়েক্ট করবে প্রবল ভাবে। সৌম্য
সেদিন ওর ভাল লাগা ব্র্যান্ডের একটি বড়ো চকলেটের বাক্স নিয়ে নেয় সাথে করে। সৌম্য
জানে মূল ঝঞ্ঝাটটা মামকে নিয়ে নয়, মৌমিতাকে নিয়ে। সে কতগুলো
বস্তাপচা সেকেলে ধারণা নিয়ে আছে এই চূড়ান্ত আধুনিক যুগেও । কিছুতেই
বুঝতে চায় না, এসব কর্পোরেটের সাহেবদের একটু আধটু পান-পার্টি
না করলে জাত থাকে না। পিছিয়ে পড়তে হয়।মৌমিতাকে নিয়ে ওর রিয়েকশন প্রেডিকশন করে ----- সে হয় খুব চেঁচাবে, কিংবা রাগে গুম হয়ে বেডরুমের দরজায় টাওয়ার বোল্ড ঠুসে একা শুয়ে পড়বে। কিন্তু ওকে নিয়ে সৌম্যর কোন প্রেডিকশন-ই ঠিকঠাক মেলে না। তার মনে পড়ে বিশ্ববন্দিত মনবিদ সিগমুন্ড ফ্রয়েডের বিখ্যাত স্বীকারোক্তি ---- ‘তিরিশ বছর ধরে নারী আত্মা সম্পর্কে গবেষণা ক’রেও যার উত্তর আমি দিতে পারি নি, তা হচ্ছে --- নারী কী চায়?’
সৌম্য প্রথমে ল্যান্ড-এর ক্যারেকটার নিয়ে পড়েছে। চাষের জমি, বসত জমি, পরিত্যক্ত ফাঁকা
জায়গা না বনভূমি? যদি চাষের জমি হয় তবে উর্বর না অনুর্বর, কয় ফসলি, কতজন মানুষ ঐ
জমির উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে, সেই মানুষগুলির পেছনে কী কোন অন্য শক্তি কাজ করে
? চাষের জমি হলে পলিটিক্যাল ট্রাবল হতে পারে। তাহলে পলিটিক্যাল মাসলম্যানদের আগে থেকে ম্যানেজ করে রাখতে হবে । বসত জমি হলে সুবিধে, ওদের অন্যত্র থাকার
ব্যবস্থা করে দিলে প্রব্লেম নেই । পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গা হলে প্লব্লেম ।
ছেলেপুলেরা খেলাধুলার জায়গা বানিয়ে ফেলে ওটাকে। ওদের
ম্যানেজ করতে কালঘাম ছুটে যায়, জানে সৌম্য। বনভুমি হলে অন্যত্র কিছু গাছ লাগিয়ে
দেওয়া আর বন কর্তাদের তুষ্ট করা ----
ব্যস, কেল্লা ফতে। সৌম্যর খুব কঠিন মনে হয় না কাজটা। তবু ভাবে ---- খুব সাবধানে প্ল্যান করে এগোতে হবে। মৌমিতা শুনে
অবজ্ঞা করে বলেছে ---- ‘জমি নিয়ে ক্যাচালে একটা পাথরের মতো শক্ত হয়ে যাওয়া সরকার চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে পড়ে
চিঁড়েচ্যাপটা হয়ে গেল, আর তুমি মামুলি সৌম্যব্রত এসেছ কেরদানি দেখাতে ----
ফুঃ।’ সৌম্য হাসল।
হাসতে হাসতে বলল --- ‘ডিফারেন্স আছে ম্যাডাম, ওরা
পলিটিসিয়ান আর আমরা প্রফেশনাল ম্যানেজার। ওরা জ্যাক অব অল ট্রেড, মাস্টার অব নান। আর আমরা মাস্টার অব ম্যান-ম্যানেজমেন্ট অনলি। হিয়ার ইজ দ্যা ডিফারেন্স।’
