গদ্য - রিমি দে



করোনাকালে অন্তরের গদ্য     


পাখিগুল মাঝে মাঝেই জেগে ওঠে।  প্রহরে প্রহরে তখন শীতের রেশ লেগে ছিল। আবহসঙ্গীতেও বসন্তের মাধবীলতার দাগ। সারা বিশ্বে অসুখের গুনগুন ছড়িয়ে গেলেও আমাদের বৃক্ষলতায় তখনও ছিল অসুখওয়ালা আর পাখিওয়ালার হাত ধরাধরি! বেদনা ও বিষণ্ণতার এক আতঙ্কিত কাঁপন! বিষাদের ছত্রছায়ায় অনাহূত অনাহারী হর্ষও কবিতায় এলোচুলে কালো যদি ভুল করে দিয়ে দেয় তবে বেশ ভালো হয়!

হাসিরাও সাতকাহনের গপ্পে রহস্যের গল্পগুজব হয়ে যায় আমাদের অজান্তেই! মাটি খুঁজে মরি। বার বার মৃত হই, বারবার জীবিত! জ্বর আরো নিবিড়ের কাছাকাছি। গভীর নিশ্বাস এসে পাশে  বসে তৃতীয় প্রহরে। করতলে শরীরের শিশির।  হাঁটুমুড়ে ঘন হই আরোও।



আমার বালিরা শুধু কাদামাটি খোঁজে। চৈত্রের বিলাপেরা বৈশাখী ঝড়ে ঝুঁকি নিতে নিতে অসুখওয়ালার কাঁধে হাত রেখে বলে,  'এসো, বিষ। আমিও বিষাক্ত হতে হতে লতাতে পাতাদের বিষ মাখাই। গোখরোর গান তুলে এনে  চলো বেহুলার কণ্ঠে বিষমাখা ঢেউ দেই। বলি হোক বিষে বিষে বিষক্ষয়!  আমাদের বিষহরি মনসা মঙ্গল।' 

তাও পাখিওয়ালা একহাতে মানুষের গান স্পর্শ করে অন্য হাতে 
অমৃতের অন্বেষক! ঘরে ঘরে দেবতার উল্লাসে মানুষের  ছড়াছড়ি! ঘরে ঘরে মানুষের উল্লাসে দেবতার ঘোরাঘুরি! 

এইসব স্বপ্নেরা আজকাল প্রহরে প্রহরে আসে! জাগরণে চিরঅমা ছড়াতে ছড়াতে আমাদের মানুষের অন্ধকার ভাঙচুর করে! আর কোয়ারেন্টিনে অনাহূত গোখরো...!!


Comments