গল্প - রম্যাণী গোস্বামী



মৃত্তিকা তোকে  

 
আমার মিতু, আজ অলস দুপুরবেলা হঠাত ইচ্ছে হল যে তোকে একখানি চিঠি লিখি। এই দ্যাখও, হেসে ফেললি যে বড়? ওহ্‌, চিঠি লেখার কথা বললুম বলে? হ্যাঁ, সত্যিই তো! অফিসিয়াল কাজ ছাড়া চিঠিপত্র আজকাল আর কে-ই বা লেখে। বেশিরভাগ কাজের জায়গাতেও এখন ইমেইলের মাধ্যমেই সফট কপি পাঠানো হয়। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগ যে। তাছাড়া এই লকডাউনে কে-ই বা বাইরে বেরবে চিঠিপত্র পোস্ট করতে, আর কে-ই বা যত্ন করে খামটা পৌঁছে দেবে তোর হাতে। তবুও লিখতে বসলুম। 


প্রথমে লেখার কাগজ খুঁজে পাই না। চিঠি লেখার জন্য কিনে রাখা শৌখিন রাইটিং প্যাড আর দামী দামী ফাউন্টেন পেনগুলো সব কোথায় যেন হারিয়ে গেছে দীর্ঘকালের অনভ্যাসে। শেষপর্যন্ত কী করলুম জানিস? মাসকাবারির হিসেব লেখার খাতা থেকে একটা জ্যালজ্যালে পাতা ছিঁড়ে নিলুম। লিখতে বসেই মনে হল, এ কী পাগলামি! এই চিঠি তো বাস্তবেই কারুর হাতে পৌঁছবে না। তবে লিখছি কেন? তারপরই ভাবলুম যে সারাজীবন ধরে অর্থহীন কত কথাই না বলে এসেছি পরিচিত, অপরিচিত বৃত্তের অগণিত মানুষজনের সঙ্গে। সাংসারিক কথা, কেজো কথায় জঞ্জালের স্তূপ বাড়িয়েছি কেবল। সেগুলোরই বা তবে কী মূল্য? যে কথা না বললেও চলত, সেসবও বলে এসেছি জীবনভর। এই চিঠিও তার ব্যতিক্রম নয়। ভাবতেই মনটা শান্ত হল। আবার পেন আঁকড়ে বসলুম।   


তুই এখন যেখানে থাকিস সে জায়গাটা কেমন রে মিতু? খুব শান্ত আর নিঝুম সে দেশ? পুকুরের কালো জলের অতলে যেমন স্থির ও নির্জনতার ঘেরাটোপে রাজত্ব ঘোর অপার্থিবের, সেখানেও কি তেমনই? হ্যাঁ রে? তুই মানিয়ে নিতে পেরেছিস ওখানে? তোর ভয় করে না? আর আমাকে দ্যাখ। তোর দাপুটে মায়ের কী হাল হয়েছে এই কটা মাসে, এসে দেখে যা তুই। এমনও একটা অসহায় পরিস্থিতি যে আসতে পারে আমাদের সংক্ষিপ্ত জীবনকালে সেটা কি কোনওদিনও কল্পনা করেছি আমরা কেউই? এর আগে দু’দুটো কঠিন সময় পেরিয়ে এসেছি আমি কী অনায়াসে। মনে মনে সেজন্য একটা চাপা গর্বও যে ছিল না তা-ও নয়। ভেবে এসেছি, এই তো, কেমন পারলুম শক্ত হতে। সবাই ভেবেছিল যে একের পর এক আঘাতে ভেঙে লুটিয়ে পড়ব। ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে আমার এতদিনের মানসিক দৃঢ়তা। তবুও হতে দিই নি সেরকম কিছু।  


শক্ত চোয়ালে যখন স্কুলের দোতলার করিডোর ধরে হাঁটতুম, আমার পাশ দিয়ে পেরিয়ে যেত একের পর এক ক্লাসরুম, ক্লাসের শিক্ষিকারা পড়াতে পড়াতে সচেতন হয়ে উঠে ভাবত, ওই যে, ওই যে চলেছে আমাদের হেড মিস্ট্রেস। তাঁতের শাড়ির খসখসে আঁচল হাওয়ায় ভাসিয়ে। আহা! সব হারিয়েও মানুষটি কেমন হেঁটে যাচ্ছে দ্যাখো। মাথাটা কত উঁচু! শিরদাঁড়া টানটান। তারা হয়ত আশা করত যে তাদের কাছে আমি এগিয়ে যাব দুটো সহানুভূতির পঙক্তি আদায়ের উদ্দেশ্যে। দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলে জুড়িয়ে নেব হৃদয়ের যত জ্বালাপোড়া। শিক্ষিকারা বিভিন্ন কাজে আমার কাছে এসে প্রথমটা দু-এক মুহূর্ত থমকে তাকাত। ভাবত এই বুঝি সিক্ত চোখে চেপে ধরব শাড়ির দুধসাদা আঁচল। কিন্তু আমি তা করিনি। বরং খুব স্বাভাবিকভাবে আর পাঁচটা দিনের মতই কাজকর্ম করে গেছি। বাকি জীবনটা এভাবেই কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলুম।     


