গুচ্ছ কবিতা - অঞ্জনা মুখার্জি ভট্টাচার্য

 

জন্মজাত আমরা তিনজন


মৃত্যু ফসলের উপর দাঁড়িয়ে আছি তিন জন্মজাত।
জন্মদাগ খুঁজতে গিয়ে
জমানো ধুলোর স্তুপে 
খুঁজে পাই মৃত শৈশবের
জীবন্ত ফসিল।
কৈশোরের ফেলে আসা বিবর্ন পাতা
প্রথম সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা এক টুকরো ছেঁড়া রোদ,
আমাদের ফেলে আসা বিগত যাপন 
মুঠো ভরে তুলে নিই।
ভাগাভাগি করি 
উপোসী বুকের ভিতর॥




শব্দেরা ফিসফাস


তোমার কাছে এলে
শব্দেরা ফিসফাস্
ব্যস্তময় শহরের চোখে
ঘুম নেমে এলে তোমার
হরিণ চোখে জেগে ওঠে
রাত।
কাক জল গভীরতা মাপে।
প্রেমিকের ঠোঁটের উষ্ণতা ঝরে গেলে,
কতটা বিষাদ লেগে থাকে।



মুখোশ


বড়ো দুঃসময়ে আছি আমরা
চারিদিকে মৃত্যু ভয়
ভাইরাস রং বদলাচ্ছে
সমাজে রাষ্ট্রে আমাদের 
অনুতে হৃদয়ের তন্ত্রিতে 
চেনা রঙেও তাই বড়ো ভয় আজকাল।
আজকাল বড়ো ভয় মুখ খুঁজে পাই না বলে।
মুখোশ আর মুখের মাঝখানের
অবয়বটাকে ঠিক চিনতে পারিনা,
যেমন চিনতে পারি না ঈশ্বর, প্রেম।




মুখোমুখি


ফসলের চোখ নিয়ে
দাড়িয়েছে মানুষ 
নীরবতার স্তব্ধতা 
ভেঙে ফেলো তুমি
চা পাতায় শ্বাস নেবে
বসন্ত মহালি।
খিদেরা গর্ভ গৃহে
পেতেছে আসন
শুকনো ঠোঁটে
আর চুম্বন ওঠেনা।
মৃত্যু ঘ্রাণ ভুলিয়েছে
বাগানের তীব্র সুবাস
ঈশ্বর তুমি ও কি 
ধূসর পাহাড়॥

Comments