বাঁশির ডাক অথবা আগুন
আর একবার বাঁশিতে ফুঁ দিতে গিয়েই আমি বুঝতে পারলাম এতক্ষণ ধরে এই নিধুয়া পাথারে হাঁটতে হাঁটতে যা বাজাচ্ছিলাম তা বাঁশি নয়, সে আমার মায়ের জন্য মন কেমন করা কান্না। কিংবা সে কান্নাও নয়, আজ এই সংসারতলার সমস্ত ঝরে যাওয়া ধান আর লুঠ হয়ে যাওয়া ধানের মেয়েদের গল্প।
আমার তৃতীয় চোখ থেকে ভালোবাসা বেরিয়ে এসে ক্রমশঃ জ্বালিয়ে দিচ্ছিল শুকনো খড় আর মাঠের প্রান্তে বধির হয়ে থাকা মানুষদের বাড়িগুলো।
তারপর সে আগুন ছড়িয়ে পড়লো হাথরাস থেকে হায়নাতলা পর্যন্ত।
তামাশা দেখবার জন্য তখন কেউ আর মানুষের প্রতীক্ষায় নেই।
Comments
Post a Comment