অনু গল্প - সহেলী দে ঘোষ


কোনটা ধর্ষণ?


মিডিয়ার দৌলতে যে কোন ঘটনার কথা এখন না জানতে চাইলেও জানতে হয়। রুমকি এই ধর্ষণ নামক বিভীষিকার কথা কখনোই শুনতে চায় না। তবুও ফেসবুক খুললেই দেখতে হয়, সেইসঙ্গে টিভি আর খবরের কাগজ তো আছেই। কে, কিভাবে, কতজন মিলে ধর্ষণ করলো কোন মেয়েকে, তার থেকেও বেশি রুমকিকে নাড়া দেয় ধর্ষিতা মেয়েটি। রুমকি মনে মনে মেয়েটির ব্যথা কল্পনা করতেই থাকে। তার কল্পনায় ছেদ ঘটায় অরূপ তার স্বামী। ওদের অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। কেমন যেন কঠোর, ভাবলেশহীন ছেলে অরূপ। আইটি  সেক্টর এ কর্মরত। বউ এর প্রতি ভালোবাসার চাইতে কর্তব্য বেশি। আবার কখনো কর্তব্যবোধ টাও থাকে না। রুমকির জীবনে আনন্দ বৈচিত্র কিছুই নেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সংসারে খুব একটা কাজ নেই, যতটুকু আছে রুমকি নিজেই করে।  শুধু বাসন মাজার জন্য মিনতি দি আসে। অরূপ ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে গেছে। মিনতি দি কাজে এসেছে। বাসন মাজার সময় তার উন্মুক্ত পিঠে রুমকি নখের দাগ দেখতে পায়।  মিনতি দি কে কারণ জিজ্ঞেস করতে সে বলে, তার স্বামী কাল রাতে নেশা করে এসে জোর করে সোহাগ করেছে, এটা তার চিহ্ন। বলেই সে আঁচল দিয়ে পিঠ ঢাকে। কিন্তু মুখের যন্ত্রণার দাগ ঢাকতে পারে না। রুমকি ভাবে সে তো শাড়ি পড়েনা ঘরে। তাই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে রোজ রাতে অরূপের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার দাগটা ঢাকা পড়ে থাকে। রুমকি ভাবে একদিনের ধর্ষিতার কথা সবাই জানে, আর প্রতিরাতে যারা ধর্ষিতা হয় তাদের কথা .......



Comments