কীভাবে? সেটাও তো তোর জানা। তবুও বলি। রোজকার চেনা ব্যস্ততার দিনগুলো আমার দিব্যি কেটে যেত। সকাল সকাল চাঁপা চলে আসত। তোর চাঁপা মাসি রে। ও ঘরের কাজ সারত আর সেই সঙ্গে অনবরত ওর বকবক চলতে থাকত। আমিও স্কুলের দরকারি কাগজপত্রের ফাইলটা ঘাঁটতে ঘাঁটতে, স্কুলের জন্য তৈরি হতে হতে, ওর সেইসব কথার জবাব দিতুম। অথবা দিতুম না। তারপরই খেয়েদেয়ে একছুটে অটো স্ট্যান্ডে। অটো থেকে নেমে স্কুলের বিশাল লোহার গেটটা পেরলেই তো হেডমিস্ট্রেসের মোড়কে নিজেকে মুড়ে ফেলে কাজের মধ্যেই ডুবে থাকা সারাটাক্ষণ। বেশ একটা ঝিমঝিমে নেশা আছে ওর মধ্যে। 


শেষ বিকেলে ঘরে ফিরে বিছানায় একটু গড়িয়ে নিতুম। সন্ধ্যায় রোজই কেউ না কেউ আসত। তাদের মধ্যে স্বল্পপরিচিত বা অচেনা মানুষের সংখ্যাই বেশি। নিজেদের নানা সমস্যা নিয়ে তারা প্রত্যহ আসত আমার কাছে। কারোর ছেলেমেয়ের মিড সেশনে স্কুলে ভর্তির সমস্যা, কেউ চায় নিদেনপক্ষে টেম্পোরারি একটা পিওনের পোস্ট, কারোর ভীষণ দরকার মিউচুয়াল ট্রান্সফারের। মন দিয়ে সকলের আবেদন নিবেদন শুনে টুনে উঠতে উঠতে আমার রাত দশটা-সাড়ে দশটা বেজে যেত প্রায়ই। কাজ আদায়ের তাগাদা দিতে আসা মানুষের সংখ্যাও তো নেহাত কম নয়। কেউ আবার কোঁচড় ভরে আনত নানা উপহার। তাদের নরমে গরমে প্রত্যাখ্যান করা। সে বড্ড সময়সাপেক্ষ। ঝক্কির কাজ। মুখে সবসময়ই একটা অপ্রসন্ন ভাব ঝুলিয়ে রাখলেও মনে মনে কিন্তু ওগুলোকে ঝক্কি বলে মোটেই ভাবতুম না আমি। বরং খাওয়া দাওয়া সেরে বিছানায় গিয়ে বালিশে মাথা দেওয়া অবধি একটা প্রচ্ছন্ন অহমিকাবোধ আচ্ছন্ন করে রাখত আমাকে। নিজেকে মনে হত দারুণ ক্ষমতাশালী। ঈশ্বরের কাছাকাছি একজন।       


আর এখন? চেনা ছক রাতারাতি বদলে যাওয়ার কী ভয়ঙ্কর তাৎপর্য! আগে বুঝিনি। কেউ আর আসে না এখন লোকের বাড়ি প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে। কতদিন শুনিনি সেই চেনা ‘ম্যাডাম’ সম্বোধনটা। উপভোগ করিনি সামনে দাঁড়ানো মানুষটির সঙ্কোচে কুঁকড়ে থাকা কাঁচুমাচু মুখের ভঙ্গি। তার কাতর আবেদনের জবাবে একটা করুণার দৃষ্টি ছুঁড়ে দেওয়ার আত্মগরিমা অনুভব করিনি কতদিন। বাইরে শহরটা এখন ফটফটে দিনের আলোতেও চুপচাপ বসে বসে ঝিমোয়। আমার ঘরের ভিতরেও অপার নির্জনতা। চাঁপাকে আসতে না করে দিয়েছি বহুদিন হল। ও এলে একটুখানি কথা বলে বাঁচতুম। একার সংসারে কীই বা এমন কাজ। অভ্যেস না থাকলেও যান্ত্রিকভাবেই সারা হয়ে যায় সব। খানিকক্ষণ ঘরের নির্জীব ফার্নিচার, বইপত্র, তক্তপোশ, বালিশ - এদেরই শাসন করি। দাপট দেখাই। আছড়ে ফেলি থালাবাসন। অকারণেই। 


