জ্যোৎস্না কিশোর
সাঁতার শেখে না কেউ,শেখে শুধু বেঁচে যাওয়া,
ফেলে আসা কিছু ক্ষণ অগোছালো জলে।
অঙ্কটা ভুল ছিল, বোঝে সেটা কম লোক-ই,
রসায়নি রসিকতা,থেকে যায় জীবন সম্বলে।
এত রং এত আলো জুড়িয়েছে চারদিক,
সেও সব বেহিসেব। সেও সব ঢাকিদের পাড়া।
বেজে ওঠা আগমনী অযথা স্বপ্ন বোনে,
সব জানে ঢাকিবউ, সব জানে নিবুনিবু তারা।
তুমিও তো পেতে চাও খোয়াই ভাসানী চাঁদ,
লন্ডভন্ড প্রেম,আর যত কাশফুল সমূহ আবেগে ।
ঢের বেশি নদী থাকে কথাহীন গানের ভিতর,
সেই গান শিখে নাও,বুনে রাখো পরিচ্ছন্ন মেঘে।
দেখা তো হল কত শত দিন। দিনের গভীরে থাকা
সোনালী দুপুর,অনিবার্য শ্রাবণের দ্বিধাহীন ঘর।
ভুলে গেছ চেনা পথ,ভুলে গেছ ফিরে আসা
আর শুধু চিনে নিতে যে আছে খাঁচার ভিতর।
হঠাৎ হারিয়ে যাও অসম্ভবের রাতে,নীরবতা শুয়ে থাক।
জেগে থাক অনভ্যস্ত শরীরী মগ্নতা ভোর ।
সুরে থাক সহজিয়া বাউলের গান, মুছে যাক ভীষণ বিবাদ।
বুকে থাক প্রাণময় জ্যোৎস্না কিশোর।
Comments
Post a Comment