একান্তে সংলাপ ও মানসাই
নিঃশ্চুপ। নি:স্তব্ধতায় ছুটে চলেছে মানসাই। ময়নামতির চর একদম শুনশান। শেষ খেওয়ার পরেই হোসেন মিঞা স্ত্রীর আঁচলে সারাদিনের ঘাম মুছছে। আকাশের চাঁদকে এত সুন্দর দেখা যায়নি এর আগে! টলটলে জলে মেঘের পাহাড়ের স্বচ্ছ একটি প্রতিচ্ছবি।
-আমি একান্তে অনুভব করি।
এখানে বোধ ক্রমে বোদ্ধা হয়ে ওঠে। যা জাগতিক নয়; জেগে ওঠে স্রোত বরাবর। দূরের ওই সাঁকো ভাঙার শব্দ কিংবা বুধু গোয়ালার দেড়মাস বয়সী বিশুর গলার ঘন্টার আওয়াজ; ইথার তরঙ্গে ভেসে আসে। বাউল মন রাতের সাথে সংলাপ জুড়ে।
ডুগডুগি বজায়
সব আছড়ে পড়ে এই মানসাই এর জলে। এখানে কারও ব্যক্তিগত অধিকার নেই, তাই স্বঅধিকারের দোষে দুষ্ট হওয়ার কোনো ভয় নেই।
সমস্ত কিছুই তোমার
ঝেড়ে ফেল সব মলিনতা। মান অভিমান বিরহ। সমস্ত কিছু। একটা দীর্ঘস্বাশ নিয়ে তাকিয়ে থাকো অদূরে। দেখো কিভাবে আড়াল হচ্ছে ক্রমে আলো।
আলো আড়াল হলেই বুঝি কোজাগরী রাত দীর্ঘতর হয়। ঢেউ এর আর্তনাদ ক্রমে জোরালো হয়। আমি অনুধাবন করি :
কে যেন একাই ছুটেই চলেছে আপনস্রোতে।
Comments
Post a Comment