গদ্য - অর্ঘ্য দে


"যে ধ্রবপদ দিয়েছ বাঁধি "


পড়ন্ত বেলায় ছড়িয়ে পড়ে রক্ত রঙের আলো। অপসারী সে আলো গায়ে মেখে ফিরে আসছে একদল হাটুরে। মিলন আর বিরহের নিয়ত গীতির মতো। বেঁধে-রাখা ধ্রবপদে সুর ফিরে আসে আদিতে। অদ্ভুত সুচারু সেই অন্তরীণ। তেমনই অভিসারী মানুষেরা ফিরে আসে কোনও এক অলিখিত নিয়মে। নিঃশব্দে অগুনতি গুলমোহর ফোটে, রক্তস্বল্পতার বিপরীতার্থক শব্দে। 



গৃহহীন কবির প্রতিটি দিন-মাস বসন্তবিমুখ। এমন অভিশপ্ত প্রহরে দাগ কাটে মৃদুমন্দ হাওয়া। প্রতিটি আঁচড়ে মাটির গন্ধ, ভিটের টান পরাক্রমী। বিরহী শূন্যলোকে প্রিয়তমা চাঁদ ভেসে উঠলে বুকে মাদল বাজে অতীতের। মন্দ্র স্বরে লুকিয়ে থাকে শাপমোচনের ইঙ্গিত । 



ভাঙা-ভাঙা পথ ধুলোজর্জর। আগলহীন শূন্যবিহারী সে ধুলোয় মিশে থাকে ফিরতি মানুষের নিশ্বাস ... ঘরে ফেরার গান, সহজ সুর আন্দোলিত হতে থাকে দিগন্তে, মাটির কাছাকাছি। সে গানে সমর্পিত জীবনীশক্তি। চরাচরে তার রেশ থেকে যায় ... 


ঘোলাটে কয়েক জোড়া চোখে সন্ধ্যাপ্রদীপের মতো কয়েকটি প্রত্যন্ত ঘর, জিজীবিষায় আলোকিত। গোল্লাছুট ছেলেরা ছুটে যায় বসতি অভিমুখে। বৃত্ত ভাঙে সময়ে।

Comments