কবিতা - সুপর্ণা পালচৌধুরী

ইতিকথা

মাথার ভেতরটা ক্রমেই শূন্য হয়ে যাচ্ছে রোজ। ইচ্ছের সাথে সব অনিচ্ছারাও সরে সরে যাচ্ছে অনেক দূরে। কান্না ভেজা পাঁজর গুলো মুক্তি খুঁজছে হাহাকার করে। এমন কেউ কি নেই, কেউউ কি নেই এক টুকরো খুশি এনে দেবে?


সে ছিল এক দিন, 


রূপকথা দের ভীড় ঠেলে 

দিতাম বিয়ে পুতুলের, 

যখন তখন কান্না পেত

বায়না ছিল আমাদের!


তখন, যখন গলা ছেড়ে 

গানের সাথে ঝগড়াও -

দিনে দুবার খেলতে যেতাম

আড়ির সাথে ভাবরাও!


চৈত্র-শ্রাবণ সব মাসেতেই

বৃষ্টি ভিজলে জ্বর,

পড়ার কথায় পেটে ব্যথা রোজ

নাহলে মায়ের চড়!


ছাঁচের জলে মাথা দিয়ে 

কুলকুচিতে ফোয়ারা,

হুল টানলে থোড়াই কেয়ার 

ঘায়েল হয়তো ভোমরা!


লম্বা বেঁটে বন্ধু সবাই 

হাত দিয়ে কেউ হাঁটলে,

দাঁত দিয়ে ঠিক কামড়ে দিতাম

যুদ্ধটাতে হারলে!


খামচে টেনে ছিঁড়েছে জামা

মাথার চুলেও খাপলা,

তবুও আবার একটু পরেই 

মাথায় মাথায় জটলা!


উকুন-শকুন ভাই ভাই তাই

বিচ্ছিরি সব নাম,

রাগ বাড়লেই সেই নামেতেই

দিতাম ধরে টান।


আবার কখন খেলতে যাব,

স্কুল ড্রেসেতে কালি-

কান ধরে ঠিক দাঁড়িয়ে ছিলাম 

মায়ের মুখের গালি!


সহ্য হতো, হজমও হতো

তালা বন্ধ দরজা, 

জানালা খুলে হয়তো তখন 

জুড়তো নানান তরজা।


তাও সেগুলো রূপকথা ময়

ফিরে পেতাম যদি,

এক ডুবেতেই পেরোতে পারি

আস্ত সেই নদী।



Comments