গল্প - সুস্মিতা নাথ


ছত্রপতির ছত্র কথা

     
      আমাদের দাদুর একটা মস্ত বড় ছাতা ছিল।  অ্যাত্তো বড় যে, সেটা খুললে মাথার উপরের অর্ধেক আকাশ ঢেকে যেত। বৃষ্টি বাদলে বাড়ির সকলে মিলে একই ছাতার নীচে দাঁড়াতে পারত।  কাঠের লম্বা ডাঁটের ওপর কালো রঙের প্যারাস্যুটের মতো দেখাতো সেটাকে। গ্রীষ্ম বর্ষা এমনকি শীতেও দাদু যেখানেই যেতেন, ছাতাটাকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। শীতের দিনে কিংবা রোদ বৃষ্টি কিছুই না থাকলে এই ছাতাই হয়ে যেত দাদুর হাতের লাঠি। অর্থাৎ কিনা ওয়াকিং স্টিক। একবার এই ছাতার ডাঁট দিয়েই এক পকেটমারকে ধরে ফেলেছিলেন দাদু। লোকটা কারও পকেট কেটে পালানোর মুহূর্তে পেছন থেকে দাদু  ছাতার ডাঁটের অর্ধ গোলাকার বাঁকানো বড়শির মতো অংশটা দিয়ে  নিপুণ কায়দায় পকেটমারের ঘাড় ধরে আঁটকে দিয়েছিলেন। এক ছাতা যে কত কাজে লাগত তার হিসেব নেই। 
      এই ছাতার জন্যেই দাদুকে আড়ালে অনেকে ছত্রপতি বলে ডাকত। কেউ কেউ  'ছত্রধর'ও বলত। দিম্মা আবার টিপ্পনী কেটে বলতেন 'ছত্রাক'। দাদু অবশ্য এসবে মোটেই ভ্রুক্ষেপ করতেন না। ছাতা ও দাদুকে আলাদা করে ভাবাই যেত না। দাদু যেখানে ছাতাও সেখানে। ঘুমের সময়ও দাদু ছাতাটাকে হাতের নাগালে রাখতেন। খাটের কোনায় আংটা দিয়ে দাঁড় করানো থাকত সেটা। ঠিক যেন সিপাই। একবার এই ছাতার জন্যেই ডাকাতির হাত থেকেও বেঁচেছিল বাড়ির সবাই। 
      ঘটনাটা খুলেই বলি। হয়েছিল কী, এক রাতে তিনজন সশস্ত্র  ডাকাত গ্রীলের তালা ভেঙে বারান্দায় ঢুকে দাদুর ঘরটা খোলার চেষ্টা করছিল। এমনিতেই দাদুর ঘুম খুব পাতলা। আওয়াজ শুনে জেগে উঠলেন তিনি। একটু খেয়াল করতেই বুঝলেন, বাইরে যেন কারা দাঁড়িয়ে আছে। ওরা প্রায় নিঃশব্দে দরজা খোলার চেষ্টা করছে। বুদ্ধি করে ঘরের ভেতরের আলো জ্বাললেন না দাদু। চুপটি করে উঠে দরজার কি-হোল দিয়ে বাইরেটা দেখলেন। যখন দেখলেন তিনজন লোক দরজার লক খোলার চেষ্টা করছে, সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজের করনীয় ঠিক করে ফেললেন। ছাতাটা নিয়ে তৈরি হলেন। অন্ধকারে দরজার পাশে গুটিসুটি মেরে ছাতা হাতে দাঁড়িয়ে থাকলেন। একটু পরেই লক ভেঙে সবে মাত্র প্রথম ডাকাত ঘরে ঢুকেছে, অমনি দাদু ছাতার পেছনের সূচালো দিকটা দিয়ে দিলেন ডাকাতের পেটে এক মোক্ষম খোঁচা। 
