অনভ্যাসের কবিতা
একটা শুকিয়ে যাওয়া নদীর তীরে
নিজের পায়ের ছাপ মেলাচ্ছিলাম।
লালচে কাঁকড়ার মতো দাগ রেখে গেছি
শুকনো বালিতে ,
শুধু ফিরে আসব বলে।
বহুবার হেঁটে গেছি ভাঙাচোরা ঘাটের দিকে।
হাঁটুজল বিছিয়েছি,
ভিজিয়েছি টগবগে হাভাতে শরীর।
নিতান্ত ত্রাণ ফেলে রাখা সুবেশী সিন্দুকের জন্য!
অথচ এক ব্যাগ পাহাড়ের ছায়া আনব বলে
জারুল পুষেছিলাম গাঢ় রোদ্দুরের বনে।
ভেবেছিলাম,বৃষ্টিরা ডাগর হলে
কুড়িয়ে নেব সরা ভর্তি চাঁদ আর সহজের ছড়া
অফুরন্ত এজলাসে।
তারপর,
চিলেকোঠার খুঁটিনাটি,
অনিবার্য ফিসফিস,
বাগান ভর্তি শীত আর সেকেলে ঈশ্বর-
এ স...ব রেখে দেব যত্নের নীলাভ বয়ামে।
নিভে আসার আগে সে সব চেটেপুটে ...
নদী আমার,
নদীর তীরও আমার, তবু
পায়ের ছাপগুলো মিলছে না আর।
মুখ বুজে আছে ফিরে আসার পথ।
হাতড়ে যাচ্ছি ঘোলাটে মাইলফলক।
নদী বদলে গেছে?
নাকি আমার পায়ের মাপ?
অকর্মণ্য বেকুব সময়ের সাথে।।
![]() |
চিত্র - শ্রীহরি |
Comments
Post a Comment