গল্প - সোমজা দাস


আঁধার রাতের অতিথি


সময়টা চারের দশকের গোড়ার দিক, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। জাপানি বোমার ভয়ে প্রায়ই কলকাতা ও শহরতলি অঞ্চলে সন্ধ্যের পর সাইরেন বাজলেই শহর নিস্প্রদীপ রাখার আইন বলবৎ হয়েছে। আকাশ পথে বোমারু বিমান উড়ে আসতে পারে যেকোনো সময়, সবাই আতঙ্কিত। সন্ধ্যে লাগার আগেই সকলে চেষ্টা করে ঘরে ঢুকে দোর দিতে।

দিনটা রবিবার। স্থান কলকাতা শহরতলির শেয়ালদহ অঞ্চলের একটি মেসবাড়ি। মেসের বাসিন্দারা বেশীভাগই কলকাতায় চাকরি সূত্রে বসবাস করে। পরিবার থাকে দেশের বাড়িতে। এদের বেশীভাগই শনিবার অর্ধেকদিন অফিস করে ছুটির পরে ট্রেন ধরে বাড়ি পৌঁছায়। আবার রবিবার রাত বা সোমবার সকালে ফিরে আসে সারা সপ্তাহ অফিস করার জন্য। কিন্তু ইদানীং যুদ্ধের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে ও বোমারু বিমান হানার ভয়ে প্রতি সপ্তাহে সকলের বাড়ি যাওয়া হয়না। তাই আজ সন্ধ্যার পর মেসের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ অনাদি তালুকদারের ঘরে আড্ডাটা বসেছিল। উপলক্ষ তাসের আসর, সেই সাথে চা আর মুড়ি মাখা। কমলবাবু একটু পেয়াজির জন্য দরবার করতে গিয়েছিলেন রান্নাঘরে, ম্যানেজার ওরফে মেসমালিক দত্তবাবু সোজা বলে দিয়েছেন, এই বাজারে মুড়ি জুটছে, সেই ঢের।

অনাদিবাবু চায়ের কাপে শেষ চুমুকটা দিয়ে বললেন,
"চিনির পাট কি তুলেই দিলেন নাকি দত্তবাবু? ছ্যাঃ, এই অখাদ্য চা খেয়ে মেজাজ ঠিক রাখা দায়।"

মেসমালিক বিমল দত্ত বললেন, "চিনি বাজারে কোথায়? সব গুদামে জমা হচ্ছে। দোকানে আসছে না। আর এলেও পেছনের রাস্তা দিয়ে। ওতে হাত ছোঁয়ালে ছ্যাঁকা লাগে মশাই। তাও তো যেটুকু পেরেছি, কুড়িয়ে কাঁচিয়ে এনেছি। ওতেই খুশী থাকুন আপাতত।"

রতিকান্ত সামন্ত স্কুল শিক্ষক। তাঁর চা পান বিড়ি সিগারেট কিচ্ছুটির নেশা নেই। অল্পবিস্তর লেখালেখি করেন। বিভিন্ন ছোট খাটো পত্রিকায় সেসব ছাপাও হয়। সেই কারণে তিনি মেসে একটু আলাদা খাতির পেয়ে থাকেন। কম কথার মানুষ তিনি। তবে তোষামোদ পছন্দ করেন। যতীন সরকার এই মেসের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। সবেমাত্র কিছুদিন হল সরকারি দপ্তরে চাকরি পেয়ে কলকাতায় এসে এই মেসটিকে আশ্রয় করেছে। বাড়ি হুগলি জেলার কোন এক গ্রাম। এছাড়া আছেন বিমল দত্ত। ইনি বিপত্নীক মানুষ, মেসবাড়ির মালিক হলেও তিনিও একই উড়ে বামুনের হেঁসেলের ভোগে জীবনধারণ করে থাকেন।

রবিবার বলে মেসে এই কজনই রয়ে গেছেন। বাকিরা সোমবার সকালের মধ্যে জীবনযুদ্ধের রঙ্গমঞ্চে আবির্ভূত হবেন। যতীন জানালার ধারে দাঁড়িয়ে সিগারেটটা শেষ করে ফিল্টারটা আঙ্গুলের নিটোল টিপে পাশের গলিতে নিক্ষেপ করে বলল,
"গত সপ্তাহে হাওড়ায় যে বোমাটা পড়েছিল, তাতে কয়েকজন মারা গেছে জানেন তো? তার মধ্যে একজন আমাদের অফিসের এক সহকর্মীর জামাইবাবু। তাঁর স্ত্রীর নাকি পাগল পাগল দশা। প্রতি রাতে স্বামীকে দেখতে পাচ্ছেন। চিৎকার করে কাঁদছেন।"