      আচমকা এমন আঘাতের জন্যে মোটেই প্রস্তুত ছল না ডাকাত বাবাজি। তীব্র এক খোঁচা খেয়ে সাংঘাতিক ঘাবড়ে গেল সে। স্থান কাল ভুলে 'বাবারে মা-রে…মেরে ফেলল গো…’ করে চেঁচিয়ে উঠল। এই দেখে অন্য দুই ডাকাত হতভম্ব। আক্রান্ত হয়েছে ভেবে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে সঙ্গে সঙ্গে চম্পট দিল। আর দাদু মুহূর্তও বিলম্ব না করে প্রথম ডাকাতকে জাপটে ধরে ফেললেন। তারপর চেঁচামেচিতে যখন বাড়ির সবাই জড়ো হল, দেখা গেল দাদু আহত ডাকাতকে রীতিমতো বন্দী করে ফেলেছেন। এরপর পুলিশ এলো। ধরা পড়ল ডাকাত। সেই ডাকতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তল্লাশি চালিয়ে তার বাকি দুজন সাকরেদকেও গারদে পুড়ল পুলিশ। 
      সেজন্যেই দাদু যখন বলতেন, "আমার ছত্র পরম মিত্র", তখন কেউ দ্বিরুক্তি করতে পারত না। দাদু যখন ছাতা হাতে কোথাও হেঁটে যেতেন, পাড়ার দুষ্টু ছেলের দল গেয়ে উঠত, "ঐ যে দ্যাখো ছত্রপতি/ যাচ্ছে কোথা দুলিয়ে ছাতি।" আর দিম্মা বলতেন, "হাতে যখন নিয়েছে ছত্র, ঘুরে বেড়াবে যত্রতত্র।" যে যাই বলুক, দাদুর এসব কোনও কিছুতেই মাথাব্যথা ছিল না। 
     এহেন ছাতাটিই একদিন হারিয়ে গেল। খোদ দাদুর ঘর থেকেই গায়েব! সে কি আশ্চর্যের ঘটনা! ছাতার অন্তর্ধানে বসুবাড়ির পরিবেশ নিমেষেই থমথমে হয়ে উঠল। সবার মধ্যে চাপা উত্তেজনা, দুঃখ এবং ভয়। সত্যিই তো, কী হল ছাতাটার?  মনের ভেতরে কী ভীষণ অস্থিরতা বলে বোঝানো যাবে না। ছাতার শোকে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দাদু একেবারে বিছানা নিলেন। ছাতার সন্ধানে থানা পুলিশ থেকে শুরু করে গোয়েন্দাদেরও দ্বারস্থ হলেন মামারা। সে যে কী সময় গেছে বসুনবাড়িতে, ভাবলে আজও শিউরে উঠি। 
      ঘটনাটা যখন ঘটেছিল, তখন আমার বয়স দশ কি বারো।  সময়টা ছিল শরৎকাল। বাতাসে হিমেল পরশ। পুজোর ঠিক আগ দিয়ে আমরা দাদুর বাড়িতে গিয়েছি। বাড়িতে আসন্ন পুজোর অপেক্ষায় উৎসবের আমেজ। সেবার দাদুর বড়দিদি কাটিহার থেকে বেড়াতে এসেছেন ভাইয়ের বাড়িতে। দাদুর বড়দি, মানে আমাদের বড় দিদার বয়স হয়েছে অনেক। তবু সুস্থ সবল আছেন। দিব্যি চলাফেরা করে ঘুরে বেড়ান, নিজের কাজ-কম্মো নিজেই করেন। চোখের দৃষ্টিও প্রায় স্বাভাবিক। বয়েসের ছাপ কেবল তাঁর শ্রবণেন্দ্রিয় মানে কানেই একটু যা পড়েছে। কানে বড়দিদা খুবই কম শুনতে শুরু করেছেন। রাম বলতে শ্যাম শোনেন। তবে এতে অবশ্য বড়দিদার যতটা না অসুবিধে, তার চাইতে ঢেড় বেশি অসুবিধে হয়েছে অন্যদের। কেননা তাঁকে কিছু জিজ্ঞাসা করলে সঠিক উত্তর পাওয়া মুশকিল।       