ম্যানেজমেন্ট কোন রাখঢাক রাখে নি । চিফ এক্সিকিওটিব
কাম চেয়ারম্যান গাঙ্গুলী সাহেব ঘরে ডেকেছিল সৌম্যকে। কোনদিন যা করেন না তিনি তাই করলেন। কফি খাওয়ালেন সামনে বসিয়ে। সৌম্যর মনে পড়ল না গ্রীন ভ্যালি ইন্ডাস্ট্রিয়াল
হাউসের পাঁচ বছরের এই চাকুরী জীবনে যে ক’দিন চিফ এক্সিকিঊটিবের ঘরে ঢোকার প্রয়োজন
হয়েছিল কোনদিন তিনি বসতে বলেছেন কিনা। আজ
কফি খাচ্ছে আর ভাবছে ---- এটিই তার কর্মজীবনের স্মরনীয়তম দিন। গাঙ্গুলিসাহেব বলেছেন ---- ‘টাকার জন্য ভেবো না, যা খরচ করা প্রয়োজন হবে কোম্পানী করবে। তুমি কেবল
নিখুঁত প্লানিং করে করবে সব । কোন ঝুঁকি কিন্তু কোম্পানি নেবে না। ঐ ল্যান্ড চাইই চাই। ওখানে আমাদের এক্সটেন্ডেড প্রজেক্ট হচ্ছেই। আর
তুমি হবে ঐ প্রজেক্টের ইন্ডিপেন্ডেড এক্সিকিওটিব
অফিসার। কোম্পানির
চেয়ারম্যান হিসেবে আজ টোয়েন্টিথ এপ্রিল ডিক্লেয়ার করছি আগামী ফাইনান্সিয়াল ইয়ারের
প্রথম দিন আমাদের বহু প্রতীক্ষিত গ্রীন ভ্যালি
এক্সটেন্ডেড হাউসের প্রোডাকশন স্টার্ট হবে তোমার হাত দিয়ে।’ একটু থেমে একদৃষ্টে এক মুহূর্ত তাকিয়ে
রইলেন সৌম্যর চোখে চোখ রেখে। যেন কি খুজলেন ঐ চোখে তার অভিজ্ঞ চোখ দিয়ে। তারপর
বললেন ---- ‘ আই নো, ইউ আর দ্যা বেস্ট প্রেডিক্টর অব আওয়ার কোম্প্যানী। সো, স্টার্ট দ্যা ওয়ার্ক মাই ডিয়ার ----- ইয়োর
টাইম স্টার্টস নাও।’ সৌম্য আর সেকেন্ড দেরী না করে দুম করে গাঙ্গুলী সাহেবকে
একটা প্রণাম করে বেরিয়ে এল।
সহচর ড্রাইভার নজরুলকে নিয়ে তক্ষুনি সাইট ভিজিট করতে রওনা হল সৌম্য। নজরুল বলল --- ‘এক্ষুণি যাবেন স্যার! আমি বরং ইনফরমেশন গুলো সব কালেক্ট করি, আপনি নিজেকে নাহয় এক্ষুণি এক্সপোজ না করলেন।’ সৌম্য হাসল ---- ‘থ্যাঙ্ক ইউ ফর ইয়োর কনসার্ন। কিন্তু তুমি তো জানো নজরুল আমার কিছু ওয়ার্কিং-এথিক্স আছে। আমি নিজে সাইট ভিজিট না করে প্ল্যানিং করি না।’ নজরুল চুপ মেরে গেল। সৌম্যর মুড সে জানে। এর পর আর কথা বললে বকুনি খাবে। গাড়ী ছুটে চলল দুরন্ত গতিতে। সৌম্য তাড়া দিচ্ছে ---- ‘বি ফাস্ট নজরুল।’ চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে গাড়ী ছুটছে। বাড়ীতে টেলিফোন করে দিয়েছে। মৌমিতা গাঁইগুই করছিল ---- বাড়ী থেকে রেডি হয়ে যাবে না! কী আশ্চর্য! জামা-কাপড়, বেডিং-পত্র কিচ্ছু দরকার নেই তোমার! বাড়ী ফাঁকা ফেলে যাচ্ছ, সেখানে কিছু দায়িত্ব নেই! হেসে ম্যানেজ দিয়েছে সৌম্য --- ‘বাড়ীর জন্য ইউ আর এনাফ আই নো।’ তার পরও যখন কিছু বলতে যাচ্ছিল মৌমিতা, বলতে না দিয়ে সৌম্য বলল ---- ‘প্লিজ দুটো দিন ম্যানেজ করো, আই উইল কাম ব্যাক সুন, মাই ডিয়ার। টেক কেয়ার ডার্লিং। বাই।’ গাড়ী ছুটছে। সৌম্য বাইরে তাকিয়ে দেখল সন্ধ্যা হয়ে আসছে। সে ব্যাগ থেকে হুইস্কির বোতল বের করে মিনারেল ওয়াটারের মিশিয়ে নিল কিছুটা। তার পর একটু একটু করে গলায় ঢালছে আরামে। মাথাটা এলিয়ে দিয়েছে সীটে। অক্টোবরের নরম বাতাস ঢুকছে জানালা দিয়ে। বেশ ফুরফুরে নেশা হচ্ছে। একসময় ঘুম এসে গেল দু’চোখ জুড়ে।
মনটা খুশিতে ভরে উঠল সৌম্যর। যেন সে পরীক্ষায় বসে দেখছে সব কমন পড়ে গেছে। এবার শুধু খুব সাবধানে পরীক্ষার খাতায় লিখে দিতে
পারলেই কেল্লা ফতে। পাহাড়ের
পাদদেশে সবুজ ভ্যালিতে বিশাল ফ্যাক্টরির
পাশেই অনেকটা ফাঁকা জায়গা।অযত্নে প্রচুর গাছগাছালী জমে পুরো দখলদারী
চালাছে ফ্যাক্টরির ফাঁকা জায়গায়। একটু পেছন দিকে তাকিয়ে নজরুল আঙ্গুল দিয়ে দেখাল
বেশ কিছু ছোটছোট বাড়িঘর। সৌম্য বলল ---- ‘সে আমি দেখে নিয়েছি।’ সৌম্য স্থানীয় থানা, ফ্যাক্টরির ম্যানেজার
প্রৌঢ় বর্ধন সাহেব, সিক্যুরিটি ইনচার্জ লামা সবার সাথে কথা বলল। থানার কাতুকুতু
চেহারার অফিসার ইনচার্জ প্রথমেই সৌম্যর
এগিয়ে দেওয়া একটি বেশ ভারী প্যাকেট হাতে
নিয়ে বলল ---- ‘নো প্রব্লেম মিঃ ঘোষ, একটি
নোটিশ দিয়ে সাতদিন সময় দিন, ফাঁকা হয়ে যাবে সব। আপনি এইটথ-ডে থেকে কনস্ট্রাকশন স্টার্ট করে দেবেন।’ সৌম্য হেসে বলল --- ‘না স্যার, আমরা ফিফটিন ডেজ
টাইম দিচ্ছি।’ তাচ্ছিলের সাথে সম্মতি দিল অফিসার। মনে মনে যে
সৌম্যকে সে একটা পুলিশি খিস্তি দিল পরিষ্কার বোঝা গেল। স্মার্ট অফিসার সৌম্য ব্রত
ঘোষ বেশ তৃপ্তির সাথে হজম করল না শোনা গালটি। তার মনে ম্যানেজমেন্ট-এর
ধৈর্য্য-সূত্রটা সুড়সুড় করছে শুধু --- গো স্লো বাট স্টেডি। স্টেডি পায়ে বেরিয়ে এল
সৌম্য পুলিশ অফিসারের ঘর থেকে তক্ষুনি। সৌম্য লামা আর নজরুল কে নিয়ে গেল ঐ জমির উপরের বাড়ীগুলোর দিকে। লামা বলছিল ---- ‘ওরা সবাই খুব গরীব স্যার।’ গাড়ী থেকে নামতেই একটি অল্পবয়সী ছেলে এগিয়ে এল। পরিষ্কার বাংলায় বলল ---- ‘এই জায়গা ফাঁকা করা যাবে না স্যার। আপনারা যে জন্য এসেছেন, কাজটা সহজ হবে না। প্রয়োজনে রক্ততিস্তা বইবে।’ অবাক হল সৌম্য। লামাকে জিজ্ঞেস করল ---- ‘ওরা কী করে জানল আমরা কেন এসেছি?’ লামা বলল --- ‘ওর নাম বুলেট। এই বাড়ীগুলোর মধ্যে ঐ ছেলেটিই শিক্ষিত আর বুদ্ধিমান। ওকে ফাঁকি দেওয়া যাবে না স্যার।’