তারপর আবারও গতিহীন অখণ্ড অবসর। ঘুমন্ত অজগর সাপের মত নিথর হয়ে পড়ে থাকে আমার অ্যাপার্টমেন্টের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া ওই লম্বা কালো পিচের রাস্তাটা। যানবাহনের শব্দ নেই। লোকজনের কথাবার্তা নেই। আমি টের পাই রাক্ষুসে একাকীত্বটা এবারে সাপের মতই হাঁ করে গিলে খেতে আসছে আমাকে। টিভিতে একা একা ভূতের মত বসে নিউজ দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে ওঠে দেহমন। বিপন্ন হয়ে ভাবি, আরও কতদিন ধরে চলবে মানবজীবনের উপর জড় ও জীবের মধ্যবর্তী ক্ষুদ্র কিন্তু ভয়ানক বস্তুটির এই শানিত আক্রমণ? মুক্তি কবে আসবে? মুক্তি?  


পলক ফেলতে না ফেলতেই চোখের সামনে বিরাট স্কুল চত্বরটা ভেসে ওঠে। বড় লোহার গেটটা, আমার ছিমছাম কাজের জায়গা, সেগুন কাঠের টেবিল, দেওয়ালে ঝোলানো মহান ব্যক্তিদের অয়েল পেইন্টিংগুলো, টেবিলের উপরে অসহায়ভাবে পড়ে থাকা কাগজপত্রের ফাইল। তারা বাতাসের ঝাপটায় নড়ে উঠে যেন আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। গমগমে করিডোরে দাপিয়ে হেঁটেচলে বেড়ানোর স্পৃহায় লাফিয়ে ওঠে ধমনীর উষ্ণ রক্ত। উফ্‌, কবে যে আবার আগের মত হয়ে যাবে সব!        


ভাবতেই মনে হয় যেন ঘরের দেওয়ালগুলো সচল হয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে আমার দিকে। আতঙ্কে দম আটকে আসে। তখন আমি জানলা পেরিয়ে বাগানের ওই পেয়ারা গাছটাকে আশ্রয় করি। বাগান থেকে পাখপাখালির কিচিমিচি কানে ভেসে আসে রোজ। শুনি আর ভাবি, ওরা কিন্তু বেশ আছে। ডলফিনেরা ভাল আছে। শান্তিতে স্তব্ধ রেললাইন পারাপার করছে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের বুনো হাতির পরিবার। ভাল আছে সুন্দরবনের বাঘেরা। এতদিন আমরা ওদের যন্ত্রণা দিয়েছি, এখন ওরা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। দক্ষিণের খোলা জানলাটা দিয়ে তাকালেই স্পষ্ট দেখা যায় পেয়ারা গাছের ডালটা। আজ দেখলাম হলদে-কালো এক বেনে-বৌ কোথা থেকে উড়ে এসে বসল ডালে। ওখানেই হয়ত ওর নতুন বাসা। আগ্রহী চোখে তাকিয়ে দেখলাম যে মা’কে দেখেই ছানা পাখি মুখ উঁচিয়ে ঠোঁট ফাঁক করেছে আর সে তার সন্তানের মুখে গুঁজে দিচ্ছে বহু সাধনায় জোগাড় করে আনা খাবার।   


স্বর্গীয় সেই দৃশ্যটার দিকে তাকিয়ে আমার বুকের ভিতরটা টনটন করে উঠল। তোর নিস্পাপ মুখটা স্পষ্ট হয়ে ভেসে উঠল মনের পর্দায়। আর এতদিন পর গলগল করে আমার বুকের ভিতরের জমাট হয়ে যাওয়া অভিমানী অক্ষরেরা আগল ঠেলে বেরিয়ে আসতে থাকল। শূন্য খাতার পাতায় আসন পেতে গুছিয়ে বসল ওরা।

 
আমার জন্যই। তাই না মিতু? হয়ত আমার জন্যই সেদিন প্রাণঘাতী সেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলি তুই। ওড়নার ফাঁসটা যখন চেপে বসছিল তোর নরম ত্বকে, ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল, না রে? কখনও তো জিগ্যেস করতে পারলুম না তোকে। অর্থহীন কর্মব্যস্ততায় ডুবে থেকে সেই সুযোগটাই তো পেলুম না। আজ এতদিনে পেয়েছি অবসর। এবার বল আমায়। কেন করলি মিতু? কেন করলি তুই এমন?