       সে যাইহোক, বড়দিদার উপস্থিতিতে বেশ আনন্দেই কাটছিল দিনগুলো। বিশেষ করে নবরাত্রি উপলক্ষ্যে বাড়িতে রোজ ঘটা করে যে পুজো দিচ্ছিলেন, তারই নানান উপাদেয় প্রসাদ খেয়ে আমাদের সকালবেলাগুলো মিষ্টি মধুর হয়ে উঠছিল। তিনি দিনের বেশিরভাগ সময় পুজোআচ্চা নিয়েই থাকতেন। ভোর না হতেই আমাদের ঘুম ভাঙ্গত উলুধ্বনি আর শাঁখের আওয়াজে। প্রায় অন্ধকার থাকতেই ঘুম থেকে উঠে, স্নান সেরে, পেছনের বাগান থেকে ফুল বেলপাতা দূর্বা তুলে ঠাকুর ঘরে ঢুকে যেতেন। ওঁর সুর তুলে পড়া চণ্ডীপাঠ শুনে আসন্ন শারদোৎসবের আমেজ এসে যেত। আমরা ঘুম থেকে উঠেই নিত্যপূজার মহার্ঘ প্রসাদ খেয়ে দিন শুরু করতাম। 
      এর মধ্যেই একদিন সকালে হঠাৎ বাজারে যাওয়ার আগে দাদু দেখলেন খাটের কোণে রাখা তাঁর ছাতাটি নেই। কোথায় গেল সেটা? এ ছাতা তো অন্য কেউ ব্যবহার করে না! মুহূর্তেই খোঁজ খোঁজ পড়ে গেল। সারা ঘরবাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজতে লাগলাম সবাই। আমরা ছোটরা খাটের তলা, আলমারির পেছন, চিলেকোঠার ঘর সব আঁতিপাঁতি করে খুঁজলাম। কিন্তু নাহ, কোত্থাও ছাতার দেখা নেই। দাদুর মহামূল্যবান ছাতাটি যেন ম্যাজিকের মতো ভ্যানিশ হয়ে গেছে। 
       ছাতা না পেয়ে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের বাড়িতেও খবর পৌঁছে গেল। থানার দারোগামশাই আমার ছোটমেসোর বন্ধু। মেসো তাই বন্ধুকে সব জানিয়ে পুলিশের সাহায্য চাইলেন। এর ফলে বাড়িতে পুলিশও এলো। উৎসুক ও উদ্বিগ্ন প্রতিবেশিরা খবর শুনে একে একে বাড়িতে এসে ভিড় জমাতে লাগল। যারা এলো না তারাও দূর থেকে উঁকিঝুঁকি মারতে লাগল। আমার ছোটমামা পাড়ার ক্লাবের সেক্রেটারি। বেশ প্রভাবশালী মানুষ। তিনি তড়িঘড়ি পাড়ার ছলেদের নিয়ে একটা ‘ছাতা অনুসন্ধান’ দল তৈরি করে ফেললেন। এই দল সমস্ত মহল্লা জুড়ে ছাতার সন্ধান চালাতে শুরু করে দিল। 
        পাশের পাড়ায় আমার এক পিসির শ্বশুরবাড়ি। পিসির দেবর  হল বিখ্যাত গোয়েন্দা সন্ময় মিত্র। খবর দেওয়া হল তাঁকেও। সেও ছুটে আসল সরেজমিনে তদন্ত করতে। এত লোকজনের আসা-যাওয়ায় বাড়িতে একটা উৎসব উৎসব পরিবেশের সৃষ্টি হল। সবার মুখে মুখে ছাতার গল্প, ছাতার মহীমাকীর্তন, ছাতার দুঃখে কাতর হওয়ার কথা। 