কমলবাবু নরম মনের মানুষ, তেমনি সাধাসিধে। বললেন, "বলেন কি? আহা, সংসারের মায়া কাটাতে পারছেন না বোধ হয়। তাই তো ফিরে ফিরে আসছেন। অমন হয় শুনেছি।"

"হুম শুনেছেন। বলি দেখেছেন কি? মানে ভূত দেখেছেন কোনদিন নিজের চোখে? সব গালগল্প," বললেন অনাদিবাবু।

কমলবাবু বললেন, "অ্যাঁ, সব গালগল্প? তাহলে যে যতীন বলল, ওর সহকর্মীর দিদি দেখতে পাচ্ছেন তাঁর মৃত স্বামীকে?"

"ধুর, ওসব ইলুশন ভায়া," অনাদিবাবু বললেন, "ভূতটুত ওসব গল্পকথায় হয়। ভদ্রমহিলা স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুতে শোক পেয়েছেন। সাময়িকভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন হয়তো।"

অনাদিবাবুর যুক্তি যতীনের পছন্দ হল না। বলল, "তার মানে আপনি বলতে চান, ভূত বলে কিছু হয়না? সবটাই মানসিক ভারসাম্যের সমস্যা আর দৃষ্টির বিভ্রম?"

"হুম, আমার তাই মত। অন্তত আমি তো কোনদিন ভূত দেখিনি। তুমি দেখেছ?" অনাদি তালুকদার হেসে বললেন, "তা রতিকান্তবাবু, আপনি তো বেশ সাহিত্যচর্চা করেন টরেন। সাহিত্যে তো ভূতেদের বেশ রমরমা বাজার। আপনি লেখেন টেখেন নাকি ভূতের গল্প?"

রতিকান্ত গম্ভীর কণ্ঠে উত্তর দিলেন, "নাঃ, ওসব হালকা রসের বস্তু নিয়ে আমার কারবার নেই। আমি সামাজিক, রাজনৈতিক গল্প লিখি। যে গল্পে সমাজবদলের কথা থাকে, সম্পর্কের সমীকরণ থাকে, আবেগ, নিদেনপক্ষে পারিবারিক মূল্যবোধ থাকে। ভূতেদের সাথে আমার খাতির নেই।"

বিমলবাবু দেয়ালঘড়ির দিকে চেয়ে বললেন, "সাতটা তো বাজতে চলল। মনে হয়না আজ আর কেউ ফিরবে। ঠাকুরকে আমাদের এই কজনের জন্যই চাল চড়াতে বলি বরং।"

"তা বলুন। কিন্তু মশাই এবারের চালে বড্ড বেশী কাঁকর। খেতে গিয়ে মনে হয় দাঁতকটা খুলে হাতে চলে আসবে", যতীন বলল।

"সব জিনিসের দাম বেড়েছে তিনগুন চারগুন। সর্বত্র কালোবাজারি চলছে যেন পুকুরচুরি। এই খরচে মেস নিজে চালিয়ে দেখুন না মশাই একটা মাস। তারপর দেখব কোন চালের ভাত খাওয়ান", বিরক্তমুখে উত্তর দিলেন বিমলবাবু।

যতীন কিছু উত্তর দিতে যাচ্ছিল, এমন সময় সারা শহর কাঁপিয়ে সাইরেন বেজে উঠল। সকলে একে অন্যের মুখের দিকে তাকিয়ে উঠে দাঁড়াল তাড়াতাড়ি। বিমলবাবু ত্বরিতপদে জানালাগুলি বন্ধ করতে শুরু করলেন। বাকিরাও হাত লাগাল। সারা বাড়ির আলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিভিয়ে দেওয়া হল। উড়ে ঠাকুর একটা লন্ঠন জ্বেলে শিখাটা একদম কমিয়ে দিয়ে রেখে গেল ঘরে। বিমলবাবু তাকে বললেন, "ভাতটা চড়িয়ে দে। আর কেউ আসবে না। তাড়াতাড়ি খেয়েদেয়ে আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়াই ভালো।"

যতীন বলল, "সুবীরদার আজ আসার কথা ছিল না?"