         
স্কুলের হেডমিস্ট্রেসের মেয়ে হয়ে ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়ছিস পড়াশোনায়। তোর ম্যাথস আর সায়েন্সের রেজাল্ট দিনে দিনে অসম্ভব খারাপ হচ্ছে। আমি প্রথমটা বিস্ময়ে স্তব্ধ। তারপর ফুঁসছি অন্তরে। সে আঁচের ছিটেফোঁটা ফুলকির মত এসে পড়েছে তোর কচি মনের সবুজ জমিনে। পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে ঘাসফুল আর রঙিন প্রজাপতি। কখন যেন সেই ধু ধু প্রান্তরের মাথায় পঙ্গপালের মতো জাঁকিয়ে এসে বসেছে ঘোর অবসাদের মেঘ। ঢেকে দিয়েছে ঝকঝকে নীল আকাশ। কখনও বুঝতে দিস নি তো আমাদের। কিন্তু ভিতরে ভিতরে তুই যে ক্ষয়ে যাচ্ছিলি। সবদিক থেকেই দারুণ পিছিয়ে পড়ছিলি। গানটা কী ভালো গাইতিস। সেটাও ছেড়ে দিলি একসময়। আসলে  পরীক্ষা, রেজাল্ট, আর ব্যর্থতার ভয়ে কেঁপে উঠেছিল, শিউরে উঠেছিল তোর চেতনার অসহায় তন্ত্রীগুলো। হেডমিস্ট্রেসের মেয়ের তকমাটা তোকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াত দিনভর। আমার উচ্চগামী প্রত্যাশার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে একসময় পা ফসকে গেল তোর। অথচ বিশ্বাস কর মিতু। এই ইঁদুর দৌড়ে তোকে ঠেলে দিতে সচেতনভাবে আমি কখনও চাইনি। তোর মনের মারাত্মক বদলটুকু মা হয়েও ধরতে পারিনি কোনওদিন। আমি মোটেই পারিনি একজন ভাল মা হতে। 

     
কেন পারিনি বলতো? সেটাই লিখছি এখন তোকে এই চিঠিতে। 

 
আমি পারিনি কারণ বহুদিন আগেই ক্ষমতার লোভ আর দম্ভের ভাইরাস এসে আমার মনের সুকুমার বৃত্তিগুলোকে ক্ষইয়ে ফেলেছিল। তারা তাদের কাঁটাওয়ালা স্পাইকে সজোরে আঁকড়ে ধরেছিল আমার মনের ভিতরের অব্যক্ত মায়া আর বেদনার জায়গাটাকে। নষ্ট করে দিয়েছিল করুণা, সহমর্মিতা নামক হৃদয়াবেগগুলোকে। তার পরিবর্তে ছুঁচ ফুটিয়ে হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত করেছিল স্থূলতা, নিষ্ঠুরতা, লোভ, পরশ্রীকাতরতা আর একরোখা জেদ। এভাবেই ভাইরাসেরা আমাকে বাঁচিয়ে রাখার মাধ্যমে নিজেরাই আসলে বেঁচে রইল। অথচ তুই চলে গেলি - আমার ছোট্ট পুতুলটা। তোর পরপরই একদিন তোর বাবাও চলে গেলেন আকস্মিকভাবে। নিজের কাজের জগতে বুঁদ হয়ে থাকা মানুষটা আচমকা মেয়ে হারানোর শোকটা মেনে নিতে পারেন নি। শুধু আমিই রয়ে গেলাম। না, না, আমি তো নয়। ক্ষমতার দম্ভে স্পর্ধিত আমার খোলসটা। সে বেঁচে গেল। রয়ে গেল একটি মৃতদেহ। 

      
এই শূন্য ঘরে এখন আমি একা আছি। নাহ, একা কোথায় আর? আমার অস্তিত্বের প্রতিটি বিন্দু থেকে গলগল করে বেরিয়ে আসছে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বায়বীয় কণা। বাতাসে লুটোপুটি খেতে খেতে ওরা ভাসছে। ছুটছে সাঁই সাঁই করে। আবার এসে গোঁত্তা খেয়ে মিশে যাচ্ছে আমার শরীরে। এদের শক্তি অনেক বেশি। কোভিড উনিশের হাত থেকে পৃথিবী একদিন মুক্তি পেলেও এদের হাত থেকে আমার হয়তো মুক্তি মিলবে না। জীবনেও না।


Comments

  1. গভীর ভাবে অনুভব করতে পারছিলাম যেন গল্পের প্রতিটি লাইন....মন ছুঁয়ে গেল ৷

    ReplyDelete

Post a Comment