        এদিকে ছাতার শোক সহ্য করতে না পেরে দাদু একেবারে বিছানা নিয়েছেন। নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।  ছাতা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তিনি নাকি আমরণ অনশন করবেন। তাঁকে নানাভাবে বুঝিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। দাদু প্রতীজ্ঞায় অনঢ়। তাঁর চিকিৎসা ও সেবা শুশ্রূষার জন্যে একজন ডাক্তার ও নার্সকেও ডেকে আনতে হয়েছে। দিম্মা কান্নাকাটি শুরু করেছেন। অনবরত কেঁদেকেটে দাদুকে বলে চলেছেন, 'ওগো খাবারটা খেয়ে নাও। তুমি চলে গেলে আমার কী হবে? আমি কীকরে থাকব? ... আমার চেয়ে ছাতা তোমার বেশি হল? ...'
       ছাতা আর ছাতার মালিককে নিয়ে বাড়ির সব্বাই তখন একেবারে ব্যাতিব্যস্ত।  
       এতসবের মধ্যে কেবল বড়দিদাই নিশ্চিন্তে রয়েছেন। আসলে কানে শোনেন না বলে, কী ঘটেছে সেটাই তিনি জানেন না। কেবল বাড়িতে এত লোকজনের আনাগোনা ও দফায় দফায় মিটিং, আলোচনা, তর্কাতর্কি দেখে একবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘কী র‍্যা? অ্যাতো হইচই ক্যান? বাড়িত অ্যাত্তো লুক আসে ক্যান?’
       বড়মামী বললেন, ‘বাবার ছাতাটা পাওয়া যাচ্ছে না পিসিমা।’
--- কী বললি? কার ক্যাঁতা পাওয়া যায় না? তা, ঠান্ডা তো পড়ে নাই, ক্যাঁতা দিয়া কী করবি? 
--- কাঁথা নয় পিসিমা, বাবার ছাতা। বড়মামী স্বরের ভলিউম বাড়িয়ে বড়দিদাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
        কিন্তু এবার মামীর কথা শুনে বড়দিদা বললেন, ‘ও-ও তাই বল, খাবার হাতা? তো হাতা পাইস না তো রান্নাঘরে গিয়া খুঁজ। একডা হাতার লিগা এমন হইচই বাঁধাইলে হয়?’ 
      বোঝো ঠেলা! বড়মামী অবশ্য আর তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেননি।   
      এসব হুলুস্থুলের মধ্যেই দিনটা কেটে গেল। রাত্রিবেলা, লোকের আনাগোনা অনেকটা কমে গেলেও ছাতার শোকে বাড়ির পরিবেশ একই রকম থমথমে হয়ে আছে। শুধু দাদুই নয়, ছাতার হারানোর দুঃখে কম বেশি কাতর বাড়ির সবাই। আমরা ছোটরাও চেঁচামেচি বা দুষ্টামি করছি না একদম। বড়মামার ঘরে বাড়ির বড়রা মিলে ছাতা উদ্ধারকল্পে মিটিং বসিয়েছেন। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটা নিয়েই আলোচনা চলছে। আমরা কচিকাঁচারা চুপটি করে বসে বড়দের আলোচনা শুনছিলাম। কেবল মাথাব্যথা করছে বলে ছোটমামী কোনার ঘরে গিয়ে আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়েছিলেন।
      হঠাৎ ছোটমামীর বিকট আর্তনাদে চমকে উঠলাম সবাই। সব্বাই পড়িমড়ি করে ছুটে গেলাম কোনার ঘরের দিকে। মামী এত জোরে চিৎকার করেছেন যে কানে খাটো বড়দিদাও শুনে চলে এসেছেন।  এসে দেখি মামী রীতিমতো থরথর করে কাঁপছেন। চোখে মুখে আতঙ্ক ফুটে উঠেছে। কথাও বলতে পারছেন না ঠিক করে। কোনও রকমে খোলা জানলার দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘ভূ-ভূ-উ-উ-উত।’