পনের দিনের মাথায় জমি দখল হয়ে গেল। সব বাড়ীগুলো সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ আর সৌম্যর লোকজন। প্রচুর লোক মিলে চার পাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। ঘন ঘন ফোন আসছে গাঙ্গুলি সাহেবের। সৌম্য বলে দিয়েছে---- ‘অপারেশন সাকসেসফুল স্যার।’ লামা বলছিল ---- ‘প্রথম দিন আমাদের ওখানে যাবার পর থেকে বুলেট নিখোঁজ। ও নেই বলেই কাজটা সহজ হল।’ নজরুল বলল ---- ‘এবারও আপনার প্রেডিকশন হানড্রেড পারশেন্ট কারেক্ট স্যার।’ গভীর তৃপ্তিতে গেস্ট হাউসের ঘরে গেল সৌম্য, অনেকদিন পর একটু আরামে ঘুমোবে। ঘরে ঢুকেই নজরুলের আনা হুইস্কির মৌতাতে ডুবে গেল সে। নজরুল জিজ্ঞেস করল ---- ‘বুলেট কোথায় গেল স্যার।’ নেশার ঝোঁকে প্রায় বেসামাল সৌম্য বাইরের ঘন অন্ধকারের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে কী যে দেখাল বুঝল না নজরুল। এরই মধ্যে মৌমিতাকে ফোন করল সৌম্য ---- ‘এনজয় দিজ নাইট মাই ডিয়ার, ইট ইজ দ্যা ডে অব টারনিং পয়েন্ট অব আওয়ার লাইফ। পারহ্যাপ্স ইট মে বি দ্যা ডে অফ ইয়োর ইন্ডিপেন্ডেন্স অলসো --- আই প্রেডিক্ট।’ সৌম্যর জড়ানো কথাগুলোর মাথামুণ্ডু কিচ্ছু বুজতে পারল না মৌমিতা।
পরদিন আর সৌম্যর ঘরের দরজা খুলল না অনেক বেলাতেও। দরজা ভেঙে যখন গেস্ট হাউসের ঘরে ঢুকল লামা, নজরুল আর থানার পুলিশ অফিসার, ততক্ষণে সৌম্যর রক্তাক্ত মরদেহ হাজার হাজার ডাঁশ পিঁপড়ের খাদ্য হয়ে গেছে। ঘরের একপাশের কাঠের ভাঙা বেড়া দিয়ে ঢুকছে রক্তদৃষ্টির মতো তরাইয়ের রোদ্দুর। নজরুল তক্ষুনি টেলিফোন করল গাঙ্গুলি সাহেবকে। গাঙ্গুলি সাহেবের কঠিন কর্পোরেট গলা থেকে ভেসে এল সহানুভূতির কথা ----- ‘বেচারা! ও জানত না এই পৃথিবীতে একমাত্র ডেথ হল আনপ্রেডিক্টেবল ইনসিডেন্ট।’ বলেই ছেড়ে দিল গাঙ্গুলিসাহেব। একটু দূরেই তখন দ্রুত কাজ হচ্ছে নতুন কোম্পানির। নজরুল শুনতে পাচ্ছে কে যেন চিৎকার করে বলছে ঠিক গাঙ্গুলিসাহেবের মতো ভরাট গলায় ---- ‘হাত চালাও, ফাস্ট। ভেরি ফাস্ট।’
Comments
Post a Comment