বিমলবাবু মাথা নাড়লেন,
"বলেছিল তো আজই আসবে। এত দেরি হয়ে গেছে, মনে হয় না আর আসবে আজ। তাছাড়া ওর স্ত্রী তো সন্তানসম্ভবা ছিলেন। হয়তো কোনও খবর হয়েছে। তাই আটকে গিয়েছেন।"

"তা হতে পারে", যতীন বলল। সুবীর যতীনের সহকর্মী ; যতীনদের পাশের গ্রামেই বাড়ি। সেই যতীনকে এই মেসে নিয়ে এসেছে, একই ঘরে থাকে তারা। ছোট ভাইয়ের মত স্নেহ করে যতীনকে।

"বাইরে মেঘ ডাকছে। বৃষ্টি নামবে বোধ হয়", বলল রতিকান্তবাবু। আর বলতে বলতেই বৃষ্টিটা নামল। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া। কড়কড় করে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে অনবরত। অন্ধকার নগরীর বুক ঝলসে উঠছে প্রাকৃতিক বৈদ্যুতিন আলোয়। ঝড়ের দাপটে বন্ধ জানালার কপাটগুলিতেও খটাখট শব্দ হচ্ছে। এমন সময় মেসবাড়ির সদরদরজায় জোরে জোরে কড়া নাড়ার শব্দ শোনা গেল।

" এই ঝড়বৃষ্টির মধ্যে আবার কে এল?" বলে উঠে দাঁড়ালেন বিমলবাবু। কোমরের গেজে থেকে চাবিটা খুলে সদরদরজার দিকে এগোলেন। একটু পরেই ফিরে এলেন, সঙ্গে সুবীর। ভিজে গা, জামাকাপড় থেকে জল ঝরছে।

বিমলবাবু ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বললেন, "তুমি ঘরে গিয়ে জামাকাপড় বদলাও সুবীর। তোমার জন্য চা বসাতে বলি। গরম চা খাও। নাহলে যা ভিজেছ, তাতে ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া বাঁধাতে সময় লাগবে না। আমি তোমার জন্য ভাতের চাল নিতে বলে আসি।"

সুবীর বলল, "না না বিমলবাবু, ওসব করতে যাবেন না। আমি কিছু খাব না এখন", তারপর বলল, " একটা খবর দিতে এলাম। কাল রাতে আমাদের খোকা হয়েছে।"

সবাই হইহই করে উঠল। অনাদিবাবু বললেন,
"এই ঝড়জল মাথায় করে আসার কী ছিল? কাল আসতে। তা বৌমা ঠিক আছেন?"

"হ্যাঁ দাদা। ঠিকই আছে। কাল আর আসা হত না, তাই আজই আসতে হল।"

সুবীর কথা বলছিল ঠিকই, কিন্তু বাবা হওয়ার আনন্দ ওর কাছে অভিব্যক্তিতে অনুপস্থিত ছিল। অন্ধকারেও কেমন যেন ম্লান দেখাচ্ছিল ওকে। যতীনের দিকে তাকিয়ে সে বলল,
"ভাই যতীন, আমাদের ঘরের দরজার তালা দিয়ে এসেছ দেখলাম। চাবিটা দাও তো।"

যতীন চাবিটা ওর হাতে দিল। চাবি নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল সুবীর। কিছুক্ষনের মধ্যেই ফিরে এল। ভেজা জামাকাপড় বদলায় নি এতক্ষণেও। হাতে ধরা করেকটা কাগজ। সেগুলো যতীনের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
"কাকে আর বলব, তুমি আমার ভাইয়ের মত। এই কাগজগুলো তোমার কাছে রেখে যাচ্ছি। যা ব্যবস্থা নিতে হয় নিও। আমার স্ত্রী গাঁয়ের মেয়ে, লেখাপড়া শেখেনি। সে নিজে কিছু করে উঠতে পারবে না। একটু সাহায্য করো।"

"কী এগুলো সুবীরদা? এসব কথার মানে কি? কিসের সাহায্য?" বিস্মিত যতীন জিজ্ঞাসা করল।

"আমি আসি", বলে সুবীর মাথা নীচু করে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে গেল। সবাই পেছন থেকে হা হা করে উঠল।
"আরে এইরকম ওয়েদারে এই অন্ধকারে চললে কোথায়? কী মুশকিল !" বিমলবাবু পিছন থেকে চেঁচিয়ে বললেন। কিন্তু ততক্ষনে সুবীর গেট খুলে রাস্তায় নেমেছে। যতীন ঝড়বৃষ্টি মাথায় করে সুবীরের পেছনে ছুটে গেল। অন্ধকার গলিতে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সুবীর এগিয়ে চলেছে, একা। ধীরে ধীরে গলির মাথায় পৌঁছে পথের বাঁকে মিলিয়ে গেল অন্ধকারে।

ঘরে ফিরে এল যতীন। অনাদিবাবুর হাতে ধরা সুবীরের দেওয়া কাগজগুলোর উপর সকলে ঝুঁকে আছে। যতীন ঘরে ঢুকতেই বিস্মিত চোখে তাকাল সবাই তার দিকে। যতীনের চোখে জিজ্ঞাসা। অনাদিবাবু কাগজগুলো এগিয়ে দিল যতীনের দিকে। লন্ঠনের আলোতে যতীন দেখল, সুবীরের অফিস থেকে প্রাপ্য টাকার হিসেবনিকেশ, দুটি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির দলিল, আর একখানা জমির দলিল ও খতিয়ান দিয়ে গিয়েছে সুবীর তার জিম্মায়। অবাক হল যতীন। এসব তাকে কেন দিল সুবীরদা? এসব নিয়ে কী করবে সে?