        ভূত! আমরা ভয়ানক বিস্মিত। এই ঘরের জানলা দিয়ে বাড়ির পিছনের বিশাল বাগানটা দেখা যায়। মামীর আঙ্গুল লক্ষ্য করে সেদিকে তাকিয়ে আমাদেরও রক্ত হিম হয়ে গেল। জানলার ওপাশে ঘর থেকে ফুট দশেক দূরে একটা শিউলিগাছ আছে। ঘরের ভেতর থেকে তাকিয়ে বাগানের অন্ধকারেও স্পষ্ট দেখলাম শিউলি গাছের উঁচু ডালটা থেকে কে যেন ফাঁসির মরার মতো ঝুলছে! 
      ভয়ে আঁতকে উঠেছি সবাই। একটা হিমস্রোত আমার শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে গেল। বাকিদেরও চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। ভয়ে চোখ বিস্ফোরিত। কিন্তু আমার ছোটমামা অসীম সাহসী। প্রাথমিক ভাবে খানিক থমকে গেলেও, পরমুহূর্তেই গা ঝাড়া দিয়ে উঠলেন ছোটমামা। সঙ্গে সঙ্গে হাতে একটা টর্চ নিয়ে বাগানের দিকে ধেয়ে গেলেন তিনি। এই দেখে তাঁর পেছনে পেছনে ছুটল অন্যেরাও। বড়মামা, দিম্মা এমনকি বড়দিদাও। আর তারপরেই যা ঘটল, সেকথা জীবনেও ভোলা যাবে না। 
    বাগানে গিয়ে টর্চের আলো ফেলে দেখা গেল দাদুর হারাধন সেই আদরের ছাতাখানা শিউলি গাছের ডাল থেকে ঝুলছে। কেউ ওটাকে ডাঁটার ঘোরানো অংশটা দিয়ে আংটার মতো ঝুলিয়ে রেখেছে গাছের ডালে। অভাবনীয় ভাবে ছাতাখানা পেয়ে সবাই স্তম্ভিত। পরক্ষণেই উল্লাসে ফেটে পড়ল সবাই। আর বড়দিদা যেন একটু বেশিমাত্রায়ই উচ্ছ্বাসিত। ঝুলন্ত ছাতাটা দেখেই বলে উঠলেন, ‘ও হরি! ভুরবেলা ফুল তুলতে আইস্যা ছাতাডারে এইখানেই ঝুলাইয়া রাইখ্যা গেসি! ভুইল্যাই গেসিলাম এইডার কতা।’
      বড়দিদা যে উঁচু ডাল থেকে ফুল-বেলপাতা তোলার জন্যে দাদুর ছাতাখানা ব্যবহার করছিলেন, সেটা কে জানত? সেদিন ভোরেও উঁচু ডাল থেকে ফুল পাড়া হয়ে গেলে ছাতাটাকে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু ঘরে যাওয়ার সময় আর সেটা সঙ্গে নেওয়ার কথা মনে নেই। ফলে ওটা ওখানেই রয়ে গেছে। বাড়ির ভেতরে তন্ন তন্ন করে খুঁজলেও বাগানেও যে জিনিসটা থাকতে পারে একথা আমাদের কারও মাথাতেই আসেনি। 

Comments

  1. বেশ মজার l
    ... সুব্রত ভট্টাচার্য l

    ReplyDelete
  2. চমৎকার গল্প। ভালো লাগল সুস্মিতা।

    ReplyDelete
  3. মজার গল্প । 😄

    ReplyDelete
  4. শিব্রাম চক্কোত্তি-র ভর হয় নাকি ! কথার প্যাঁচে প্যাটে খিল ধরাবার ধুম !

    ReplyDelete

Post a Comment