গদ্য - চৈতালি ধরিত্রীকন্যা



  'এই ক'দিন আগেই'


তিরিশ বছর পর শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনে মনোযোগ বসাতে গিয়ে একটা আস্ত গোয়ালঘর উঠে এলো সাদা পৃষ্ঠায়। আমাদের গোপন খেলাগুলি এখনো চলতেই থাকছে। সমস্ত নোবেল জয়ী পদার্থগন হা করে পৃথিবীর মাটি তুলতে যাচ্ছে আর মাটি ভেদ করে বেড়িয়ে আসছে তেলজলের মিলনগাঁথা। যা কোনো যুগেই মিলিত হতে পারেনি। ভুলভাল তথ্যে নৌকোয় দুলছে বিশ্রামের ভনিতাসেল্ফি।


দূরের ঝুলন্ত ব্রিজে তুমি কতবার হেঁটেছেো? গোয়ালঘর থেকে কামধেনু চাষ করবার প্রবনতা বাড়লেও পথে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে নগরপালিকা। সাঙ্গপাঙ্গগন স্রোতের মতো এগিয়ে এসে 'পিনাকপানির ডমরু ত্রিশূল' ছুঁয়ে প্রণামপর্ব সারছেন আর চাগাছের ফেলনা গোড়া নিয়ে পিঁড়ি বানাচ্ছে শিশুদের নিকৃষ্ট পিচুটি। পাহাড় ঘেঁষে লম্ব দূরত্ব রেখে সূর্য তেজস্বী হলেও আপাতত শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনের তিলক ভালে বেশ ঠান্ডা শীতল হওয়া যায়। তিলকের মাটির দাগ কপালে ট্যাটু আঁকলেই মেডিটেশনের গনিততত্ব পাওয়া যায়। আর বিদেশী সুন্দরীরা শ্রীরাধিকার ড্রেসে ক্ষীর রাঁধতে মনোযোগ দিচ্ছে। চারিদিকে রব উঠেছে সমস্ত দাবী মেনে নিতে হবে। বাজার আগুন হবার পরই প্রসূতিগৃহে ধুন্ধুমার আগুনের হলকা। কন্যা শিশুর চিৎকারে সাম্যবাদের হারিয়ে যাওয়া পুস্তক খুঁজে পাচ্ছেন কেউ। গৌরচন্দ্রিকার নাটক শেষে যতই লুফালুফি করি এক গ্লাস জলের মূল্য গাল্ফশহরকে হার মানায়। আসলে জীবনযাত্রায় তেল নয় জল খেয়েই মানুষ বাঁচে। আমি বাঁচি তুমি বাঁচো। ন্যায্য সীমানা মেপে চটির ফিতেয় ঘুন ধরেছে।সবাই টের পাচ্ছি। আর মাইকম্যান সংযুক্তবর্ণে জুড়ে দিচ্ছেন অন্যের মাষ্টারস্ট্রোক। ট‍্যুইটারে শ্রীকৃষ্ণ ধীরে ধীরে বড় হচ্ছেন। 


বুঝতে পারছি সেল্ফির জামানায় মাস্ক এসে সব কামনায় জল ঢেলে দিল।



Comments