সারারাত ঘুম হল না তার। সুবীরদা অমন বৃষ্টি মাথায় করে ম্লান মুখে বেরিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটি তাকে তাড়া করে বেড়ালো। সকালে উঠে অফিস যাওয়ার তাড়াহুড়োয় গতরাত্রির কথা মাথা থেকে বেরিয়ে গেল যতীনের। স্নান করে উড়ে ঠাকুরের ট্যালটেলে ডাল, ঘ্যাটচচ্চরি, আলুভাজা নাকে মুখে গুঁজে অফিসে বেরোল সে। আজ দেরী হয়ে গিয়েছে বেশ। বড়বাবুর কাছে ধমক খেতে হবে নিশ্চিত।

স্টেশনে পৌঁছে নিজের মত পরিবর্তন করল যতীন। মনের ভিতর কি যেন একটা কাঁটা খচখচ করছে। গ্রামের টিকিট কিনে ট্রেনে চেপে বসল যতীন। ঘন্টা খানেকের মধ্যে পৌঁছে গেল। তাদের এবং সুবীরের পাশাপাশি গ্রামের একটাই স্টেশন। স্টেশনের বাইরে পা রাখতেই গোপালদার সাথে দেখা, তড়িঘড়ি স্টেশনে ঢুকছেন। গোপাল সরখেল এই স্টেশনের স্টেশন মাস্টার, বেশ মাইডিয়ার লোক। যতীনকে দেখে বললেন,
"খবর পেয়ে এলি বুঝি?"
"কিসের খবর?" যতীন জিজ্ঞাসা করল।
"সেই তো, তুই আর জানবি কেমন করে?"
"কী ব্যাপার, বলুন তো?"
"আরে সুবীর, তোর সাথেই তো থাকত কলকাতায়। কাল রাতে মারা গেল রে। কী কপাল দেখ, পরশু রাতেই ওর বউয়ের ছেলে হল। আর কালই... ছেলেটা বাবা কি জিনিস জানতেও পারল না।"

যতীনের পায়ের নীচে মাটি দুলছে। মনে হচ্ছে এখনি পড়ে যাবে। গোপালদা ধরে ফেললেন।
"আরে কি হল? শরীর খারাপ লাগছে?"
"সুবীরদা কখন মারা গেছেন গোপালদা?" যতীন ভগ্নকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করল।
"সন্ধ্যেবেলায় রে। কলকাতায় যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। ছেলে হয়েছে ; কদিন ছুটি নেবে বলে দরখাস্ত করে তোর হাতে পৌঁছে দেবে বলে যাচ্ছিল, যাতে তুই সেটা অফিসে জমা করে দিতে পারিস। ভেবেছিল রাতটা ওখানে কাটিয়ে সকালে গাঁয়ে ফিরে আসবে। স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই ঝড়বৃষ্টি শুরু হল। এই তো, এখানেই বসে ট্রেনের অপেক্ষা করছিল। আমার সাথে কথা হল। খুশী ছিল খুব। ঝড় বৃষ্টি বাড়তে আমিই বললাম বাড়ি ফিরে যেতে। বাড়ি ফিরে যাবে বলে ফিরেও ছিল। কিন্তু বাড়ি অব্দি পৌঁছাতে পারেনি। বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল খুব। পথেই মাথায় বাজ পড়ে সব শেষ। পুড়ে ঝামা হয়ে গিয়েছিল পুরো শরীর।"

প্ল্যাটফর্মে কোন ট্রেন ঢুকছে। "আসি রে", বলে গোপালদা এগোলেন সেদিকে। যতীন বসে রইল একা। সুবীরদা মরে গিয়েও নিজের দায়িত্বপালন করতে তার কাছে গিয়েছিল কাল। চোখ দিয়ে অবিরল ধারায় জল পড়তে লাগল যতীনের। রতিকান্ত বাবুকে বলতে হবে, ভূতের গল্পেও আবেগ, সম্পর্কের সমীকরণ, পারিবারিক মূল্যবোধ থাকে।

Comments